ডেস্ক

Published:
2021-08-19 16:51:24 BdST

কলকাতার কিছু স্মৃতি, খাওয়া দাওয়া ইত্যাদি



অধ্যাপক ডা শুভাগত চৌধুরী
______________

কলকাতা যাওয়া যখন যাওয়া হত আমার বাইরে রেস্তোরায় খাওয়ার সুযোগ ঘটত না , স্বজন যারা ছিলেন অনেক দিন থেকে,তাদের আতিথ্য গ্রহন না করলে উপায় ছিলনা তাই আমার বাইরে খাওয়া হয়নি ভারত ভ্রমন কালে অন্যত্র খাওয়া হয়েছে তবে কলকাতা নয় , গত একবার আমরা এই বৃদ্ধ বয়সে কয়েকজন বন্ধু মিলে কলকাতা, দার্জিলিং শিলিগুড়ি ভ্রমনের একটি পরিকল্পনায় যোগ দিতেই হল । আমরা বাঙ্গাল আর আত্মিয়রা বাঙ্গাল; তাই আহারে আমার দেশের রান্নার সবাদ থাকত এতে রস না র তৃপ্তি ঘটত বিলক্ষন।
কিন্তু সে বার আমি যখন গেলাম তখন আর স্বজনদের জানালাম না আর তাই আমরা কল কাতার এক হোটেলে দুপুরের আহারের ব্যবস্থা করা হবে এমন সিদ্ধান্ত হল।
সঙ্গীরা মুরগির ঝোল খেতে চাইলেন আমি বললাম আমি মাছ খাব আর সেজন্য চাইলাম পাবদার ঝোল ।
এল দেখলাম আমার পাতে জাম্বো সাইজের একটা পাবদা ( মনে হয় বন্ধুরা বলেছিল এটা ছোট বয়াল) আর ঝোল একেবারে সাদা মনে হল এটা মশলার সাথে দুধ দই চিনি ঘি ইত্যাদি মশ লা দিয়ে একটি কোর্মা । আমার বন্ধুরা আমার পাতে এমন এক মৎস্য কোর্মা দেখে হাসাহাসি করলেন আর মাংস না নিয়ে মাছ নেওয়ার জন্য কিছু টা ভুল সিদ্ধান্তের সমালোচনা করলেন
আমার স্মৃতিতে বহু দিন আগে কলাকাতার রেস্তরার মাছের অপূর্ব স্বাদু রান্না লেগে আছে আমি বুঝলাম অনেক কিছু বদলে গেছে । সঙ্গিরা বললেন এখানে বিরিয়ানি আর মাংস খাওয়া ভাল আর নিরামিষখেতে পারেন তবে মাছ না । কি জানি ।
তবে ভারত ভ্রমনে সব চেয়ে ভাল দলবদ্ধ যাওয়া আর যেখানে
যাবেন সেখানে নিজে রান্না করে খেলে ভাল তবে অনেকে এই ঝামেলা নিতে চান না আর অনেকে একে উপদ্রব মনে করেন ভ্রমনে এসে স্থানিয় খাবার খাওয়া উচিত আর আহার থেকে দেখার উপর বেশি মনোযোগ থাকা উচিত।

আপনার মতামত দিন:


ভ্রমণ এর জনপ্রিয়