Ameen Qudir

Published:
2016-11-22 01:48:25 BdST

মাত্র পনের হাজার টাকায় ঘুরে আসুন দারিংকাশ্মীর


আহির ফা হিয়ান বুবকা

_____________________

না , একদম না।
এটা কোন ট্যুর কোম্পানি বা অপারেটরের সারপ্রাইজ প্রোমো নয়। আমি ট্যুর কোম্পানির লোকও নই।
অন্য দশজনার মত ছাপোষা ভ্রমণপিপাসু মাত্র।
কম খরচে ঘুরতে কেনা চায় ।

 


15 হাজার টাকাতেই চমৎকার ভ্রমন হয়ে যাবে। তাও আবার অবিকল কাশ্মীরের মত জায়গাতেই।
অমনই পাইন বন। অমনই বরফ পড়বে। সঙ্গে বোনাস ঝরনাও আছে।

 

   

 

 

জায়গাটার নাম দাড়িংবাড়ি। কাশ্মীরের মত সুন্দর। তাই ঘুরে আসা পর্যটকদের মুখে মুখে নাম হয়ে গেছে দাড়িং কাশ্মীর।
আমাদের দেশ থেকে কাছেই। থাকা খাওয়ার চমৎকার সব বন্দোবস্ত আছে। কিন্তু খরচ একদম কম। বলার মতই নয়।
খরচ হবে যা, তাহল ভারতীয় ভিসা, আর ট্রেনের যাত্রাতে। ওখানে যাওয়ার পর সব সস্তা। চারদিকে অসম্ভব ভয়ঙ্কর সব সুন্দর। মনোরম প্রকৃতি।

পাহাড়-নদী-ঝরনায় ঝলমলে দারিংবাড়ি। শীতকালের বাড়তি পাওনা বরফ! কফি ক্ষেত, পাইন জঙ্গল আর মশলার বাগান জগতের সব সুন্দর দিয়ে ভরপুর জায়গাটা।

 

 

 

 


শীতকালে ভোরের দিকে তাপমাত্রা হিমাঙ্কের নীচে নেমে গেলে বরফ জমে যায়। ঘন জঙ্গলে এ জিনিস দেখার মতো! জঙ্গল আর পূর্বঘাট পর্বতমালার মাঝে ছড়িয়ে আছে অনেকটা ঢালু উপত্যকা। কাশ্মীর ভ্যালির সঙ্গে ভীষণ মিল ।
আরও আছে পাখিরালয়। বিভিন্ন ধরনের পাখি আর প্রজাপতির জন্য স্যাংচুয়ারিগুলি খুবই বিখ্যাত।
সবচেয়ে আকর্ষণীয় জায়গা হিল ‘ভিউ পার্ক’। সমুদ্রতল থেকে প্রায় তিন হাজার ফুট উঁচু । পাহাড়ের গা বেয়ে নেমে এসেছে ডোলুরি নদী।

 


ফুলবনি থেকে ১৫ কিলোমিটার দূরে পুটুডি ওয়াটার ফলস। কাছেই দাশিংবাড়ি ফল্‌সও।

ব্রিটিশ আমলে দারিং সাহেবের বাংলো ছিল।তাই নাম দারিংবাড়ি ।

 

৬ লক্ষ একরেরও বেশি জায়গা জুড়ে থাকা বেলঘর স্যাংচুয়ারিতে। দেখা পাবেন হাতি।


নানারকম মশলার অরণ্য দারিংবাড়িতে।

 

 

 

 

ব্যাগপ্যাক করে ফেলুন। চট করে জলদি জলদি। এই তো এখনই শুনেছি বরফ পড়বে বলে। পাসপোর্টে ভারতীয় ভিসা থাকলে কথাই নেই। নইলে যে হাজার তিনেক টাকা খরচা, সেটা 15 হাজারের মধ্যেই ধরা নেই কিন্তু ।

ঢাকা থেকে কলকাতা হয়ে

ভুবনেশ্বর । ওখান থেকে দারিংবাড়ির দূরত্ব প্রায় ২৫০ কিলোমিটার। ব্রহ্মপুর থেকেও যাওয়া যায়, ১২০ কিলোমিটার দূর। স্টেশনে নেমে গাড়ি নিতে হবে। কাছাকাছির মধ্যে ফুলবনি, বালিগুদা কিংবা উদয়গিরি থেকেও দারিংবাড়ির পৌঁছে যেতে পারেন।


কোথায় থাকবেন:

যাওয়ার সেরা সময় অক্টোবর থেকে মে মাস পর্যন্ত। তবে সারা বছরই পর্যটকদের আনাগোনা লেগে থাকে। হোটেল ইউটোপিয়া কিংবা ডিয়ার ইকো হোমে থাকতে পারেন। এছাড়া পিডব্লিউডি’র বাংলোয় থাকার বন্দোবস্ত হতে পারে, বালিগুদার ডিভিশনাল ফরেস্ট অফিসারের সঙ্গে কথা বলে। ফুলবনিতে থাকতে পারেন সার্কিট হাউজ বা হোটেলে।
______________________________

 

লেখক
নির্বাহী সম্পাদক, ডাক্তার প্রতিদিন । ভ্রমণপিপাসু।

আপনার মতামত দিন:


ভ্রমণ এর জনপ্রিয়