Dr. Aminul Islam

Published:
2023-11-09 19:46:49 BdST

বিএসএমএমইউ-তে বিশ্ব অপরিণত দিবস ও বিশ্ব নিউমোনিয়া দিবস পালিত


 

ডেস্ক
__________
বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয়ে (বিএসএমএমইউ) বিশ্ব অপরিণত দিবস-২০২৩ ও বিশ্ব নিউমোনিয়ায় দিবস-২০২৩ পালিত হচ্ছে। বৃহস্পতিবার (৯ নভেম্বর ২০২৩) শহীদ ডা. মিলন হলে দিবস দুটি উপলক্ষ্যে বৈজ্ঞানিক সেমিনার ও আলোচনা সভার আয়োজন করে নিওন্যাটোলোজি বিভাগ। এতে প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ডা. মোঃ শারফুদ্দিন আহমেদ।
অনুষ্ঠানে নিওন্যাটোলোজি বিভাগের ইয়ারবুক-২০২৩ ও নিওন্যাটোলোজি ফলোআপ বুকের শুভ উদ্বোধন করা হয়। নিওন্যাটোলোজি বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক ডা. কামরুল ইসলাম সবুজ প্রিম্যাচুরিটি ও শিশু বিভাগের শিশু পালমোলোজি ডিভিশনের সহকারী অধ্যাপক ডা. সীমা ভদ্র নিউমোনিয়ার উপর একটি প্রবন্ধ উপস্থাপন করা হয়।
অনুষ্ঠানে প্যানেল অব এক্সপার্ট বিসিপিএস এর সভাপতি অধ্যাপক মোহাম্মদ সহিদুল্লা, বাংলাদেশ শিশু হাসপাতাল ও ইনিস্টিউটের পরিচালক অধ্যাপক ডা. জাহাঙ্গীর আলম হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ।
অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয়ের নিওন্যাটোলোজি বিভাগের চেয়ারম্যান অধ্যাপক ডা. সঞ্চয় কুমার দে।

 


প্রধান অতিথির বক্তব্যে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয়ের মাননীয় উপাচার্য অধ্যাপক ডা. মোঃ শারফুদ্দিন আহমেদ বলেন,  প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনার নানামুখী উদ্যোগের কারণে দেশের মানুষের গড়ায়ু বৃদ্ধি পেয়েছে। বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয়ের চিকিৎসক দেশের সকল প্রতিষ্ঠানের চেয়ে ভাল চিকিৎসা সেবা দিয়ে থাকেন। এজন্য এখানে রোগীর সংখ্যা বৃদ্ধি পাচ্ছে। রোগী বৃদ্ধি পাবার আরও কারণ হলো পদ্মাসেতু চাল । দক্ষিণ বঙ্গের মানুষ দিনে এসে দিনেই চিকিৎসা সেবা নিয়ে বাড়ি যায়। রোগীদের সুবিধার্থে অনলাইন রিপোর্টিং চালু করেছি। সামনে মেট্রোরেল পুরোদমে চালু হলে রোগীর সংখ্যা আরও বৃদ্ধি পাবে। বাড়তি রোগীদের সেবা প্রদানের জন্য এখন থেকেই মানসিক প্রস্তুতি নিতে হবে।
সেমিনারে বলা হয়, দেশে বর্তমানে অনুর্ধ্ব ৫ বছরের শিশু প্রতি ১ হাজারে ৩১ জন মৃত্যু হয়। প্রতিহাজারে ২০ জন নবজাতকের মৃত্যু হয়। প্রতি বছর বাংলাদেশে ৫ লক্ষ ৭৩ হাজার জন প্রিমিচুরড বা অপরিণত শিশু জন্মগ্রহণ করে যা ১৯.১ শতাংশ । এই অপরিণত শিশু ও অল্প ওজনের বাচ্চার মৃত্যু অনুর্ধ্ব ৫ বছরের শিশুর মৃত্যুর হার ২২ শতাংশ। বাংলাদেশকে ২০৩০ সালের মধ্যে এসডিএস অর্জন করতে হলে বর্তমান অনুর্ধ্ব ৫ বছরের বর্তমান শিশুর মৃত্যুর প্রতি হাজারে ৩১ থেকে ২৫ জনে, নিওন্যাটাল মৃত্যু নামাতে হবে প্রতিহাজারে ২০ থেকে ১২ জনে। মনে রাখতে হবে, বর্তমানে এই প্রিম্যাচুর মৃত্যু হার কমাতে হলে কিছু পদক্ষেপ নিতে হবে। পদক্ষেপগুলোর মধ্যে রয়েছে এন্টিন্যাটাল সেস্টিকসটিরিয়ড, ক্যাঙ্গারু মাথার কেয়ার (কেএমসি) এবং অসুস্থ শিশুর তাৎক্ষণিক চিকিৎসা। সরকার এই অপরিণত শিশুর যতœ নেবার জন্য স্ক্যানো এবং ক্যাঙ্গারু মাথার কেয়ার প্রতিষ্ঠা করেছেন।
সেমিনারে বলা হয়, নিউমোনিয়া একটি প্রতিরোধ জনিত রোগ। বাংলাদেশে প্রতিবছর নিউমোনিয়ায় আক্রান্ত হয় ২৬ হাজার ৭৬৬ জন। এদের সবার বয়স ৫ বছরের নীচ। যা এই বয়সী মোট শিশুর মৃত্যুর ২৪ শতাংশ। নিউমানিয়া আক্রান্ত হওয়া থেকে রক্ষা, ও প্রতিকার পাওয়ার জন্য বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার অঙ্গ সংগঠনগুলো, গ্লোবাল একশন প্লান ফর প্রিভেনশন এন্ড কন্ট্রোল নিউমোনিয়া এন্ড ডাইরিয়া (জিএপিএডি) গঠন করা হয়। এর আওতায় কিভাবে শিশুর নিউমোনিয়া ও ডাইরিয়া থেকে প্রতিকার ও রক্ষা পাওয়া যায় তার একটা নীতিমালা করা হয়েছে এবং আগামী ২০২৫ সালের মধ্যে পাঁচ বছরের নীচের বাচ্চাদের নিউমোনিয়া জনিত শিশুর মৃত্যুর হার প্রতি- ১০০০ জনে ৩ জনের কম নিশ্চিত করার লক্ষ্য স্থির করা হয়। যা কর্মশালার মাধ্যমে বাস্তবায়নের চেষ্টা চলছে। যার মধ্যে অন্যতম হলো প্রতিটি বাচ্চাকে জন্মের প্রথম ছয় মাস শুধুমাত্র বুকের দুধ খাওয়াতে হবে। ছয় মাসের পর বুকের দুধের পাশাপাশি অন্যান্য সম্পূরক খাবার দিতে হবে। শিশুদের ভিটামিন এ খাওয়াতে হবে। প্রতিটি শিশুকে টিকা দিতে হবে। ঘরে ও ঘরের বাইরে বায়ুদূষণ কমাতে হবে।শিশুরা অসুস্থ হলে নিকটস্থ হাসপাতালে নিতে হবে। এসব কার্যক্রম বাস্তবায়ন হলে শিশুর মৃত্যু হার কমানো যাবে।

আপনার মতামত দিন:


মন জানে এর জনপ্রিয়