Ameen Qudir
Published:2016-11-24 15:53:37 BdST
স্বামী জানলেন স্ত্রী অন্যের শয্যাসঙ্গী , কি করলেন একবার ভাবুন তো!
ডা. অঞ্জলি
________________________
নিজের বউ যে তার সঙ্গে চিটিং করছেন, সেটা অনেকদিন ধরেই টের পেয়েছিলেন স্বামী বেচারা । তথ্যপ্রমাণও ছিল তার কাছে। তারপরেও চুপ ছিলেন তিনি। তালাক দেন নি তিনি। তার চেয়ে এমন এক কাজ করেছেন, যাতে জব্বর শিক্ষা পেলো স্ত্রী এবং তার প্রেমিক ।
স্ত্রীর প্রতারণার পরে বাড়ি ছেড়ে চলে যান স্বামী । অজ্ঞাতবাসে।
বাড়ির দরজায় স্ত্রীর প্রেমিকের জন্য লিখে রেখে গেছেন একটিনাতিদীর্ঘ চিঠি।
স্ত্রীর প্রেমিককে তিনি লিখেছেন, ‘প্রিয় চাকু , আমি তোমার এবং আমার স্ত্রীর সম্পর্কের ব্যাপারে সবই জেনে গেছি। এই পরিস্থিতিতে আমার পক্ষে এই বাড়িতে আর থাকা সম্ভব নয়।আমার কোনও আর্থিক সংকট নেই। বাকি জীবনটা আমি যদি কিছু নাও করি, তাও আমার ভালভাবেই চলে যাবে। যাওয়ার আগে আমি আমার সঞ্চিত অর্থ এবং একটি মদের বোতল ছাড়া আর কিছুই নিয়ে যাচ্ছি না। আমার বাড়ি, গাড়ি সবই রইল।
তুমি তোমার নতুন প্রেমিকার সঙ্গে সব উপভোগ করো। আমার সন্তানদের দেখাশোনা করো। ওদের সত্যি বলতে শিখিও। নিজেদের সম্পর্কে মিথ্যা বোলো না। কারণ ওরা ছোট হতে পারে, কিন্তু নির্বোধ নয়। নিশ্চয়ই এটা জানো যে, কিছু ভোগ করলে সেটার জন্য কিছু পরিশ্রমও করতে হয়। আমার বাগানের গাছগুলোর খেয়াল রেখো। পোষা কুকুরগুলোর যত্ন করো।
আর হ্যাঁ, আমাদের বাথরুমের কমোডের ঢাকনাটা মাঝেমাঝেই খুলে যায়।ভীষণ বেতমিজ কমোড। সাবধান থেকো। বাখরুম করতে গিয়ে বড্ড কেলেঙ্কারি ঘটে যায় প্রায়ই। অনেকদিন ধরেই ওটা ঠিক করবো ভাবছিলাম। কিন্তু সেটা আর করা হয়নি। এখন তোমাকেই ওটা সারাতে হবে।
পরকীয়ার স্ত্রীকে নিয়ে স্বামী লিখলেন, তোমার কিছু জিনিস জানা উচিত।
অঅমার বউটা খুব ভাল । এত ভাল যে, আমার খুব আফসোস হচ্ছে। ওর মতো মেয়ে হয় না। এমনিতে কোমল, রমনীয়, কমনীয় এবং লাস্যময়ী।
তবে,আমার স্ত্রী মোটেও ভাল কেক বানাতে পারে না। সুপারমার্কেটের দক্ষিণ দিকের একটা দোকান থেকে কেক কিনে আনে। এসে খিলখিলিয়ে বলে ওগুলো ও নিজে বানিয়েছে। আমি সব বুঝেও কিছু বলতাম না। বরং তার প্রশংসাই করতাম।
তোমাকেও তাই করতে হবে। নইলে ভীষণ রেগে যাবে। রেগে গেলে সে একদম দজ্জাল। লেডি ড্রাকুলার মত দাঁত বের করে রাগে ফুঁসবে। আর হাঁপাবে। হাঁপাবে এই কারণে যে , তোমাকে কাঁচা চিবিয়ে খেতে পারল না বলে।
তুমি ভুলেও ওর গায়ে হাত তুলতে যেও না। তোমাকে কখনওই ও জানাবে না, সে কিন্তু ব্লাক বেল্ট। তোমার এখানে ওখানে এমনভাবে টিপে ধরবে , তুমি আর কোনদিন অন্য কোন নারীর সঙ্গে বিছানায় যেতে পারবে না। বাকিটা বুঝে নিও।
এ ছাড়া আমার স্ত্রী খুব ভাল ছিল। তার তুলনা হয় না।
তবে
সে রাঁধতে পারে না। সব খাবার কাঁচা, আধা সিদ্ধ থেকে যায়। ওর রান্না মাংস খেলে তুমি আদিম কাঁচা মাংসাসী আদম সন্তান হয়ে যাবে। তবু সেগুলো আমি চেয়ে খেতাম। এমন ভাব করতাম যেন ও-ই পৃথিবীর শ্রেষ্ঠ বাবুর্চি। তোমাকেও এখন এগুলো করতে হবে। বুঝতেই পারছো, ব্লাক বেল্ট বলে কথা। তাছাড়া তুমি তোমার সবরকম কর্মক্ষমতা হারিয়ে বসতে পারো।
আর সেরকম হলে তোমার ভবিষ্যৎ যে আমার মত হবে না, সেই দোয়াই করি । আমি নরম দিলের মানুষ। অন্যের কষ্ট সহ্য করতে পারি না।
তোমারটাও পারব না।
স্বামী চিঠির শেষে লিখেছেন, ‘চাইলেই আমি স্ত্রীর বিরুদ্ধে বিবাহ বিচ্ছেদের মামলা দায়ের করতে পারতাম। তাতে ও মুক্ত হয়ে যেত। তোমাদের বিয়ে করতে কোনও অসুবিধা থাকত না। কিন্তু সেটা করব না। একদিন আমি ফিরে আসব আমার সন্তান ও সম্পত্তি ফিরিয়ে নিতে। তুমি তোমার প্রেমিকাকে নিও থেকো। আর এই চিঠিটা যত্ন করে রেখে দিও।
কারণ, আজ যে তোমার জন্য আমাকে ঠকিয়েছে, সেদিন সে অন্য কারও জন্য তোমাকে ঠকাবে। সেদিনটার জন্য আগাম শুভেচ্ছা রইল। ততদিন আমি আমার জমানো টাকা দিয়ে বিশ্বভ্রমণ করে আসি।
নিজের শরীরের দিকে লক্ষ্য রেখ। সব হারিয়ে বিশ্বকাঙাল হোও না।
বলা হয় এই ঘটনা হনুলুলুর। এ নিয়ে চলচ্চিত্র নির্মাণও হয়েছে। বেচারা স্বামীর নাম যে ক্রিস্টোফার, সেটাসবারই জানা।
___________________________
লেখা: ডা. অঞ্জলি। চিকিৎসক, ঢাকা মেডিকেল কলেজ।
_____________________________________________________________________________________
___________________________________________________________________________________
আর হ্যাঁ, স্ত্রী দজ্জাল যখন জানলেন, তার নিরীহ স্বামীটি অন্যের শয্যাসঙ্গী: তখন স্ত্রী কি করলেন : ডা. অঞ্জলি কথা দিয়েছেন আগামীতে সে কথাও লিখবেন।
অামরা আপাতত: ছবিটি বিজ্ঞাপণ দিয়ে রাখলাম।
ডাক্তার প্রতিদিন টিম।
_________________________________________________________________________________
_________________________________________________________________________________
আপনার মতামত দিন: