Ameen Qudir

Published:
2020-01-12 21:49:59 BdST

বাংলাদেশের স্বাস্থ্য কথাসাহিত্যের নি:সঙ্গ শেরপা


 

ডেস্ক
_______________
১১ জানুয়ারি নীরবে নিভৃতে কেটে গেল বাংলাদেশের স্বাস্থ্য কথাসাহিত্যের স্রষ্টা ,উপমহাদেশের প্রখ্যাত চিকিৎসা বিজ্ঞান লেখক প্রফেসর ডা. শুভাগত চৌধুরী স্যারের জন্মদিন। স্যার এ নিয়ে ঘনঘটার কাঙাল নন, তার অজেয় শক্তি তার কলমে, কলামে। জন্মদিনটিতেও স্যার অবিশ্রাম লিখেছেন। তার প্রতিটি লেখাই মানুষের জন্য কালের পিঠে লিখে রাখা অজর প্রেসক্রিপশন।
ডা. অসিত মজুমদার অধ্যাপক ডা. শুভাগত চৌধুরী স্যারের জন্মদিন প্রসঙ্গে লিখেছেন,
জন্মদিন নিয়ে আমার উচ্ছ্বাস, আবেগ একেবারেই নেই বললেই চলে। সাগর থেকে যেমন এক গ্লাস জল নিলে সাগরের কিছুই কমে না তেমনি এই পৃথিবীতে আমার থাকা না থাকায় পৃথিবীর কিছুই যায় আসে না। কিন্তু কারো কারো জন্ম না হলে এই পৃথিবীর অপূরণীয় ক্ষতি হয়ে যেত। তেমনই একজন উপমহাদেশের প্রখ্যাত চিকিৎসা বিজ্ঞান লেখক প্রফেসর ডা. শুভাগত চৌধুরী স্যার।
স্যারের সাথে প্রথম যোগাযোগ চিঠিপত্রে। মেডিক্যাল কলেজে ছাত্রাবস্থায় ৯৪-৯৫ সালের দিকে একটি ম্যাগাজিন সম্পাদনা করতে গিয়ে স্যারের কাছে চিঠি দিয়ে লেখা চাইলাম এবং স্যার তখনকার এই অচেনা অসিতকে বিমুখ করেননি।
তারপর থেকে স্যারের লেখা নিয়মিতই পড়ি। দুর্দান্ত এই লেখক তাঁর লিখনী দিয়ে বহু মানুষের হৃদয় জয় করেছেন। ইংল্যান্ডে নিশ্চিত সুখের জীবন ছেড়ে বাংলাদেশে ফিরে আসা এই সুলেখক কর্মজীবনে চট্টগ্রাম মেডিক্যাল কলেজের অধ্যক্ষ, চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের মেডিক্যাল অনুষদের ডীন নির্বাচিত হন। পরবর্তীকালে বারডেম ল্যাবরেটরি সার্ভিসেস এর পরিচালক এবং বাংলাদেশ ডায়াবেটিক সমিতির ল্যাব ডেভেলাপমেন্ট প্রজেক্ট এর প্রজেক্ট ডিরেক্টর হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন।
সদা ক্লিন ইমেজের এই ব্যক্তিত্ব অবসর সময়েও অবসরে নেই। লেখালেখি এবং বিভিন্ন সংগঠনের গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্ব পালন করে জনকল্যাণমুখী কাজ করে যাচ্ছেন প্রতিনিয়ত।
সদালাপী, দৃঢ়চেতা ও কর্মনিষ্ঠ একজনঅধ্যাপক ডা. শুভাগত চৌধুরী স্যারের জন্মদিনে আমার শুভেচ্ছা ও শ্র
দ্ধা। স্যারের দীর্ঘজীবন কামনা করি সবসময়।
অধ্যাপক ডা. শুভাগত চৌধুরী
_____________

জন্ম সিলেটে, ১৯৪৭ সালে।

রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের শান্তিনিকেতন পাঠভবনে এবং দেশে-বিদেশে পড়াশোনা করেছেন। অধ্যাপনা করেছেন স্নাতক ও স্নাতকোত্তর চিকিৎসাপ্রতিষ্ঠানে। চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজের অধ্যক্ষ ছিলেন। চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের চিকিৎসা অনুষদের ডিন হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন। চিকিৎসা বিষয়ে গবেষণা করেছেন লন্ডনের সেন্ট থমাস হাসপাতালে। গবেষণা, প্রশিক্ষণ গ্রহণ ও প্রবন্ধ উপস্থাপনের জন্য ভ্রমণ করেছেন ইংল্যান্ড, জার্মানি, সিঙ্গাপুর, থাইল্যান্ড, ভারত, পাকিস্তান, মালয়েশিয়া ও পশ্চিম আফ্রিকা। গবেষণার বিষয় প্রাণরসায়ন, পুষ্টি ও চিকিৎসা-শিক্ষাপদ্ধতি। নিউ ইয়র্ক সায়েন্স অ্যাকাডেমির নির্বাচিত সদস্য। প্রকাশিত বই প্রায় ৫০টি। চিকিৎসাবিজ্ঞান বিষয়ে দেশি-বিদেশি জার্নালে ৫০টির বেশি গবেষণা-প্রবন্ধ প্রকাশিত হয়েছে। চিকিৎসাক্ষেত্রে অবদানের জন্য পেয়েছেন শেরেবাংলা জাতীয় পুরস্কার।

আপনার মতামত দিন:


প্রিয় মুখ এর জনপ্রিয়