Ameen Qudir

Published:
2018-11-01 16:08:04 BdST

৭০ বছর বয়েসে ডা.রমনীর এ গ্রেডে এমপিএইচ এবং ৯৬ বছর বয়েসে আম্মার ৯৮ শতাংশ নম্বর


 

অধ্যাপক ডা. অমল মিত্র
________________________________


শিক্ষার কি বয়স আছে? সত্তরের বেশী বয়সের একজন আমেরিকান ডাক্তার রমনী এমপিএইচ করতে এলেন। আমার বায়োস্ট্যাটিসটিক্স ক্লাশে মিড-টার্ম পরীক্ষায় খারাপ করলেন - পেলেন "সি" গ্রেড। ফাইনালে "এ" পেয়ে তিনি আমাকে চমকে দিলেন। একজন ৪৫ বছর বয়স্ক ব্যক্তি এমপিএইচ শেষ করে বললেন, এবার তিনি ডাক্তারীতে ভর্তির চেষ্টা করবেন। আমি আবার অবাক হলাম। এবার ভারতের কেরালা রাজ্যের একটি খবরে আমার চোখ বিস্ফারিত হলো, অজানায় মুখ থেকে বেরিয়ে এলো - এও কি সম্ভব? বৃদ্ধা ৯৬ বছর বয়সে পড়ালেখা শুরু করে প্রাথমিক ধাপ (৪র্থ শ্রেণী) উত্তীর্ণ হলেন শতকরা ৯৮ ভাগ নম্বর পেয়ে, ক্লাশে প্রথম হলেন এই বয়সে। ধন্য কার্তিয়ানী আম্মা! তোমাকে প্রণাম।
__________________________

অধ্যাপক ডা. অমল মিত্র। কবি ও সুলেখক।
১৯৭৮ সালে ঢাকা মেডিকেল কলেজ থেকে তিনি ডাক্তারী পাশ করেন। বর্তমানে আমেরিকার মিসিসিপি অংগরাজ্যে স্থায়ী বসবাস। সেখানকার এক বিশ্ববিদ্যালয়ে তিনি অধ্যাপনা করেন।

__________________

অনলাইন মিডিয়ার খবরে জানা যায় -----------

 

৯৬ বছরে পড়াশোনা শুরু করে কার্তিয়ানি আম্মা ৯৮ শতাংশ নম্বর পেয়ে তাক লাগিয়ে দিয়েছেন।

কেরালার আলাপুজার মুট্টম গ্রামের বাসিন্দা কার্তিয়ানি আম্মা কৃষ্ণাপিল্লা। স্থানীয় মন্দিরগুলোতে ধোয়া-মোছার কাজ করেন। ছোটবেলায় কখনো স্কুলে যাননি। সরকারি উদ্যোগে সম্প্রতি এমন কৃতিত্ব অর্জন করতে পেরেছেন তিনি।

নিরক্ষরতা দূরীকরণে এ বছর প্রজাতন্ত্র দিবসে ‘অক্ষরলক্ষ্যম’ প্রকল্প চালু করে কেরালা সরকার, যাতে রাজ্যে সাক্ষরতার হার শতভাগে পৌঁছায়।

প্রথম দফায় ৪৭ হাজার ২৪১ জনকে নিয়ে ক্লাস শুরু হয়। পড়তে, লিখতে এবং সাধারণ গণিত শেখানো হয় সেখানে। পঠন পাঠন শেষ হলে, পরীক্ষার আয়োজন করা হয় চতুর্থ, সপ্তম, দশম, একাদশ এবং দ্বাদশ শ্রেণির শিক্ষার্থীদের জন্য।

চতুর্থ শ্রেণিতে পরীক্ষায় বসেন কার্তিয়ানি আম্মা। তাতে ১০০ নম্বরের মধ্যে ৯৮ পেয়ে প্রথম হয়েছেন তিনি। ১ নভেম্বর তার হাতে মেরিট সার্টিফিকেট তুলে দেবেন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী পিনারাই বিজয়ন।

আম্মা জানান, ভালো নম্বর পেয়েছি। তাতেই খুশি আমি। এখন লিখতে পড়তে পারছি। হিসাব করছি নিজে নিজে।

দুই নাতনি, ১২ বছরের অপর্ণা এবং ৯ বছরের অঞ্জনা তাকে পড়াশোনায় সাহায্য করেছে বলে জানিয়েছেন। কৃতিত্ব দিয়েছেন মেয়ে আম্মিনিয়াম্মাকেও।

২০১৬ সালে ৫১ বছরে মাধ্যমিকে উত্তীর্ণ হন আম্মিনিয়াম্মা। তাকে দেখেই নাকি অনুপ্রাণিত হন কার্তিয়ানি আম্মা।

এই মুহূর্তে নতুন ক্লাসে ওঠার প্রস্তুতি নিচ্ছেন তিনি। পরের বছর ইংরেজি শিখতে চান।

আপনার মতামত দিন:


প্রিয় মুখ এর জনপ্রিয়