Ameen Qudir
Published:2018-06-09 17:12:35 BdST
মীনাকুমারীর শায়েরী কবি সরদার ফারুকের অনুবাদে
উপমহাদেশীয় চলচ্চিত্রের অমরপ্রাণ অভিনয় শিল্পী মীনাকুমারী। যার ব্যাক্তিজীবন এক মহাকাব্য। মীনাকুমারী একজন কালজয়ী কবিও।
তাঁর কিছু শায়েরী অনুবাদ করেছেন বাংলা ভাষার এই সময়ের অন্যতম প্রধান কবি সরদার ফারুক । যিনি পেশায় চিকিৎসক।
সরদার ফারুক _____________________
ভারতীয় চলচ্চিত্রের অবিস্মরণীয় নায়িকা মীনাকুমারী। অনেকের কাছেই তাঁর পরিচয় একজন কালজয়ী কবি হিসাবে। তাঁর শায়েরী থেকে কয়েকটি পাঠকদের জন্য দেয়া হ’ল ।
অনুবাদের অক্ষম প্রয়াসের জন্য ক্ষমা চেয়ে নিচ্ছি।
*********
মীনা কুমারীর কবিতা
---------------
১/
দর্দ তো হোতা রহতা হ্যাঁয়
দর্দকে দিন হী প্যারে হ্যাঁয়
জায়সে তেজ ছুরি কো হমনে
রহ-রহকর ধার কিয়া
--------
যন্ত্রণার বিরাম নেই
দুঃখের দিনগুলোই প্রিয়
যে ভাবে উজ্জ্বল ছুরিকে
থেকে থেকে ধার দিয়ে গেছি
২/
তেরে কঁদমো কী আহট কো হ্যাঁয়
দিল য়হ্ ঢুঁঢ়তা হরদম,
হর ইক আওয়াজ পে
ইক থরথরাহাট হো জাতী হ্যাঁয়
----------
এ হৃদয় সারাক্ষণ খোঁজে
তোমার পায়ের শব্দ
প্রতিটি আওয়াজে
থরথর কম্পনের ঢেউ
৩/
হর এক মোড় পে
বস দো হী নাম মিলতে হ্যাঁয়
মওৎ কহ লো
জো মুহব্বত নহী কওনে পাও
--------
প্রত্যেক বাঁকে
কেবল দু’টোই নাম
‘ভালোবাসা’ যদি তাকে না-ই বলো
মৃত্যু বলে ডাকো
৪/
আহ রাত আঈ
চুপচাপ চলী আঈ
ইসকী খামোশী পে পনাহ হ্যাঁয়
কিতনা প্যারা সাঁওয়লপনা হ্যাঁয়
রাত কা খামোশ চেহারা ।
ঝুকী হুঈ নর্ম-নর্ম খামোশ আঁখে
ভরী ভরী খামোশ গোদ
অচ্ছা হুয়া জো রাত আঈ
-----------
আহা রাত্রি এসেছে
সংগোপনে
রাত্রির নৈঃশব্দ্যে আছে আশ্রয়
শ্যামল মোহন রূপ
ঝুঁকে-পড়া কোমল কোমল চোখ
ভেজা ভেজা কোল
কী যে ভালো
অবশেষে রাত্রি এসেছে
__________________________

আপনার মতামত দিন: