Ameen Qudir
Published:2017-05-23 06:57:09 BdST
৩০০ টাকার ভিজিট ৫০০ করতে বলায় বাবার সে কি রাগ!
অধ্যাপক ডা. এবিএম আবদুল্লাহ-কে নিয়ে আবেগঘন স্টাটাস পোস্ট দিয়েছেন তাঁর ছেলে ডা.র সাদি আব্দুল্লাহ।
তিনি বলেছেন,
‘‘আব্বু, এই রিসেন্ট ঘটনা নিয়ে যা হলো তাতে পুরো ডাক্তার সোসাইটি খুব কষ্ট পাচ্ছে। ছেলে হিসেবে আমার কষ্টটা আরেকটু বেশি। হসপিটালে ভাংচুরের যেই কালচারটা এই দেশে চালু হয়েছে, তুমি যখন এটা নিয়ে পেপারে লেখা দিতে গেলা- আমি রাগ দেখালাম। কি দরকার এইসব নিয়ে লেখার? মানুষ মনে রাখবে না, কোন প্রতিকার ও হবে না। তুমি বললে, মানুষের মনে রাখার জন্য তো লিখি না। দেশের মানুষের যদি একটু উপকার হয়। আর আজ সেই অভিযোগ তোমার বিরুদ্ধে। যারা এটা করছে, তারা জানে না কার সাথে করছে, তাদের ফাইট করার কোন গ্রাউন্ড নাই। তাও তারা হুযুগে লড়াইয়ে নামলো।
যেই মেয়ে AML এ মারা গেলো তার প্রতি আমার গভীর সমবেদনা। আল্লাহ্ তার মাগফিরাত করুক। কিন্তু যারা আবেগের নামে কিছু বিবেচনা না করে ভুল চিকিৎসার ধোঁয়া তুললো, ভাংচুর করলো, মামলা করলো- তাদের প্রতি গভীর গভীর অশ্রদ্ধা।
আল্লাহ্র অশেষ রহমতে তোমাকে যা দিয়েছে তাতে তুমি চাইলে অনেকে কিছু করতে পারতা। কিন্তু সেই ৯০০ টাকার বাটা স্যান্ডেল আর ইন ছাড়া হাফ শার্ট পরে BSMMU/চেম্বার যাওয়ার এই ছিলো তোমার ড্রেস। জীবনে একটা মাত্র ব্লেজার বানালা সাবাহর বিয়ের সময়। এই ৩০০ টাকার ভিজিট থেকে মিনিমাম ৫০০ টাকা করতে কতো তোমার সাথে রাগ দেখালাম। আর তখনই কৌশলে প্রসঙ্গ এভোয়েড করতা। বই লেখার জন্য চেম্বার থেকে এসে এক গাদা টেক্সট বই নিয়ে বসে কত কষ্ট করেছো আমি জানি। শুধু নেক্সট জেনারেশন ডাক্তাররা যাতে উপকৃত হয়। তাতে দেশ ও জাতির উপকার হবে। এই ছিলো তোমার ধ্যান। খুব খুব শর্টে এই তুমি সবার প্রফেসর আবদুল্লাহ স্যার, আমার চির লোভহীন, চির সাধারণ বাবা।
এই দেশ তোমাকে কিছু দেয়নি- এটা কখনো বলবো না। মানুষের অপরিসীম ভালবাসা তোমার জন্য। তোমার স্টুডেন্টরা তোমাকে পিতার মত ভালবাসে। আল্লাহ্র রহমতে তুমি একুশে পদক পেয়েছো। দেশের খুব নিম্ন পর্যায় থেকে শুরু করে সর্বোচ্চ পর্যায়ের মানুষজন আল্লাহ্র হুকুমে তোমার ট্রিটমেন্টে সুস্থ হচ্ছে। দেশের প্রতিটা প্রান্তে আল্লাহ্ তোমার সুনাম ছড়িয়ে দিয়েছে। এই দেশ তোমাকে অনেক দিয়েছে।
কিন্তু দেশের কতিপয় মানুষ যারা না বুঝে তোমাকে বিনা কারণে হেয় করলো। তাদের সমুচিত জবাব দিতে হবে। দেশের নানা প্রান্তে যেখানে ডাক্তাররা লাঞ্ছিত হচ্ছে তোমার উছিলায় এর একটা প্রতিকার বের করতে হবে। এই কালচারটা বন্ধ করতে হবে। কতিপয় অপদার্থ সাংবাদিকের লেখনীর জন্য দেশের মানুষ আর ডাক্তারের মাঝে বিরোধ তৈরি হয়। সাংবাদিকদের প্রতি বিরূপ ধারনা তৈরি হবে এটা আর কত? দেশে লোভী ডাক্তার নাই, অদক্ষ ডাক্তার নাই, বিহেভিয়ার প্রবলেম নাই- এটা কখনোই বলবো না। কিন্তু এক এক করে তো প্রতিকার বের করতে হবে। যারা ভাংচুর করলো এরাই বড় হয়ে বড় ঘুষখোর হবে, দেশ ধ্বংসকারী হবে। কারণ ওদের তো কোন নীতি নাই। দেশের সম্পদ নষ্ট করতে ওদের কষ্ট হয় না।
তোমার উছিলায় প্রশাসন যদি এইবার ভাংচুর পার্টির বিরুদ্ধে নড়েচড়ে বসে, মিথ্যা হয়রানির বিরুদ্ধে এবার নামতেই হবে। ওদেরকে শাস্তি দিয়ে ফিউচারে এইদেশে কোন কিছু প্রমাণের আগেই এই অতি উৎসুক ভাংচুর পার্টির কার্যক্রম থামাতে হবে। দেশে এই আগাছাদের উপদ্রব কমাতে হবে। আল্লাহ্ তোমার সাথে থাকবেন।"
৩০০ টাকার ভিজিট ৫০০ করতে বলায় বাবার সে কি রাগ!
অধ্যাপক ডা. এবিএম আবদুল্লাহ-কে নিয়ে আবেগঘন স্টাটাস পোস্ট দিয়েছেন তাঁর ছেলে ডা.র সাদি আব্দুল্লাহ।
তিনি বলেছেন,
‘‘আব্বু, এই রিসেন্ট ঘটনা নিয়ে যা হলো তাতে পুরো ডাক্তার সোসাইটি খুব কষ্ট পাচ্ছে। ছেলে হিসেবে আমার কষ্টটা আরেকটু বেশি। হসপিটালে ভাংচুরের যেই কালচারটা এই দেশে চালু হয়েছে, তুমি যখন এটা নিয়ে পেপারে লেখা দিতে গেলা- আমি রাগ দেখালাম। কি দরকার এইসব নিয়ে লেখার? মানুষ মনে রাখবে না, কোন প্রতিকার ও হবে না। তুমি বললে, মানুষের মনে রাখার জন্য তো লিখি না। দেশের মানুষের যদি একটু উপকার হয়। আর আজ সেই অভিযোগ তোমার বিরুদ্ধে। যারা এটা করছে, তারা জানে না কার সাথে করছে, তাদের ফাইট করার কোন গ্রাউন্ড নাই। তাও তারা হুযুগে লড়াইয়ে নামলো।
যেই মেয়ে AML এ মারা গেলো তার প্রতি আমার গভীর সমবেদনা। আল্লাহ্ তার মাগফিরাত করুক। কিন্তু যারা আবেগের নামে কিছু বিবেচনা না করে ভুল চিকিৎসার ধোঁয়া তুললো, ভাংচুর করলো, মামলা করলো- তাদের প্রতি গভীর গভীর অশ্রদ্ধা।
আল্লাহ্র অশেষ রহমতে তোমাকে যা দিয়েছে তাতে তুমি চাইলে অনেকে কিছু করতে পারতা। কিন্তু সেই ৯০০ টাকার বাটা স্যান্ডেল আর ইন ছাড়া হাফ শার্ট পরে BSMMU/চেম্বার যাওয়ার এই ছিলো তোমার ড্রেস। জীবনে একটা মাত্র ব্লেজার বানালা সাবাহর বিয়ের সময়। এই ৩০০ টাকার ভিজিট থেকে মিনিমাম ৫০০ টাকা করতে কতো তোমার সাথে রাগ দেখালাম। আর তখনই কৌশলে প্রসঙ্গ এভোয়েড করতা। বই লেখার জন্য চেম্বার থেকে এসে এক গাদা টেক্সট বই নিয়ে বসে কত কষ্ট করেছো আমি জানি। শুধু নেক্সট জেনারেশন ডাক্তাররা যাতে উপকৃত হয়। তাতে দেশ ও জাতির উপকার হবে। এই ছিলো তোমার ধ্যান। খুব খুব শর্টে এই তুমি সবার প্রফেসর আবদুল্লাহ স্যার, আমার চির লোভহীন, চির সাধারণ বাবা।
এই দেশ তোমাকে কিছু দেয়নি- এটা কখনো বলবো না। মানুষের অপরিসীম ভালবাসা তোমার জন্য। তোমার স্টুডেন্টরা তোমাকে পিতার মত ভালবাসে। আল্লাহ্র রহমতে তুমি একুশে পদক পেয়েছো। দেশের খুব নিম্ন পর্যায় থেকে শুরু করে সর্বোচ্চ পর্যায়ের মানুষজন আল্লাহ্র হুকুমে তোমার ট্রিটমেন্টে সুস্থ হচ্ছে। দেশের প্রতিটা প্রান্তে আল্লাহ্ তোমার সুনাম ছড়িয়ে দিয়েছে। এই দেশ তোমাকে অনেক দিয়েছে।
কিন্তু দেশের কতিপয় মানুষ যারা না বুঝে তোমাকে বিনা কারণে হেয় করলো। তাদের সমুচিত জবাব দিতে হবে। দেশের নানা প্রান্তে যেখানে ডাক্তাররা লাঞ্ছিত হচ্ছে তোমার উছিলায় এর একটা প্রতিকার বের করতে হবে। এই কালচারটা বন্ধ করতে হবে। কতিপয় অপদার্থ সাংবাদিকের লেখনীর জন্য দেশের মানুষ আর ডাক্তারের মাঝে বিরোধ তৈরি হয়। সাংবাদিকদের প্রতি বিরূপ ধারনা তৈরি হবে এটা আর কত? দেশে লোভী ডাক্তার নাই, অদক্ষ ডাক্তার নাই, বিহেভিয়ার প্রবলেম নাই- এটা কখনোই বলবো না। কিন্তু এক এক করে তো প্রতিকার বের করতে হবে। যারা ভাংচুর করলো এরাই বড় হয়ে বড় ঘুষখোর হবে, দেশ ধ্বংসকারী হবে। কারণ ওদের তো কোন নীতি নাই। দেশের সম্পদ নষ্ট করতে ওদের কষ্ট হয় না।
তোমার উছিলায় প্রশাসন যদি এইবার ভাংচুর পার্টির বিরুদ্ধে নড়েচড়ে বসে, মিথ্যা হয়রানির বিরুদ্ধে এবার নামতেই হবে। ওদেরকে শাস্তি দিয়ে ফিউচারে এইদেশে কোন কিছু প্রমাণের আগেই এই অতি উৎসুক ভাংচুর পার্টির কার্যক্রম থামাতে হবে। দেশে এই আগাছাদের উপদ্রব কমাতে হবে। আল্লাহ্ তোমার সাথে থাকবেন।"
আপনার মতামত দিন: