DESK

Published:
2024-08-29 16:20:22 BdST

ঢামেক হাসপাতালকে ঢেলে সাজাতে ১০০ দিনের একশন



ডেস্ক
_________________________

আসছে ১০০ দিনে নানা কাজ ও পরিকল্পনা বাস্তবায়নের মাধ্যমে ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালকে ঢেলে সাজানো হবে। অন্তর্বর্তী সরকারের সময়ে এই হাসপাতালের স্বাস্থ্যসেবার নজিরযোগ্য মানোন্নয়ন ঘটবে। অনিয়ম থাকবে না। রোগীরা উন্নত সেবা পাবে। এই লক্ষ্যে নানা কর্মসূচি নেয়া হয়েছে। এসব কাজের মধ্যে রয়েছে: কেবিন সংস্কার, এগুলোকে উন্নত করা। মেডিকেল ক্যাম্পাসে দালালদের প্রবেশ নিষিদ্ধকরণ ; বহিরাগত এম্বুলেন্স দৌরাত্মরোধ । বিশেষায়িত ওয়ার্ড স্থাপন এবং বিনামূল্যে স্বাস্থ্যসেবা নিশ্চিতকরণের পরিকল্পনা সহ আইসিইউর সংখ্যাও বাড়ানোর কথা বলা হয়েছে।

আজ বৃহস্পতিবার (২৯ আগস্ট) দুপুরে ঢামেক হাসপাতালের সভাকক্ষে এক সংবাদ সম্মেলনে এ সব তথ্য তুলে ধরা হয়েছে। ঢামেক হাসপাতালের পরিচালকসহ জ্যেষ্ঠ স্বাস্থ্য দায়িত্বশীলরা এসময় অংশ নেন।

বলা হয়, অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের সময়ে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে রোগীদের চিকিৎসা সেবার মানোন্নয়নের   বিভিন্ন কার্যক্রম গ্রহণ করা হয়েছে।

এর মধ্যে জরুরি ভিত্তিতে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে আহতদের চিকিৎসার জন্য বিশেষায়িত ওয়ার্ড স্থাপন এবং বিনামূল্যে স্বাস্থ্যসেবা নিশ্চিতকরণের পরিকল্পনা রয়েছে।
হাসপাতালের কেবিনগুলো সংস্কার, ইনটেনসিভ কেয়ার ইউনিটের (আইসিইউ) শয্যা সংখ্যা বৃদ্ধি, সকল কর্মকর্তা ও কর্মচারীর উপস্থিতির হার বাড়ানো এবং যথাসময়ে উপস্থিতি নিশ্চিত করা, পরিস্কার-পরিচ্ছন্নতা কাজ জোরদার করার উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে।

আগামী একশ দিনের কর্মসূচির মধ্যে আরও রয়েছে- ওষুধ কোম্পানির প্রতিনিধি এবং বহিরাগত দালালদের হাসপাতালে প্রবেশ করতে না দেওয়া, বেসরকারি অ্যাম্বুলেন্স হাসপাতাল চত্বর থেকে সরিয়ে সে জায়গায় রোগী এবং রোগীর সাথে আগত লোকজনের বিশ্রামের ব্যবস্থা গ্রহণ করা, হাসপাতালে হয় এমন সব প্যাথলজিক্যাল টেস্ট এবং এক্স-রে, সিটি স্ক্যান ইত্যাদি হাসপাতালেই বাধ্যতামূলক করার ব্যবস্থা নিয়ে এই খাতে রাজস্ব বৃদ্ধি করা, টিকিটিং ব্যবস্থায় ডিজিটাল কার্যক্রম জোরদার করা এবং ডিজিটাল প্রেসক্রিপশন কার্যক্রম শুরুর উদ্যোগ নেওয়া।

সংবাদ সম্মেলনে বলা হয়, আগামী একশ দিনে দুর্নীতি প্রতিরোধ কার্যক্রম জোরদার করা, রোগীদের সাথে চিকিৎসক, নার্স এবং স্বাস্থ্যসেবা কর্মীদের সম্পর্ক উন্নয়নে আচরণগত পরিবর্তন নিশ্চিতকরণে উদ্যোগ নেওয়া, স্বাস্থ্যসেবা বিষয়ক গবেষণা কার্যক্রম জোরদারের উদ্যোগ নেওয়া এবং অভ্যর্থনা/তথ্যকেন্দ্র স্থাপন এবং স্বাস্থ্য শিক্ষা কার্যক্রম জোরদার করার উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে।

সভায় হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ বলেন, হাসপাতালের বহির্বিভাগ এবং জরুরি বিভাগে প্রতিদিন গড়ে পাঁচ হাজারের বেশি রোগীকে চিকিৎসা দেয়। দুই হাজার ৬০০ শয্যার এই হাসপাতালে প্রতিদিন গড়ে চার হাজারের বেশি রোগী ভর্তি থাকেন।

আপনার মতামত দিন:


ক্লিনিক-হাসপাতাল এর জনপ্রিয়