Dr.Liakat Ali

Published:
2024-06-27 12:15:12 BdST

‘ভালো থাকো, মুক্তি দিয়ে গেলাম’  মর্মান্তিক মৃত্যুর আগে  ডা. অপর্ণার শেষ স্ট্যাটাস: মাহবুবকে খুঁজছে পুলিশ


 

ডেস্ক
_____

ময়মনসিংহে ডা: অপর্ণা বসাক (৩০) মর্মান্তিক মৃত্যুর আগে এক স্টাটাসে লিখে গেছেন শেষ অন্তর বেদনা:" ভালো থাকো, মুক্তি দিয়ে গেলাম"। 
ডা. অপর্ণা বসাক ময়মনসিংহ নগরীর একটি বেসরকারি হাসপাতালে কর্মরত ছিলেন।
আগুনে মর্মান্তিক মৃত্যু হয়েছে তার।

ওদিকে

কোতোয়ালি মডেল থানার পরিদর্শক (তদন্ত) মো. আনোয়ার হোসেন বলেন, ‘নিহত চিকিৎসকের মা জ্যোৎস্না বসাক বাদী হয়ে আত্মহত্যার প্ররোচনার অভিযোগে মামলা করেছেন। মামলার এজাহারে জ্যোৎস্না বসাক উল্লেখ করেন, ‘আমরা ধারণা করছি, খন্দকার মাহবুব এলাহী আমার মেয়ের সঙ্গে প্রেমের সম্পর্ক তৈরি করে। সরলতার সুযোগ নিয়ে তার সঙ্গে ঘনিষ্ঠভাবে মেলামেলা করে। মাহবুব এলাহী বিয়ে না করে মনে আঘাত দেওয়ার কারণে দুঃখ ও কষ্টে আমার মেয়ে শরীরে আগুন দিয়ে আত্মহত্যা করে।’ মামলায় জ্যোৎস্না বসাক আরও উল্লেখ করেন, ‘আমার মেয়েকে মানসিকভাবে বিপর্যস্ত করে আত্মহত্যা করতে বাধ্য করা হয়েছে।’

অপর্ণার স্ট্যাটাসে ট্যাগ করা খন্দকার মাহবুব এলাহীকে আসামি করা হয়েছে। কিন্তু মাহবুল এলাহীর কোনো ঠিকানা নেই। ফেসবুক আইডিটিও ডিজেবল দেখাচ্ছে। ওই ব্যক্তিকে শনাক্ত করতে আমরা কাজ করছি।’

এর আগে মঙ্গলবার ভোরে অপর্ণা নিজের ফেসবুকে একটি স্ট্যাটাস দেন। সেখানে লেখেন, ‘ভালো থাকো। আমি আর পারছি না। হয়তো সবার মতে হেরে গেলাম।
মুক্তি দিয়ে গেলাম।

 

ডা অপর্ণা  বগুড়া মেডিকেল কলেজ থেকে এমবিবিএস পাস করেন। দুই মাস আগে ময়মনসিংহ নগরীর পণ্ডিতপাড়া এলাকার একটি বাড়ির নিচতলায় বাসা ভাড়া নেন তিনি। ওই বাসায় মা জ্যোৎস্না বসাককে নিয়ে থাকতেন।জামালপুরের সরিষাবাড়ী উপজেলার প্রয়াত রতন বসাকের মেয়ে।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে ময়মনসিংহ কোতোয়ালি মডেল থানার পরিদর্শক (তদন্ত) আনোয়ার হোসেন জানান, গতকাল সোমবার রাত ১০টার পর নিজের কক্ষে ঘুমিয়ে পড়েন অপর্ণা।


মঙ্গলবার সকাল সাতটা থেকে আটটার মধ্যে অপর্ণার ফেসবুক স্ট্যাটাস দেখে এক আত্মীয় অপর্ণার খোঁজ নিতে বলেন। সঙ্গে সঙ্গে মেয়েকে ডাকাডাকি করলে সাড়া না পেয়ে স্থানীয় লোকজন দরজা ভেঙে আগুন নিভিয়ে পুলিশ ও ফায়ার সার্ভিসের লোকজনকে খবর দেন। পরে পুলিশ গিয়ে মরদেহ উদ্ধার করে।


কোতোয়ালি মডেল থানার পরিদর্শক (তদন্ত) আনোয়ার হোসেন বলেন, ‘ভোর চারটা থেকে পাঁচটার মধ্যে ফেসবুকে স্ট্যাটাস দিয়ে শরীরে আগুন দিয়ে আত্মহত্যা করেন ওই নারী। প্রাথমিক তদন্তে প্রেমের কারণে আত্মহত্যার করেছেন বলে মনে হচ্ছে। তবে পরিবার প্রেমের বিষয় নিয়ে কিছু বলছে না। ফেসবুকের স্ট্যাটাসে যে ব্যক্তিকে ট্যাগ দেওয়া হয়েছে, তাকে খুঁজছে পুলিশ।’

আপনার মতামত দিন:


ক্লিনিক-হাসপাতাল এর জনপ্রিয়