ক্রাইম পেট্রল বাংলাদেশকানাডা প্রবাসী পরিচয়ে ডাক্তারকে বিয়ে গাড়ি চালকের, তালাক, অতঃপর আগুন দিয়ে হত্যা,আত্মহত্যা

নির্মম ট্রাডেজির শিকার ডা লতা

ডেস্ক ______

কানাডা প্রবাসী ও সেনা কর্মকর্তার ছেলে পরিচয়ে ডা. লতা আক্তারের সঙ্গে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে তুলেছিলেন গাড়ি চালক মোহাম্মদ খলিলুর রহমান। তারপর বিয়ে।  এই প্রতারণা জানাজানি হলে তালাক, অতঃপর খলিলের দেওয়া আগুনে ডা. লতার মর্মান্তিক মৃত্যু, খলিলের আত্মহত্যা।
একটি প্রতারণার কারণে এ-ই নির্মম ট্রাডেজি।

প্রাক্তন গাড়ি চালক স্বামীর দেওয়া আগুনে দগ্ধ চিকিৎসক লতা আক্তার (২৭) মৃত্যুর সঙ্গে লড়াই চালিয়ে যাচ্ছিলেন। কিন্তু অবশেষে গতকাল বৃহস্পতিবার বেলা দেড়টার দিকে মারা গেছেন।

রাজধানীর শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটের চতুর্থ তলায় নিবিড় পরিচর্যা কেন্দ্রে (আইসিইউ) চিকিৎসাধীন ছিলেন লতা।

তাঁর মৃত্যুর সময় হাসপাতালে এক স্বজন উপস্থিত ছিলেন।

লতার বাড়ি নরসিংদীর রায়পুরা উপজেলার মরজাল ইউনিয়নের ব্রাহ্মণের টেক গ্রামে। গত রোববার বেলা পৌনে একটার দিকে গ্রামের বাড়িতে লতার গায়ে পেট্রল ঢেলে আগুন ধরিয়ে দেন তাঁর প্রাক্তন স্বামী মো. খলিলুর রহমান (৩৫)। তিনি নিজের গায়েও আগুন ধরান। খলিলুর গত সোমবার দুপুরে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান।

কানাডা প্রবাসী ও সাবেক সেনা কর্মকর্তার ছেলে পরিচয়ে ডা. লতার সঙ্গে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে তোলেন খলিল। বিয়ের পর লতা জানতে পারেন, তাঁর স্বামী পেশায় গাড়িচালক, থাকেন ঢাকায়। এ নিয়ে মনোমালিন্য ও বাগ্বিতণ্ডার এক পর্যায়ে খলিলকে ছেড়ে চলে আসেন লতা। তবে বিষয়টি মেনে নিতে পারেননি খলিল। রোববার সকালে তিনি রায়পুরায় লতার বাড়িতে যান। সেখানেই লতার শরীরে পেট্রোল ঢেলে আগুন দেন খলিল। এর পর নিজের শরীরেও আগুন দিয়ে খলিল আত্মহত্যার চেষ্টা করেন।

ভুক্তভোগী ডা লতা আক্তার (৩২) জেলার রায়পুরা উপজেলার মরজাল ইউনিয়ন ব্রাহ্মনেরটেক গ্রামের মফিজ উদ্দিনের মেয়ে। তিনি ঢাকা গুলশান এলাকার শাহাবুদ্দিন মেডিকেল কলেজ থেকে পাশ করা চিকিৎসক। নারায়ণগঞ্জের একটি বেসরকারি হাসপাতালে চিকিৎসকের দায়িত্ব পালন করতেন। অপর দিকে প্রাক্তন স্বামী খলিলুর রহমান (৪০) গাজীপুর জেলার কাপাসিয়া উপজেলার বেলাশী গ্রামের আতর আলী বেপারীর ছেলে।

মৃতের ভাই আবদুল জলিলের দাবি, খলিল গ্রামের বাড়িতে থাকতেন না। ঢাকায় থেকে গাড়ি চালাতেন। তার প্রেম-বিয়ের বিষয়েও পরিবারের সদস্যরা তেমন কিছু জানত না। গত রোববারের ঘটনার পর সব জানতে পেরেছেন।