Dr.Liakat Ali

Published:
2022-02-14 11:35:18 BdST

মর্গ থেকে মর্মান্তিকচিকিৎসকের চেম্বারে গলাকাটা লাশ,প্রতিহিংসা ও প্রেমের চাঞ্চল্যকর খুন রাঙানো নিষ্ঠুর কাহিনি


প্রতীকী ছবি

সংবাদ সংস্থা
_______________

চিকিৎসকের চেম্বারে গলাকাটা লাশ। সেটি আবার এসিস্ট্যান্টের। কে খুন করেছে তাকে। তা নিয়ে তোলপাড় বাংলাদেশের এক ছোট শহরে।
লাশ পাওয়ার কয়েক ঘন্টার মধ্যে বেরিয়ে আসে প্রতিশোধ, প্রতিহিংসা ও প্রেমের চাঞ্চল্যকর খুন রাঙানো নিষ্ঠুর কাহিনির।
নরসিংদীর পলাশ উপজেলার ঘোড়াশালে নিখোঁজের তিন দিন পর শনিবার চিকিৎসকের চেম্বার থেকে গলাকাটা মরদেহটি উদ্ধার করে পুলিশ। লাশটি মীর মাইনুল হকের (২০)। তিনি ঘোড়াশাল পৌর এলাকার দক্ষিণ চরপাড়া গ্রামের বাসিন্দা। ডাক্তারের সহকারী ছিলেন তিনি।

এ ঘটনায় শনিবার রাতেই ইসরাত জাহান (২০) নামের এক তরুণীকে আটক করেছে পুলিশ। ইসরাত জাহান নিহত মাইনুলের প্রেমিকা। মাইনুলের ভাইয়ের করা মামলায় গ্রেপ্তার দেখিয়ে আজ রোববার আদালতে হাজির করা হলে আদালত তাঁকে জেলহাজতে পাঠানোর নির্দেশ দেন।

 

প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে ইসরাত হত্যাকাণ্ডের দায় স্বীকার করেছেন। পলাশ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ ইলিয়াছ বলেন, যে চিকিৎসকের চেম্বারে মাইনুলের মরদেহ পাওয়া গেছে, তিনি সেখানকার কর্মচারী ছিলেন। ইসরাত একজন মেডিকেল অ্যাসিস্ট্যান্ট। তাঁদের মধ্যে কয়েক বছর ধরেই প্রেম ছিল। সে সম্পর্ক ভাঙলে গত বছরের মাঝামাঝিতে অন্য একজনকে বিয়ে করেন ইসরাত। তবে সেটিও ভেঙে গেলে মাস তিনেক ধরে মাইনুলের সঙ্গে তাঁর যোগাযোগ শুরু হয়। ৬ ফেব্রুয়ারি শ্রাবন্তী আক্তারকে মাইনুল বিয়ে করেন। এতে ক্ষুব্ধ হন ইসরাত। এরপর বৃহস্পতিবার মাইনুলের সঙ্গে ওই চেম্বারে দেখা করেন তিনি। সেখানে কৌশলে মাইনুলের ঘাড়ে চেতনানাশক ইনজেকশন পুশ করে তাঁকে অজ্ঞান করেন ইসরাত। ছুরি দিয়ে তাঁর গলা কেটে হত্যার পর ওই চেম্বারে তালা লাগিয়ে পালিয়ে যান। পরে ছুরি, মোবাইল ফোন ও সিরিঞ্জ পাশের শীতলক্ষ্যা নদীতে ফেলে দেন।

শ্রাবন্তী আক্তার বলেন, ‘নিখোঁজের পর প্রথমে ভেবেছিলাম, গোপনে বিয়ে করায় আমার বাবা ও ফুফা হয়তো তাঁর কোনো ক্ষতি করে থাকতে পারেন। পুলিশকে সেই সন্দেহের কথা জানিয়েছিলাম। তদন্ত শুরুর পর পুলিশ তাঁর কর্মক্ষেত্র অর্থাৎ ওই ডেন্টাল চেম্বারেও গিয়েছিল। তবে তা বাইরে থেকে তালাবদ্ধ থাকায় কোনো সন্দেহ হয়নি। কার কার সঙ্গে তাঁর যোগাযোগ ছিল, স্থানীয়ভাবে ও প্রযুক্তির সহায়তায় সে তথ্য সংগ্রহ করে পুলিশ। এরপরই ইসরাতের সঙ্গে তাঁর সম্পর্কের বিষয়টি জানা যায়।

 

চেম্বারটিতে রোগী দেখেন ডা শিহাবুল হক। তিনি ভৈরব উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের চিকিৎসক। জানান, সপ্তাহে দুই দিন তিনি ওই চেম্বারে রোগী দেখেন। বাকি দিনগুলোতে চেম্বারটি বন্ধ থাকে। এর চাবি তাঁর আর মাইনুলের কাছেই থাকে। শনিবার বিকেলে চেম্বারের দরজা খুলে ভেতরে ঢুকেই মাইনুলের মরদেহ পড়ে থাকতে দেখেন তিনি।

 

আপনার মতামত দিন:


ক্লিনিক-হাসপাতাল এর জনপ্রিয়