ডেস্ক

Published:
2022-01-07 00:15:26 BdST

এইচএসসি পাস মাসুদ এমবিবিএস মস্ত ‘’ ডাক্তার" হিসেবে প্রাইভেট প্রাকটিস করছিল ঢাকার নামকরা হাসপাতালে


মহম্মদ মহিউদ্দিন মাসুদ ও তার দামি সব যন্ত্রপাতি


সংবাদ দাতা
_______________

এইচএসসি পাস মহম্মদ মহিউদ্দিন মাসুদকে একজন কামেল ‘’ ডাক্তার" বলতেই হবে। সে খোদ বাংলা দেশের রাজধানী ঢাকায় একটি জনপ্রিয় জেনারেল হাসপাতাল অ্যান্ড ডায়াগনস্টিক সেন্টারে বসে এমবিবিএস (ডিইউ) পি.জি.টি (মেডিসিন ও শিশু) মেডিসিন ও শিশু রোগে অভিজ্ঞ, চর্ম, যৌন, নাক, কান ও গলা রোগে বিশেষ প্রশিক্ষণ প্রাপ্ত বিশেষজ্ঞ ডাক্তার পরিচয় দিয়ে মস্ত ডাক্তার সেজে প্রাইভেট করে যাচ্ছিল। জেনারেল হাসপাতালটি অবশ্য দাবি করেছে, মহম্মদ মহিউদ্দিন মাসুদ যে ডাক্তার নয়, এটা তারা জানতোই না।

র‌্যাব-৩ এর অপারেশন অফিসার ফারজানা হক আজ বৃহস্পতিবার মিডিয়াকে বলেছেন মাসুদ-বৃত্তান্ত। তিনি বলেন, 'মাসুদ নিজেকে ভুয়া এমবিবিএস (ডিইউ) পি.জি.টি (মেডিসিন ও শিশু) মেডিসিন ও শিশু রোগে অভিজ্ঞ, চর্ম, যৌন, নাক, কান ও গলা রোগে বিশেষ প্রশিক্ষণ প্রাপ্ত বিশেষজ্ঞ ডাক্তার পরিচয় দিতেন। দীর্ঘদিন ধরে ভুয়া চিকিৎসা প্রদান করে আসছেন তিনি। বিভিন্ন ঔষধ কোম্পানির সঙ্গে চুক্তি করে রোগ শনাক্তকরণের নাম করে রোগীদেরকে অযথা বিভিন্ন পরীক্ষার নির্দেশনা দিতেন। এছাড়াও তিনি ক্যামেরা যুক্ত ১টি কলম ব্যবহার করতেন, যার বাজার মূল্য ৪৫ হাজার টাকা। তার নির্দেশনা পত্র এবং পরীক্ষাগুলোর নাম ক্যামেরা সংযুক্ত কলমের মাধ্যমে সংশ্লিষ্ট কোম্পানির রেকর্ডে চলে যেত। এর মাধ্যমে তিনি কোম্পানিগুলো থেকে বড় অংকের অবৈধ অর্থ পেতেন।'

তিনি জানান, মাসুদের চেম্বার থেকে ১টি নেমপ্লেট, ৫০০টি ভিজিটিং কার্ড, ২৫টি সিল, ২০০টি প্রেসক্রিপশন, ২টি মোবাইলফোন, ১টি গোপন কলম ক্যামেরা এবং নগদ ৪ হাজার ৮৩০ টাকা উদ্ধার করা হয়।


তিনি আরও জানান, প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে ভুয়া এমবিবিএস ডাক্তার মাসুদ জানান যে, তিনি মূলত বরিশালের একটি কলেজ থেকে এইচএসসি পাস করেছেন। তার কোনো বৈধ ডাক্তারি সনদপত্র নেই। প্রতারণার মাধ্যমে দীর্ঘদিন ধরে ভুয়া চিকিৎসা প্রদান করে আসছেন তিনি।

রাজধানীর সবুজবাগের সেন্ট্রাল বাসাবো জেনারেল হাসপাতাল অ্যান্ড ডায়াগনস্টিক সেন্টার থেকে এমবিবিএস পরিচয়ে প্রতারণার দায়ে এই এইচএসসি পাস ভুয়া ডাক্তার মহম্মদ মহিউদ্দিন মাসুদকে গ্রেপ্তার করেছে র‌্যাব ৩।

তার বয়স (৩৮)।

এদিকে জেনারেল হাসপাতাল অ্যান্ড ডায়াগনস্টিক সেন্টারের ব্যবস্থাপক সরোজিত কুমার বিশ্বাস মিডিয়াকে বলেন, 'মাসুদ যে ভুয়া ডাক্তার তা আমাদের জানা ছিল না। তিনি প্রতিদিন দেড় ঘণ্টার মতো চেম্বারে বসতেন। আমাদের পরিচালক আলোচনার মাধ্যমে তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেবেন।'

আপনার মতামত দিন:


ক্লিনিক-হাসপাতাল এর জনপ্রিয়