Dr. Aminul Islam

Published:
2022-01-05 11:12:53 BdST

লঞ্চে আগুন: ঝালকাঠির সিভিল সার্জন ওএসডি


 

 

সংবাদ দাতা
রোববার (২ জানুয়ারি) স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয়ের উপসচিব জাকারিয়া পারভীন ওএসডির আদেশ প্রদান করেন। আর এ আদেশ ঝালকাঠিতে সোমবার (০৩ জানুয়ারি) সন্ধ্যায় সিভিল সার্জন কার্যালয়ে আসার পরে বিষয়টি জানা যায়।

এ ঘটনায় চিকিৎসক সমাজে ব্যাপক ক্ষোভ দেখা দিয়েছে। চিকিৎসকরা বলেছেন,  চুরি ডাকাতি লঞ্চে মানুষ পুড়িয়ে হত্যা যারাই ঘটাক, বিষয়টি ধামাচাপা দিতে ও-ই ডাক্তার কেষ্ট বেটাই দায়ি। 

একেবারেই হাস্যকরভাবে এই ঘটনায় চিকিৎসকদের জড়ানো হয়েছে। 

অধ্যাপক ডা রেজাউল করিম বিক্ষুব্ধ প্রতিক্রিয়ায় বলেন, ""ত্রুটিপূর্ন লন্চ চালানোর অনুমতি দিল কে?
ধারন ক্ষমতার চেয়ে অনেক বেশী যাত্রী পরিবহন করছিল লন্চটি, সেটা তদারকির দায়িত্ব ছিল কার?
লন্চে আগুন লাগার পর তীরের দিকে ভিড়িয়ে না দিয়ে গভীর পানির দিকে যাত্রা অব্যাহত রাখছিল কেন? এবং কারা?
নদীতে চলন্ত অবস্থায় আগুন লাগলে অগ্নি নির্বাপনের জন্য এবং দ্রুত উদ্ধার অভিযান পরিচালনার ব্যবস্থা ছিল না কেন?

এই সব প্রক্রিয়ার সাথে   ভদ্রলোকের নিশ্চয়ই সংশ্লিষ্টতা আছে। ওএসডি কোন শাস্তি নয়। তাকে আরো কঠিন শাস্তি দিন মাননীয়গন।""


৪ জানুয়ারি ঝালকাঠি ত্যাগ করার কথা বলে জানিয়েছেন, সিভিল সার্জন কার্যালয়ের জুনিয়র স্বাস্থ্য শিক্ষা কর্মকর্তা গৌতম কুমার দাস। তবে জানতে চাইলে ওএসডি করার কারণ তিনি জানেন না বলে উল্লেখ করেন।

জানা গেছে, বরিশাল বিভাগীয় কমিশনার সাইফুল হাসান বাদল ঝালকাঠি সিভিল সার্জনকে লঞ্চে অগ্নিকাণ্ডের পর তলব করেও পাননি।

এ ব্যাপারে সিভিল সার্জন ডা. রতন কুমার ঢালী বলেন, আমাকে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরে যোগদান করতে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। এর বাইরে আপাতত কিছু আমার জানা নেই, বলেন সিভিল সার্জন ডা. রতন কুমার ঢালী।

 


প্রসঙ্গত, গত ২৩ ডিসেম্বর বৃহস্পতিবার রাত সাড়ে ৩টা থেকে পরদিন শুক্রবার সকাল ৭টা পর্যন্ত লঞ্চে দগ্ধ ৭০ জন যাত্রীকে ঝালকাঠি সদর হাসপাতালে নেওয়া হয়। ঝালকাঠিতে বার্ন ইউনিট না থাকায় সদর হাসপাতালে ১৫ জন রেখে অন্যদের বরিশাল শের-ই-বাংলা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে পাঠিয়ে দেওয়া হয়।

আপনার মতামত দিন:


ক্লিনিক-হাসপাতাল এর জনপ্রিয়