ডেস্ক

Published:
2021-09-28 20:21:56 BdST

মর্গ থেকে মর্মান্তিকবুয়েট অধ্যাপকের লাশ পচে দুর্গন্ধ ছড়ানোর পরে ছেলে জানতে পারেন বাবা মারা গেছেন


 

সংবাদ দাতা
-------------------------------
ফিরিয়ে দাও অরণ্য, লও হে নগর।
ফিরিয়ে দাও মানবতা, লও এ যান্ত্রিক সভ্যতা।

রাজধানীর পল্লবী এলাকার একটি বাসা থেকে বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বুয়েট) সাবেক শিক্ষক রোকনুদ্দিন আহমেদের (৮০) মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ। পাশের ঘরে থাকলেও মরদেহ পচে দুর্গন্ধ ছড়ানোর পরে ছেলে জানতে পারেন তারা বাবা মারা গেছেন।

রাজধানীর পল্লবীর একই কক্ষে স্বামী রোকনুদ্দীন আহমেদের মরদেহের পাশে অন্তত দু'দিন ধরে শুয়েছিলেন বৃদ্ধ স্ত্রী নিলুফার ইয়াসমিন। তাদের সন্তান পাশের ঘরে থাকলেও জানত না যে বাবা মারা গেছে।

প্রতিবেশীদের কাছ থেকে খবর পেয়ে সোমবার পুলিশ ৮০ বছর বয়সী রোকনুদ্দীনের গলিত মরদেহ উদ্ধার করেছে। অসুস্থ স্ত্রীকে ভর্তি করা হয়েছে একটি হাসপাতালে।

পুলিশ ও প্রতিবেশীরা বলছেন, রোকনুদ্দীন আহমেদ বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বুয়েট) শিক্ষক ছিলেন। শাহরিয়ার আহমেদ রূপম নামের ওই দম্পতির যে ছেলে পাশের কক্ষে ছিলেন তিনিও একটি মেডিক্যাল কলেজে পড়ালেখা করতেন। ওই ঘটনায় চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়েছে।

পল্লবী থানার এসআই শফিকুল ইসলাম গণমাধ্যমকে বলেছেন, ওই বাড়ির পরিবেশ দেখে তার ‘অস্বাভাবিক’ মনে হয়েছে। মৃত রোকনুদ্দীন আহমেদ বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বুয়েট) শিক্ষক ছিলেন। রোকনুদ্দীনের স্ত্রী নীলুফার ইয়াসমিনকে হলি ফ্যামিলি রেড ক্রিসেন্ট হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।

অবশ্য ৪০ বছর বয়সী রূপম পুলিশকে বলেছেন, দু'দিন আগে তিনি তার বাবা-মাকে তাদের কক্ষে গিয়ে দেখে এসেছিলেন। তখন তারা শুয়েছিলেন। কিন্তু সোমবার দুপুরে ওই কক্ষ থেকে তিনি দুর্গন্ধ পান। তখন সেখানে গিয়ে দেখেন, তার বাবার শরীর ফুলে গেছে। মৃত অবস্থায় পড়ে আছেন। পাশেই তার মা অনেকটা অচেতন অবস্থায় শুয়ে ছিলেন।

প্রতিবেশীরা পুলিশকে জানিয়েছেন, ওই ফ্ল্যাটে বাইরের কাউকে বা কোনো আত্মীয়স্বজনকেও দেখা যেত না। ফ্ল্যাটের দরজা-জানালা প্রায় সবসময় বন্ধ থাকত। পল্লবী থানা জানিয়েছে, প্রতিবেশীদের কাছ থেকে খবর পেয়ে দুপুরের দিকে তিনি পল্লবী ৭ নম্বর সেক্টরের ওই ফ্ল্যাটে যান। ধারণা করা হচ্ছে- ২৪ ঘণ্টার বেশি সময় আগে ওই ব্যক্তি মারা গেছেন। দেহে অনেকটা পচন ধরেছে। ছেলের সঙ্গে কথা বলে তারা তথ্য উদ্ঘাটনের চেষ্টা করছেন।

পল্লবী থানার ওসি পারভেজ ইসলাম গণমাধ্যমকে বলেন, ছেলে রূপমের আচরণে মনে হয়েছে, তিনি মানসিকভাবে অসুস্থ। যদিও তারা জানতে পেরেছেন তিনি ঢাকার একটি বেসরকারি মেডিক্যাল কলেজে পড়তেন। কিন্তু তা শেষ করতে পারেননি। বিয়ে করলেও সংসার টেকেনি। রূপমকে তারা জিজ্ঞাসাবাদ করেছেন। তিনি নিজের কক্ষ থেকে খুব একটা বের হতেন না। দরজা লাগিয়ে থাকতেন।

আপনার মতামত দিন:


ক্লিনিক-হাসপাতাল এর জনপ্রিয়