Dr. Aminul Islam
Published:2021-09-20 19:52:37 BdST
মেডিসিন বিশেষজ্ঞ ডা. ওয়াহিদুর রহমান আর নেই
হাস্যোজ্জ্বল ছবিটি বিষাদ হয়ে গেল মর্মান্তিক শোকে
সংবাদদাতা
______________
মেডিসিন বিশেষজ্ঞ ডা. ওয়াহিদুর রহমান আর নেই।
চট্টগ্রাম বিজিসি ট্রাস্ট মেডিকেল কলেজেরএই মেধাবী চিকিৎসকের অকাল প্রয়াণে গভীর শোক জানিয়েছেন ডাক্তার প্রতিদিন সম্পাদক ও বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের মনোরোগ বিভাগের প্রফেসর ডা সুলতানা আলগিন।
তিনি বলেন, তাঁর অকাল প্রয়াণে বাংলাদেশ এক শ্রেষ্ঠ সন্তানকে হারাল।
ডা নাদিম জানান,
বিজিসি ট্রাস্ট মেডিকেল কলেজের ২য় ব্যাচের ছাত্র ডাঃ ওয়াহিদুর রহমান ভাই(MBBS,MCPS,FCPS-Medicine, MD-phase B neuromedicine) হালিশহরে বাইক দুর্ঘটনায় আহত হয়ে দীর্ঘদিন স্কোয়ার হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় কিছুক্ষণ আগে প্রয়াত হয়েছেন।
ডা. সুমন চৌধুরী জানান,
অনুজপ্রতিম মেডিসিন বিশেষজ্ঞ, নিউরোমেডিসিন রেসিডেন্ট ডা. ওয়াহিদ আর নেই!
গতমাসে মোটরবাইক দুর্ঘটনায় এক পা মারাত্মক জখম হলেও, এভাবে আজ চলে যাবে, তা মানতে পারছি না।
গত বছরের শেষের দিকে জুনিয়র কন্সালটেন্ট ডিপিসি নিয়ে ও আমাকে নক দেয় ইনবক্সে। লিস্টে ওর নাম আসবে কিনা, পদোন্নতি হবে কিনা--এসব নিয়ে উদ্বিগ্ন থাকত। আমি তাকে আশ্বস্ত করতাম।
পরে, ইন-সিটু পদোন্নতি হলেও, পোস্টিং দিয়ে দিলে নিউরোমেডিসিন কোর্স শেষ করতে পারবে কিনা, সে দুশ্চিন্তায়ও ছিল। সেখানেও তাকে আশ্বস্ত করি।
ইনবক্সের আলাপে তার সৌজন্যমূলক ব্যবহার এখনও চোখে ভাসছে।
আসলে, দেশের প্রেক্ষাপটে ওই স্তরের একজন বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকের ভাবনা এমনটাই হওয়া স্বাভাবিক।
ওর আশা, স্বপ্ন কেমন ছিল, তা মেসেঞ্জারের আলাপে বুঝে নিতে আমার অসুবিধা হতো না।
তাই, গতমাসে দুর্ঘটনার খবরে খুবই মর্মাহত হই। ওর সহকর্মী আর সহপাঠীদের সাথে কদিন পরপর যোগাযোগ করতে থাকি, শেষ অবস্থা জানার জন্য।
পায়ে স্কিন গ্রাফট করবে কখন, আর কিভাবে উন্নতি করা যায় ইত্যাদি নিয়ে আলাপ করতাম।
এভাবেই দিন যাচ্ছিল।
পরে এক পর্যায়ে জানতে পারি, ওর সেপটিক শক! আইসিউ-তে এরকম অবস্থার পরিণতি ভেবে শংকিত হই। তাছাড়া, মনকে বুঝাই, প্রয়োজনে সেই পা এম্পুটেশন করে হলেও ওকে বাঁচানো হয়ত যাবে!
কিন্ত না, আর শেষ রক্ষা হল না।
সে আর ফিরে এলো না!
ওর জন্য খুবই খারাপ লাগছে।
উন্নত বিশ্বে হলে এরকম দুর্ঘটনায় আজ কি এভাবে ওকে চলে যেতে হত? আমার জানা নেই!
ওর শোক সন্তপ্ত পরিবারের প্রতি সমবেদনা জানাই।
রিফাত মিথুন জানান,
আমাদের BGC পরিবারের সদস্য , তুখোড় ছাত্র ওয়াহিদুর রহমান (২য় ব্যাচ )বাইক দুর্ঘটনায় আহত হয়ে ১ মাস হাসপাতালে লড়াই করে আজ ইন্তেকাল করেছে ।ছোট ছোট দুইটা সন্তান আছে । প্রত্যেকবার দেখা হলেই সালাম দিয়ে তোমার সেই মিষ্টি লাজুক হাসি ভোলার মত না । ওর প্রশংসা বলে শেষ করা যাবে না ।শান্ত, নম্র, ভদ্র, অমায়িক ব্যবহার, ট্যালেন্টেড,অল্প বয়সে সব ডিগ্রীর ঝুলি,বাধা পেরিয়ে ভালবাসাকে জীবনসঙ্গী করা ,দুই সন্তানের পিতা ।এক কথায় বিজিসির সেরা ছিল ।এ সব মৃত্যু মেনে নেয়া যায় না । আমরা সকলেই জীবনের ছোট ছোট দু:খ গুলোকে অনেক বড় করে দেখি । জীবনে সবার সবসময় অভিযোগ- এটা হয়নি, ওটা পায়নি। জীবনে যাই হোক,বেঁচে আছি এটাই সবথেকে বড় পাওয়া । ওপারে ভাল থাকুক ভাইটা ।মানতে পারছি না।
আপনার মতামত দিন: