ডেস্ক

Published:
2021-07-13 14:15:57 BdST

'এই ক্রান্তিলগ্নেও মানুষ কিভাবে নিজেদের মধ্যে হানাহানি করতে পারে আমি বুঝি না'


 

ডা. সুরেশ তুলসান

 

______________________
সতর্কতামূলক পোস্টঃ
ধন্য এই টা মানব জাতি। সমগ্র বিশ্ব জুড়ে যখন করোনা নামক এই মহামারীতে মানুষের প্রাণ ওষ্ঠাগত, এবং কেউ জানেন না কে আক্রান্ত হবেন আর কে হবেন না। কে বেঁচে থাকবেন আর কে পরপারে পাড়ি জমাবেন এটাও কারও জানা নেই।
এই রকম একটা ক্রান্তিলগ্নেও মানুষ কিভাবে নিজেদের মধ্যে হানাহানি করতে পারে আমি বুঝি না। এই মধ্যরাতে বুক-পিঠের ডান পার্শ্বে মারাত্মক কোপ খাওয়া এবং অতিরিক্ত রক্তক্ষরণের এক রোগীর অপারেশন করলাম কুষ্টিয়া মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে। সার্জন ডা.মো.আরিফুল ইসলাম এর ত্বরিত আয়োজন এবং এনেস্থেসিওলজিস্ট ডা ইকবালের ঐকান্তিক সহযোগিতা ছাড়া এটা কোন ভাবেই সম্ভব ছিল না। আমাদের সাথে আরও ছিলেন অনারারি মেডিকেল অফিসার ডা তারেক এবং ইন্টার্নি চিকিৎসক ডা ফাহিম, ডা মইন এবং ডা জালাল।
সামগ্রিক সহযোগিতার জন্য ধন্যবাদ জানাই ওটি তে কর্মরত নার্স, খালা এবং ওটি বয়দেরকে।
এবার ডা তারেককে নিয়ে দুটি কথা না বললে তার প্রতি ভীষণ অন্যায় করা হবে। অনারারি মেডিকেল অফিসারের অর্থ হলো বিনাবেতনের চাকুরী। ভাবা যায় এই করোনা মহামারীতেও একজন ডাক্তার একটা করোনা ডেডিকেটেড হাসপাতালে বিনা বেতনে কাজ করতে পারে, তাও এই মধ্যরাতে, নিজ এবং নিজ পরিবারের জীবনের ঝুকি মাথায় নিয়ে। অথচ এই মুহূর্তে ডা তারেকের সাথেই এই হাসপাতালের সার্জারী বিভাগে কর্মরত অন্য একজন অনারারি মেডিকেল অফিসার ডা.মৌ করোনা আক্রান্ত হয়ে চিকিৎসাধীন আছেন। সকলেরই জানা থাকার কথা, দিন দিন করোনা আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা বেড়ে যাওয়ার কারণে অন্যান্য অতি জরুরি না এই ধরণের চিকিৎসা সেবাকে সংকুচিত করে কুষ্টিয়া মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল কে কর্তৃপক্ষ করোনা ডেডিকেটেড হাসপাতালে রুপান্তর করতে বাধ্য হয়েছেন।
সকলের প্রতি কিছুটা সংযত, সংবেদনশীল এবং সাবধান হওয়ার অনুরোধ রইলো। কেননা করোনা পরিস্থিতি এর চেয়েও ভয়াবহ হলে আপনাদের এই সামান্য সেবাটুকু দেওয়ার সুযোগও হয়ত আমরা না পেতে পারি।

আপনার মতামত দিন:


ক্লিনিক-হাসপাতাল এর জনপ্রিয়