SAHA ANTAR

Published:
2021-07-02 14:33:21 BdST

ডা. অসিত মজুমদার সিনিয়র প্রধান চিকিৎসা কর্মকর্তা হিসেবে বাংলাদেশ ডায়াবেটিক কেয়ারে যোগ দিচ্ছেন


 

ডেস্ক
_______________

বাংলাদেশের বিশিষ্ট লোক সেবী চিকিৎসক ডা. অসিত মজুমদার সিনিয়র প্রধান চিকিৎসা কর্মকর্তা হিসেবে বাংলাদেশ ডায়াবেটিক কেয়ারে ৪ জুলাই যোগ দিচ্ছেন। এর আগে তিনি বাংলাদেশ ডায়াবেটিক সমিতিতে সিনিয়র চিকিৎসা কর্মকর্তা হিসেবে এক যুগেরও অধিককাল কাজ করেছেন।
ডাক্তার প্রতিদিন সম্পাদক ও বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের মনোরোগ বিভাগের প্রফেসর ডা সুলতানা আলগিন এক শুভেচ্ছা বার্তায় বলেন, বাংলা দেশের ডায়াবেটিস রোগীরা দীর্ঘদিন ধডা অসিত মজুমদারের সুচিকিৎসা পাচ্ছেন। এবার অনন্য একটি লোকসেবা প্রতিষ্ঠানে তাঁর কর্মনৈপূণ্যের পুরোটা নিয়োগ করবেন। আশা করা যায়, মানুষ এখন আরও বেশী সেবা পাবেন। তাঁর স্বপ্নের প্রতিষ্ঠান সারা দেশে ছড়িয়ে পড়বে। তাঁর প্রতি সর্বাঙ্গীণ শুভকামনা রইল।

ডা অসিত মজুমদার এক লেখায় জানান,

সিনিয়র প্রধান চিকিৎসা কর্মকর্তা হিসেবে বাংলাদেশ

ডায়াবেটিক কেয়ার এ যোগদান প্রসঙ্গে।
তিনি বলেন,


আমেরিকান সফল উদ্যোক্তা ক্রিস গ্রসারের উক্তি দিয়ে শুরু করি, “সাফল্য ঘটে না। তাকে ঘটাতে হয়” বিখ্যাত স্প্যানিশ চিত্রশিল্পী পাবলো পিকাসোর ভাষায় “কাজ শুরু করাই হলো সাফল্যের মূল চাবিকাঠি”। হ্যাঁ, আগামী ৪ঠা জুলাই ২০২১ রবিবার আমার জন্য একটি বিশেষ দিন। এদিন আমি বাংলাদেশ ডায়াবেটিক কেয়ার BANGLADESH DIABETIC CARE DHAKA তে সিনিয়র প্রধান চিকিৎসা কর্মকর্তা হিসেবে কর্মজীবন শুরু করতে যাচ্ছি । এটি একটি নতুন অধ্যায়। ইতিপূর্বে আমি বাংলাদেশ ডায়াবেটিক সমিতিতে সিনিয়র চিকিৎসা কর্মকর্তা হিসেবে এক যুগেরও অধিককাল সময় ধরে কাজ করেছি।
আমেরিকান সফল উদ্যোক্তা আর্নল্ড গ্লাসগো বলেছেন “সাফল্যের আগুন একা একা জ্বলে না। এটা নিজ হাতে জ্বালাতে হবে”। এদিকে ভারতীয় পন্ডিত, সাধক ও লেখক স্বামী বিবেকানন্দ বলেছেন, “একটি লক্ষ্য ঠিক করো। সেই লক্ষ্যকে নিজের জীবনের অংশ বানিয়ে ফেলো। চিন্তা করো, স্বপ্ন দেখো। তোমার মস্তিষ্ক, পেশী, রক্তনালী – পুরো শরীরে সেই লক্ষ্যকে ছড়িয়ে দাও, আর বাকি সবকিছু ভুলে যাও। এটাই সাফল্যের পথ।” হ্যাঁ, নিজ হাতে আলো জ্বালাতে একটি লক্ষ্য নিয়ে শুরু বাংলাদেশ ডায়াবেটিক কেয়ার।

BANGLADESH DIABETIC CARE এর উদ্যোক্তা এবং প্রতিষ্ঠাতা চেয়ারম্যান হিসেবে চিকিৎসা প্রদানের পাশাপাশি দেশের টেকসই স্বাস্থ্য ব্যবস্থা উন্নয়নের লক্ষ্যে বাংলাদেশ সরকারের স্বাস্থ্য বিষয়ে গৃহীত বিভিন্ন কার্যক্রমে স্বাস্থ্যখাতের উন্নয়ন বিষয়ে সরকারী-বেসরকারী, জাতীয় - আন্তর্জাতিক এবং বিভিন্ন স্টেকহোল্ডারদের সঙ্গে নীতিনির্ধারণ ও কৌশলগত পরামর্শ দেয়া এবং তা প্রয়োগে যথাযথ ভূমিকা গ্রহণই হবে আমার মূল কাজ। বিশ্ব বিখ্যাত রক মিউজিশিয়ান বন জোভির কথা হচ্ছে “সাফল্য মানে ৯ বার পড়ে গিয়ে ১০ম বার উঠে দাঁড়ানো”। ব্যাপারটা ঠিক এমনই। আবার ৫০-৬০ এর দশকের আমেরিকার মুসলিম নেতা ম্যালকম এক্স এর মন্তব্যটা এরকম যে “যদি তোমার সমালোচনা করার মত কেউ না থাকে, তবে তোমার সফল হওয়ার সম্ভাবনা নেই বললেই চলে”। হ্যাঁ সেসব ভেবে চিন্তেই অনানুষ্ঠানিকভাবে ২০১৩ সাল থেকে পরীক্ষণ, গবেষণা ও পর্যবেক্ষণ শেষে আনুষ্ঠানিকভাবে গত এক বছর ধরে পূর্ণকালীন নিরলস প্রচেষ্টায় কর্মকৌশল প্রণয়নের মাধ্যমে বিভিন্ন ধাপে জনসংযোগ এবং সমাজের সকল পর্যায়ে গণযোগাযোগের মধ্য দিয়ে শেষ পর্যন্ত আমার এই কাজে আমি খুব খুশি ।
আমেরিকান লেখক ও শিল্পী ফ্র্যাঙ্ক লয়েড এর ভাষায়
"সাফল্যের জন্য ভালোবাসা, কঠোর পরিশ্রম, আর স্বপ্নকে বাস্তব হতে দেখার জন্য ব্যর্থতার পরও কাজ করে যেতে হবে।” আমরা এও জানি “সাফল্য অর্জন করা আর সফল হওয়া এক নয়। সুবিধা পেলে অনেকেই সফল হতে পারে। অনেককে জোর করে সফল বানানো হয়। কিন্তু যে নিজের চেষ্টা আর পরিশ্রম দিয়ে সফল হয় – সেই প্রকৃত সাফল্য অর্জন করে”। সুতরাং নিজের চেষ্টায় প্রতিনিয়ত কাজ করে যেতে হবে।
আপনারা সবাই আমার জন্য দোয়া আশীর্বাদ করবেন আমি যেন আমার ওপর গৃহীত কাম অর্পিত সকল দায়িত্ব সঠিকভাবে পালন করে বাংলাদেশের স্বাস্থ্যখাতে কাঙ্খিত অগ্রগতি বিশেষ করে দারিদ্র্য বিমোচনসহ দরিদ্র মানুষের স্বাস্থ্যের উন্নতি , বৈষম্য হ্রাসে ভূমিকা রাখতে পারি।

আমার সঙ্গে যোগাযোগের সময় সকাল ৭:৩০ থেকে ১২টা এবং সন্ধ্যা ৬:০০টা থেকে ৯:০০টা। যোগাযোগঃ ০১৯২৩২৮৫১১০

সময় থাকলে নীচের আরো ক'টি উক্তি পড়ুন।
*****************************************

“জীবনে সফল হতে চাইলে দু’টি জিনিস প্রয়োজন: জেদ আর আত্মবিশ্বাস”
– মার্ক টোয়েন (বিশ্বখ্যাত লেখক ও ঔপন্যাসিক
“ব্যবসার জগতে তারাই সবচেয়ে বেশি সফল, যারা তাদের সবচেয়ে ভালোলাগার কাজটি করছে”
– ওয়ারেন বাফেট (আমেরিকান বিলিওনেয়ার)
“সফল মানুষেরা সাধারণত তাঁদের কাজের বিষয়কে পাগলের মত ভালোবাসেন।”
– সংগৃহীত

আপনার মতামত দিন:


ক্লিনিক-হাসপাতাল এর জনপ্রিয়