ডেস্ক

Published:
2021-05-27 17:15:09 BdST

বিএসএমএমইউ থেকে এমএস পাশ করা নেপালী ডা মুরাদের অকাল মৃত্যু


 

ডেস্ক
________________

বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয় থেকে এমএস অর্থোপেডিক পাশ করা লোক সেবী নেপালী
ডা. মুরাদ হোসেন সম্প্রতি মারা গেছেন।
তাঁর প্রয়াণে গভীর শোক জানান ডাক্তার প্রতিদিন সম্পাদক ও বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের মনোরোগ বিভাগের প্রফেসর ডা সুলতানা অালগিন। তিনি বলেন, বিএসএমএমইউ তে শিক্ষা গ্রহণ কারী নেপালী ডা মুরাদ সজ্জন চিকিৎসক ছিলেন। সদালাপী বিনয়ী এবং গভীর শিক্ষানুরাগী ছিলেন।
তাঁর প্রয়াণে হারালাম একজন সুজন মানুষকে। নেপাল হারাল তার শ্রেষ্ঠ সন্তানকে।
নেপালী অনেক ডাক্তার বিএসএমএমইউ তে নিয়মিত উচ্চ শিক্ষা নেন। ডা মুরাদ তাদের মধ্যে মেধাবী হিসেবে স্বকীয় অনন্যতা অর্জন করেন।

 

ডাঃ মনিরুল ইসলাম জানান,

মুরাদ হোসেন নেপালি চিকিৎসক। ইয়াং , প্রতিভাবান, দক্ষ, অসাধারণ ভালো একটা ছেলে ,খুবই ডেডিকেটেড আর ওবিডেন্ট। নর্থ বেঙ্গল মেডিকেল কলেজ থেকে এমবিবিএস শেষ করার পর BSMMU তে অর্থোপেডিক সার্জারী তে রেসিডেন্সি MS কোর্সে ভর্তি হয়ে খুবই সফলতার সাথে ফাইনাল পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হয়ে নিজ দেশ নেপালে পাড়ি জমায় কিছুদিন আগেই ,তার সব ভালো ভালো গুন দিয়ে সে অচিরেই ডিপার্টমেন্ট এর সব সিনিয়র জুনিয়র , স্টাফ , নার্স, শিক্ষকদের মন জয় করে নেয়। ইচ্ছে অসহায় সাধারণ রোগীর সেবার মাধ্যমে নিজের দেশে অর্থোপেডিক সার্জারি সাবজেক্ট কে আরো উন্নতির শিখরে পৌঁছে দেওয়া। কিন্তু কে জানতো এত তাড়াতাড়ি তাকে মহান প্রভুর ডাকে সাড়া দিয়ে সব ফেলে পরপারে পাড়ি জমাতে হবে! কোভিড 19 এ আক্রান্ত হয়ে ইনটুবেশনে থাকা অবস্থায় আজ ভোরে সবাইকে কাঁদিয়ে সবার প্রিয় চিকিৎসক প্রিয় মুখ ডা: মুরাদ হোসেন চলে যান চিরতরে না ফেরার দেশে।

ডাঃ মনিরুল ইসলাম
খুমেক, 12 প্রজন্ম
কনসালটেন্ট(অর্থো), ঝিনাইদহ সদর হাসপাতাল

বিএসএমএমইউ র মেডিকেল অফিসার শোক এপিটাফ এ জানান


বিএসএমএমইউ র অর্থোপেডিক ডিপার্টমেন্টে পরিচয় হয় ডা. মুরাদ হোসেন ভাইয়ার সাথে।

ভাইয়া হলেন নেপালী ।বিএসএমএমইউ তে অর্থোপেডিক কোর্সে ছিলেন।
আমি একবার নেপালে ঘুরতে গিয়েছিলাম সেটা নিয়ে ভাইয়ার সাথে অনেক গল্প হয়।

নাগরকোট নামে একটা যায়গা আছে যেটা সারফেস থেকে অনেক অনেক উপরে।ঠান্ডা শীতল হাওয়া,চার দিকে শুধু পাহাড় আর পাহাড়।সে কি পাহাড়ের উচ্চতা।আর সেখানে এক কাপ নেপালী চা!
এটা নিয়েও ভাইয়ার সাথে আমার অনেক গল্প হয়।বলছিলাম জীবনের আরো একবার সেখানে যাওয়ার ইচ্ছা আমার।উনি বললেন,গেলে যেন ওনার সাথে দেখা করি।

মর্নিং সেশনে যখন কেস প্রেজেন্ট থাকতো আমার,সবার আগে আমি মুরাদ ভাইয়াকে খুঁজতাম।কি তাঁর আন্তরিকতা!ধরে ধরে প্রত্যেকটা জিনিস আমাকে শিখিয়েছিন।বলে দিতেন ডায়াসে স্যাররা কি কি ধরবে,কোনটা কিভাবে প্রেজেন্ট করতে হবে।

একদিন কোন এক ছুটির দিনে এক সাথে ডিউটি পড়ে আমাদের।ভাইয়া আমাকে নিয়ে বিএসএমএমইউ টিএসসি ক্যান্টিনে খাওয়ালেন।উনি সব সময়ই খুব পরিপাটি থাকতে পছন্দ করতেন।আমি জিজ্ঞেস করলাম
-ভাইয়া,সব সময় কিভাবে এমন থাকেন?
উনি হেসে দিলেন।বললেন,পরিপাটি থাকলে মনটা ভালো থাকে ,তাই থাকি।

এমএস অর্থোপেডিক পাস করে চলে গিয়েছিলেন নেপালে এই তো কিছু দিন হলো।কে জানতো এতটা কম সময়ের মাঝে তাকে দুনিয়া ছেড়ে চলে যেতে হবে?ভাইয়া কয়েকদিন আগে করোনা ইনফেক্টেড হয়ে নেপালেই মারা যান।

 

আপনার মতামত দিন:


ক্লিনিক-হাসপাতাল এর জনপ্রিয়