Dr..Azad Hasan
Published:2021-05-13 20:12:24 BdST
ইমার্জেন্সি ডিউটি এবং যারা "২৪ ঘন্টা অন কল"এ থাকবেন, তাদের খাবার হাসপাতালকে দিতে হবে
ডা. আজাদ হাসান
______________________
ঈদ কিংবা জাতীয় দিবসে ইমার্জেন্সি ডিউটিতে থাকা চিকিৎসক এবং নার্সসহ স্বাস্থ্য কর্মীদের খাবার প্রসংগে।।
প্রতিবার ঈদের সময় যে সব চিকিৎসক এবং নার্সসহ স্বাস্থ্য কর্মীরা হাসপাতালের ইমার্জেন্সি এবং অন্তঃবিভাগে ডিউটিতে থাকেন, তাদেরকে তাদের খাবার নিয়ে সংকটে পড়তে হয়। কারণ, ঐ সময় খাবারের দোকান বন্ধ থাকে এমন কি কোথাও কোথাও হাসপাতালের ক্যান্টিনও বন্ধ থাকে। তাই এই সমস্যাটি কিভাবে সমাধান করা যায়, সেটা নিয়ে আলোচনা করা যাক। প্রসংগত উল্লেখ্য, উক্ত বিশেষ দিনগুলোতে রোগীদের জন্য "বিশেষ উন্নত খাবার" পরিবেশন করার ব্যবস্থা থাকলেও চিকিৎসক বা নার্সসহ অন্যান্য স্বাস্থ্য কর্মীদের জন্য কোনো ব্যবস্থা থাকে না। ফলে পকেটে টাকা থাকলেও চিকিৎসক এবং নার্সসহ অন্যান্য স্বাস্থ্যকর্মীরা বাহিরের হোটলে অনেক সময় খাবার পান না, আবার পেলেও৷ সে সব খাবার কতটা স্বাস্থ্য ঝুঁকি মুক্ত তা নিয়ে প্রশ্ন আছে।
আমার মতে যারা ঈদের সময় এবং জাতীয় দিবস গুলোতে "ইমার্জেন্সি ডিউটি" করবেন এবং "২৪ ঘন্টা অন কল" থাকবেন, তাদের খাবার হাসপাতাল হতে সরবরাহ করা উচিত।
এটা আবার দু'ভাবে হতে পারে, যারা এই ডিউটিতে থাকবেন তাদেরকে হাসপাতাল অথরিটি ডিউটিতে আসা মাত্র খাবারের কুপন দিয়ে দিবেন।
★সংশ্লিষ্ট চিকিৎসক বা নার্স উক্ত কুপন দেখিয়ে হাসপাতাল ক্যান্টিন হতে খাবার সংগ্রহ করবেন।
★ অল্টারনেটিভ হতে পারে, নির্দিষ্ট সময়ে সংশ্লিষ্ট চিকিৎসক বা নার্সের খাবার ওনাদের ডিউটি প্লেসে পৌছে দিবে।
প্রশ্ন হলো ওনাদেরকে কেনো হাসপাতাল হতে খাবার সরবরাহ করতে হবে?
প্রথম কথা হলো, চিকিৎসক এবং নার্সরা যাতে হাসপাতালে ভালো সার্ভিস দিতে পারেন তার জন্য অনুকূল পরিবেশ সৃষ্টি করা।
দ্বিতীয়তঃ আমাদের দেশের কর্পোরেট হাসপাতাল গুলোতেও এই সিস্টেম প্রচলিত আছে।
তৃতীয়তঃ উন্নত বিশ্বে আমার প্রস্তাবিত নিয়মটি অনুসৃত হয়।
প্রশ্ন হতে পারে এর ব্যয়ভার কে বহন করবে? এর ব্যয়ভার সংশ্লিষ্ট হাসপাতাল কর্তৃপক্ষকে বহন করতে হবে। প্রয়োজনে এ জন্য সরকার বা সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয় হতে বাজেট বরাদ্দের ব্যবস্থা করতে পারে।
আপনার মতামত দিন: