ডেস্ক

Published:
2021-05-11 19:57:58 BdST

স্পেশালিস্ট হওয়ার আগে একজন দক্ষ জিপি হওয়া আবশ্যক


 

ডা. আজাদ হাসান
________________

 

স্পেশালিস্ট হওয়ার আগে একজন ভালো জিপি হওয়া আবশ্যক। কথাটি কেনো বললাম?
আমাদের দেশে এখনো চিকিৎসক এবং জনসংখ্যার অনুপাত হিসাব করলে দেখা যায় চিকিৎসক স্বল্পতা আছে। একজন এমবিবিএস চিকিৎসক উপজেলা পর্যায়ে রাষ্ট্রীয় ভাবে একজন স্বীকৃত মেডিক্যাল প্রাকটিশনার। আমাদের দেশের আর্থ - সামাজিক প্রক্ষাপটে একজন এমবিবিএস চিকিৎসকের উচিৎ "কমন কেস" সমুহের ম্যানেজমেন্ট জানা এবং "প্রয়োজন সাপেক্ষে", "যথা সময়ে" "উপযুক্ত স্থানে" উন্নত চিকিৎসা কেন্দ্রে প্রেরণ করা। তবে~

আমাদের নবীন চিকিৎসকদের মাঝে এক ধরনের মানসিকতা কাজ করে যেমন, আমি তো ভবিষ্যতে সার্জারীতে ক্যারিয়ার করবো, সুতরাং আমার মেডিসিন বেশী না জানলেও চলবে।
আবার কেউ কেউ মনে করেন, আমি তো মেডিসিন এ ক্যারিয়ার করবো, আমার গাইনী না জানলেও চলবে।
আবার যারা গাইনীতে ক্যারিয়ার করবেন, তারা মনে করেন, আমার পিডিয়াট্রিক্স না জানলেও চলবে।
মেডিক্যাল সাইন্স একটি ভাস্ট সাবজেক্ট, নো ডাউট। কিন্তু কমন কিছু বিষয়ে চিকিৎসা সম্পর্কে সব চিকিৎসকদের অবশ্যই নূন্যতম ধারণা এবং পেশেন্ট ম্যানেজ করার ক্যাপাসিটি থাকা আবশ্যক।
আর এ জন্য আমাদের ইন্টার্নশিপ ট্রেনিং ঢেলে সাজাতে হবে।
ইন্টার্নিশিপ ট্রেনিং-এর সময় আউটডোর পেসেন্ট দেখা এবং স্পট ডায়গনসিস শেখার উপর গুরুত্ব দিতে হবে।
ইনডোরে সাধারণত ডায়গনোসড্ কেস এবং একাডেমি কেস থাকে সেগুলোও স্ট্যাডি করতে হবে, তবে কমন ডিজিজ সমূহ যাতে মিস না হয়, বা ভুল চিকিৎসা না হয় তা লক্ষ্য রাখতে হবে।
সরকারী হাসপাতালের চিকিৎসকদের জন্য ডায়রিয়া, এআরআই, ম্যানেজমেন্ট অফ টিবি এন্ড লেপ্রোসী, ডাব্লিউ এইচও গাইড লাইন ফর ম্যানেজমেন্ট অফ ম্যালেরিয়া, কালাজ্বর, এলিফ্যানথিয়াসিস, গাইড লাইন ফর ডায়বেটিস, এজমা ইত্যাদি বিষয়ে বিভিন্ন ট্রেনিং এর ব্যবস্থা রয়েছে। তা নিজেরাও ক্লিনিক্যাল নলেজ আপডেট করতে হাইপারটেনশনের চিকিৎসার জন্য JNC guidelines, Nice guidelines. এগুলো পড়তে এবং ফলো করতে পারেন।

কিন্তু বেসরকারী চিকিৎসকদের জন্য এ ধরনের কোন ট্রেনিং এর ব্যবস্থা নেই। বেসরকারী চিকিৎসক প্রাকটিশনার এসোসিয়েশন ইচ্ছে করলে নবীন চিকিৎসকদের জন্য এ ধরনের ট্রেনিং এরেঞ্জ করতে পারেন।

তাছাড়া চিকিৎসকদের নলেজ আপডেটেড্ রাখতে বাংলাদেশ মেডিক্যাল এন্ড ডেন্টাল কাউন্সিলের রেজিস্ট্রেশন রিনিউ করার সময় কিছু শর্ত যোগ করা যেতে পারে। যেমনঃ
১) প্রতি বছরের জন্য ৩০ ঘন্টা সিএমই বাধ্যতা মূলক করা।
২) বিএলএস বা সিপিআর ট্রেনিং বাধ্যতা মূলক করা উচিৎ।

আপনার মতামত দিন:


ক্লিনিক-হাসপাতাল এর জনপ্রিয়