ডেস্ক

Published:
2021-04-17 20:17:52 BdST

"আত্মহননের পথ বেছে নিলাম: ইসলামি শরিয়া মোতাবেক আমার দাফনের ব্যবস্থা করুন" শেষ চিঠি



ডেস্ক
------------------
অতি মারী কালে নানা কুসংস্কার ও অপপ্রচারের কবলে মানসিক চাপ সামলাতে না পেরে আত্মহনন করলেন মুগদা হাসপাতালে চিকিৎসা ধীন রোগী।
তিনি সুস্থ হয়ে উঠছিলেন। কিন্তু নানা কুসংস্কার ও অপপ্রচারে আতঙ্কিত ও হতাশায় ভুগছিলেন।  

হাসপাতালে হাসিবের বিছানায় একটি চিরকুট পাওয়া গেছে। জীবনের শেষ চিঠিতে তিনি লিখেছেন, ‘আমি আত্মহননের পথ বেছে নিলাম। ইসলামি শরিয়া মোতাবেক আমার দাফনের ব্যবস্থা করুন।’

তিনি হাসপাতালের ১১ তলার একটি কেবিনে চিকিৎসাধীন ছিলেন।
তিনি হাসপাতাল থেকে লাফ দিয়ে আত্মহত্যা করেছেন।

ওই ব্যক্তির নাম হাসিব ইকবাল (৫০)। রাজধানীর ইস্কাটনে বসবাস করতেন। তাঁর গ্রামের বাড়ি কুমিল্লায়।

৯ এপ্রিল থেকে হাসিব হাসপাতালে চিকিৎসাধীন ছিলেন। তিনি অবিবাহিত। তার আত্মীয়স্বজনকেও তেমন খুঁজে পাওয়া যাচ্ছে না। মোহাম্মদপুরে এক সৎভাইয়ের খোঁজ পাওয়া গিয়েছিল। তিনি আসতে পারবেন না বলে জানিয়েছেন। লাশ ময়নাতদন্তের জন্য ঢাকা মেডিকেল কলেজের মর্গে পাঠানো হয়েছে। সেখান থেকে মকবুল নামের তাঁর দূরসম্পর্কের আত্মীয়ের লাশ নেওয়ার কথা রয়েছে।

 

---------------------------------

----------------------------------

 


মহামারি থেকে সেরে দীর্ঘ মেয়াদি মানসিক সমস্যা: জরুরি প্রেসক্রিপশন

প্রফেসর ডা সুলতানা আলগিন
মনোরোগ বিদ্যা বিভাগ
কনসালটেন্ট ওসিডি ক্লিনিক ও জেরিয়াট্রিক ক্লিনিক
বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়, ঢাকা
------------------------------------

চলমান অতি মারী সকলের জন্য চ্যালেঞ্জ। চিকিৎসকরা বিশ্ব জুড়ে প্রতিদিন ই নতুন সমস্যা মোকাবিলা করছি।
সেসব থেকে শিখছি।
বাংলাদেশে করোনা থেকে সেরে ওঠার পর রোগীরা অনেকেই মেয়াদি মানসিক সমস্যায় ভুগছেন। বিষয়টি অবহেলাও করছেন। মেজাজ খারাপ, খিটখিটে, খিটমিটি। ভাবছেন, ও এমনিই।
টেনশন বেড়েছে। অল্পতেই দুশ্চিন্তা করছেন।
ভাবছেন, এ নতুন কি। চারপাশে যা ঘটে চলেছে। দুশ্চিন্তা হবেই।

কিন্তু মেজাজ গরম, টেনশন। এটা মানসিক স্বাস্থ্যর জন্য মোটেই সুখকর নয়। ভালো নয়। এটার চিকিৎসা দরকার। চিকিৎসা নিতেই হবে।

মানসিক সমস্যা গুলোকে পাত্তা দিতে হবে।

করোনা থেকে সুস্থ হয়ে ওঠার পর মানসিক স্বাস্থ্য সমস্যায় ভোগা রোগী নিয়ে বাংলা দেশের মনোরোগ চিকিৎসকরা সেবা দিচ্ছেন।
অনেক মনোরোগ বিশেষজ্ঞ বিষয়টিকে আলাদাভাবে গুরুত্ব দিয়ে দেখছি।

অবহেলা করবেন না। অবহেলায় রোগ জটিল হয়।
কোন আত্মীয় স্বজন, বন্ধু পরিজন করোনা থেকে সেরে ওঠার পর তাঁর দিকে নজর রাখতে হবে। দেখুন, কোন মানসিক বৈকল্যে ভুগছেন কি না।

মানসিক কোন পরিবর্তন হলে দেরী না করে মানসিক রোগ বিশেষজ্ঞ ডাক্তারের পরামর্শ নিন।
সেটা জরুরি। খুবই গুরুত্বপূর্ণ।

সকলের প্রিয় শিক্ষক অধ্যাপক ডা শুভাগত চৌধুরী স্যার জানান,
বড় এক গবেষণায় দেখা গেছে , কোভিড ১৯ আক্রান্ত রোগী সেরে উঠার পর এদের এক তৃতীয়াংশের হয় স্নায়বিক বা মানসিক সমস্যা। প্রধান হল দুশ্চিন্তা আর মেজাজের বৈকল্য ।
মগজের সমস্যা যেমন স্ট্রোক আর ডিমেনশিয়া এর চেয়ে কম হলেও যাদের রোগ থাকে গুরুতর এদের মধ্যে হয় বেশি।
এসব সমস্যা হয়ে যায় দীর্ঘ মেয়াদী
প্রকাশিত হয়েছে ল্যানসেট সাইকিয়াট্রি তে।

 

আপনার মতামত দিন:


ক্লিনিক-হাসপাতাল এর জনপ্রিয়