Ameen Qudir

Published:
2020-02-20 23:04:28 BdST

এইচএসসি ভুয়ো ডাক্তার ভিজিট নেন ৬০০ টাকা: ২০ বছর প্রাকটিস করে কোটিপতি



ডেস্ক
__________________

এমবিবিবিএস ডাক্তাররা ২০০ টাকা ভিজিট নিয়ে যে রোগীদের কাছে কসাই ; সেই রোগীদের অনেকে এই এইচএসসি পাশ ভুয়ো চিকিৎসককে ৬০০ টাকা ভিজিট দিয়ে দেখাতেন নিয়মিত। এই বাংলাদেশের স্বাস্থ্যখাতের হাল।
মেডিকেল কলেজ কখনেই পড়াশোনা করেন নি তিনি। কিন্তু তার ডিগ্রির বাহার কম ছিল না। এমবিবিএস, এমডি, পিএইচডি ডিগ্রির সাইনবোর্ড ব্যবহার করতেন তিনি। দু চার বছর নয় দীর্ঘ ২০ বছর চিকিৎসা দিয়ে যাচ্ছিলেন ভুয়া ডাক্তার নেজাম উদ্দিন।ছিলেন ধরা ছোঁয়ার বাইরে। ধরা পড়ার পর তিনি র্যাবকে জানান, উচ্চ মাধ্যমিক পর্যন্ত পড়াশোনা করেছেন।
১৯ ফেব্রুয়ারি২০২০ সন্ধ্যায় তাকে আটক করে ফেনীস্থ র‌্যাপিড এ্যাকশন ব্যাটলিয়ন র‌্যাব-৭। চর্ম, যৌন (সেক্স), এলার্জি, শ্বেতী, বিশেষজ্ঞ সাইন বোর্ড লাগিয়ে প্রতি রোগী থেকে ৬শ’ টাকা ফি নিতেন তিনি। ২০ বছরে র জমজমাট প্রাকটিস। কয়েক কোটি টাকার মালিক অবৈধ ডাক্তারি করেই।

অভিযানে তার কাছ থেকে ডাক্তারি করার বিভিন্ন সরঞ্জামাদি উদ্ধার করেছে র‌্যাব । ডাক্তারি কোনো কাগজপত্র দেখাতে পারেনি র‌্যাবের কাছে।র‌্যাবের ফেনী ক্যাম্প কমান্ডার এএসপি নুরুজ্জামান জানান, র‌্যাব-৭, ফেনী গোয়েন্দা তথ্যের ভিত্তিতে জানতে পারেন যে, ফেনী শহরের মডেল থানার বিপরীতে ট্র্যাংক রোডস্থ জননী ডায়াগনস্টিক সেন্টারে একজন লোক ডাক্তারি শাস্ত্রে না পড়ে ডাক্তার পরিচয়ে চিকিৎসা ব্যবস্থাপত্র প্রদান করছে। এমন সংবাদের ভিত্তিতে র‌্যাবের একটি আভিযানিক দল ও সিভিল সার্জন অফিসের একজন ডাক্তারকে সঙ্গে নিয়ে মো. নেজাম উদ্দিনকে আটক করে। সে জেলার ফাজিলপুর উপজেলার ফাজিলপুর গ্রামের ইদ্রিস মিয়ার ছেলে।

র্যাব জানায় , পরবর্তীতে উপস্থিত সাক্ষীদের সম্মুখে আটককৃত আসামিকে ব্যাপক জিজ্ঞাসাবাদ এবং তাহার চেম্বার তল্লাশি করিয়া ভুয়া ব্যবস্থাপত্রের ০২ টি প্যাড, ০১ টি বিপি মেশিন, ০১টি স্টেথোস্কোপ, ২৮টি ফাইল কভার উদ্ধার করা হয়। গ্রেফতারকৃত আসামির বিরুদ্ধে বাংলাদেশ মেডিক্যাল ও ডেন্টাল কাউন্সিল আইন, ২০১০ ধারা অনযায়ী মামলা রুজু করে ফেনী জেলার সদর থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে।

আপনার মতামত দিন:


ক্লিনিক-হাসপাতাল এর জনপ্রিয়