Ameen Qudir

Published:
2020-02-19 06:16:55 BdST

করোনায় ভোগা দু:সহ দিনগুলোর অভিজ্ঞতার কথা জানালেন বেঁচে ফেরা নারীরা


সংবাদ সংস্থা
______________________

করোনায় ভোগা দু:সহ দিনগুলোর অভিজ্ঞতার কথা জানালেন বেঁচে ফেরা কয়েকজন নারী । করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে মৃত্যুর সঙ্গে যুদ্ধ জয় করে ফিরেছেন ৪৭ বছর বয়সী ঝাং। সিঙ্গাপুরের ন্যাশনাল সেন্টার ফর ইনফেকশন ডিসিস (এনসিআইডি)- এ চিকিৎসা শেষে তাকে ছেড়ে দেয়া হয় গত রোববার (১৬ ফেব্রুয়ারি)। সিঙ্গাপুরের স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, চীনের উহান থেকে ফেরানো ৯২ সিঙ্গাপুরিয়ানের মধ্যে ঝাং, তার স্বামী এবং সন্তানও রয়েছে।
গত ৩০ জানুয়ারি সিঙ্গাপুরে পা রাখার পর মেডিকেল স্ক্রিনিংয়ে তার জ্বর ধরা পড়ে। এরপর তাকে নেয়া হয় এনসিআইডতে।
ঝাং বলেন, ‘আমি খুবই ভয় পেয়ে গিয়েছিলাম। তারা (চিকিৎসকরা) আমার নাকের ভেতরে তারা অক্সিজেন টিউব ঢুকিয়ে দেয় যাতে শ্বাসপ্রশ্বাস নিতে পারি। কিন্তু আমার ফুসফুস ঠিকমতো কাজ করছিলো না তাই টিউবটাও সেভাবে কাজে আসছিলো না।’
‘আমার খুব ভালোভাবে মনে আছে, শ্বাস নিতে প্রচণ্ড কষ্ট হচ্ছিল। মনে হচ্ছিলো, আমি মারা যাচ্ছি।’
হাসপাতালে নেয়ার পর অবস্থার অবনতি হলে তাকে দ্রুত আইসিইউতে নেয়া হয়। চিকিৎসক এবং নার্সরা দ্রুত সব ব্যবস্থা গ্রহণ করেন।
‘ওই সময় আমি নড়াচড়া করতে পারছিলাম না কিন্তু আমার মন পরিস্কার ছিলো। আমি তাদের (চিকিৎসকদের) কথাবার্তা স্পষ্টভাবে শুনতে পারছিলাম। একজন ডাক্তার আমার হাত ধরে রেখেছিলেন এবং বলছিলেন, চিন্তা করো না। আমরা একটা টিউবের ব্যবস্থা করছি যা দিয়ে আপনার শ্বাস নিতে সহজ হবে। ওই নারী চিকিৎসক আমাকে লাগাতার ভরসা দিয়ে যাচ্ছিলেন। অত্যন্ত ভদ্রমহিলা তিনি।’ বলছিলেন ঝাং।
ঝাংয়ের স্বামী করোনায় আক্রান্ত না হলেও রক্ষা পাননি তার ছেলে। তাকেও চিকিৎসা দেয়া হচ্ছে এনসিআইডিতে।
ঝাং বলেন, নার্স প্রতিদিন তার (ঝাংয়ের ছেলে) নাক থেকে নমুনা সংগ্রহ করছে। তার অন্য কোনো রোগ নেই।
তিনি বলেন, একজন মা হিসেবে আমি এটা ভেবে স্বস্তি পাচ্ছি যে, করোনা ভাইরাসের বিরুদ্ধে লড়াই করার জন্য যথেষ্ট শক্তিশালী হিসেবে আমার ছেলেকে বড় করতে পেরেছি।
করোনার সঙ্গে লড়াই করে ফিরলেও এখনো স্বাভাবিক জীবনে ফিরতে সময় লাগবে ঝাংয়ের। তিনি বলেন, আমি যখন আইসিইউ থেকে বের হলাম, আমার স্বামী বললো সে আরো কয়েক রাত আমার সঙ্গে ঘুমাবে না। আমি যদি তার অবস্থানে থাকতাম আমিও সেটাই করতাম।
চিকিৎসক এবং নার্সদের প্রতি কৃতজ্ঞতা জানিয়ে ঝাং বলেন, তারা আমাকে পরিবারের মতো দেখেছেন এবং সবসময় উৎসাহ দিয়েছেন।
হাসপাতাল থেকে ছাড়া পাওয়ার পর এখন দৈনন্দিন জীবনে ফিরে যেতে চান ঝাং। তিনি বলেন, আমি আমার সাধারণ জীবনে ফিরে যেতে চাই। বন্ধুদের সঙ্গে দেখা করতে চাই, কিছু শপিং করতে চাই এবং এক কাপ কফি খেতে চাই। তারপর রাতে আমার স্বামী এবং সন্তানদের জন্য ডিনারের প্রস্তুতি নিচে চাই। আমার মনে হয় সেটাই ভালো হবে।
তবে এরপর ঝাং তার দিনগুলো আগের মতো স্বাভাবিকভাবে কাটাতে পারছেন কিনা জানা যায়নি। সংবাদ প্রতিদিনের সৌজন্যে।

আপনার মতামত দিন:


ক্লিনিক-হাসপাতাল এর জনপ্রিয়