Ameen Qudir

Published:
2020-02-11 22:40:32 BdST

অসুস্থ বাবাকে বাংলাদেশ ও ভারতের ডাক্তারদের দেখাতে যে অভিজ্ঞতা হল মেডিকেল শিক্ষার্থীর


 

 


ডেস্ক
_________________
সুমাইয়া জান্নাত।
একজন সুলেখক মেডিকেল শিক্ষার্থী তার অসুস্থ বাবাকে নিয়ে বাংলাদেশের ও ভারতের ডাক্তারদের শরণাপন্ন হয়েছেন। কি তার অভিজ্ঞতা । শুনুন, তার জবানীতে।

আমি সুমাইয়া জান্নাত।
ম -৫৫.
থার্ড ইয়ার।
ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ।

আমি ছোট। আমার ভুলত্রুটি ক্ষমাসুন্দর দৃষ্টিতে দেখবেন, আশা করি।

শুরুটা ২০১৫ সালে।
আমার বাবার ঘাড়ে ব্যথার জন্য আমাদের ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজের একজন স্বনামধন্য নিউরোমেডিসিন স্পেসালিস্টের কাছে গেলেন। উনি সকল ইনভেস্টিগেশন করে আমার বাবাকে একজন নিউরোসার্জনের কাছে রেফার করলেন।

উনিও সকল ইনভেস্টিগেশন করে বললেন যে, এটা কনজেনিটাল প্রব্লেম। রোগীর এখন বয়স অনেক বেশি, অপারেশনে অনেক রিস্ক। কিছু মেডিসিন দিয়ে বিদায় দিলেন।

২০১৮ সাল।
আমি মেডিক্যাল কলেজে ফার্স্ট ইয়ারে পড়ি।
জুলাই মাস। আমার বাবার পিত্তথলিতে পাথর ধরা পরলো। উনি অপারেশন করাতে আমাদের হসপিটালে আসলেন। অপারেশনের কিছু দিন আগে থেকেই উনি বলছিলেন যে, উনার বাম পাশে শক্তি কম আর ঝিম ঝিম করে। হাঁটতে গেলে উনার পা মাটির সাথে লেগে যায়, পা তুলতে কষ্ট হয়, বিশেষ করে বাম পা।

আমারাও তেমন পাত্তা দেইনি ব্যাপারটা।
অপারেশন ভালো হলো।
উনিও সুস্থ; কিন্তু ওই প্রবলেমটা বাড়ছে, কোনোভাবেই ঠিক হচ্ছে না!

প্রায় ৪ বছর পর আবার গেলাম আমাদের শ্রদ্ধেয় সেই নিউরোসার্জনের কাছে। উনার রুমে প্রথমে আমার বাবার সকল প্রিভিয়াস ইনভেস্টিগেশন পেপারস পাঠানো হলো। উনি আমাকে ডাকলেন এবং আমাকে উনার রুমের দরজা থেকেই বিদায় দিলেন এই বলে যে, "মারে, তোর বাবার এই সমস্যা থাকবেই"! আমি বললাম, স্যার ব্যথাটা বাড়ছে! তখন স্যার আমাকে একটা মেডিসিন দিয়ে বিদায় দিলেন। সর্বোচ্চ দুই মিনিট হবে।

২০১৯ সাল!
আমার বাবার সমস্যা আরও বাড়ছে।
আমরা সন্তুষ্ট ।
বাবাকে নিয়ে গেলাম আমাদের মেডিকেলের একজন নিউরোমেডিসিন বিশেষজ্ঞ স্যারের কাছে।
উনি জেনারেল এক্সামিনেশন করে বললেন যে, মে বি স্ট্রোক করেছেন এবং সিটিস্ক্যান করতে দিলেন।

Findings : All the deep reflexes of left side are exaggerated.

পরের দিন গেলাম স্যারের কাছে রিপোর্ট দেখাতে। স্যার আমাকে ভেতরে যাবার পারমিশন দিলেন না। স্যারের রুমের বাইরের মামা প্রেসক্রিপশন হাতে ধরিয়ে দিয়ে বিদায় দিলেন। (Rx: Ecospirin, Maxpro & V3N) ( স্যার জানতেন যে, আমি উনার স্টুডেন্ট)

সবেমাত্র থার্ড ইয়ার!

মেডিসিন ওয়ার্ডে ক্লাস করি। আমাদের একজন মিডলেভেল স্যারের কাছে গেলাম। উদ্দেশ্য ছিলো যে, বাবা V3N কন্টিনিউ করতে পারবে কিনা, সেটা জানা।( কারণ, এটা খেলে বাবার ভালো লাগে)। বাট স্যার আমাকে এই প্রবলেমটা নিয়ে অনেক কিছু জিজ্ঞাসা করলেন ও বাবার প্রিভিয়াস ইনভেস্টিগেশনস দেখে বললেন, "তোমার বাবার সারভাইকেল মাইলোপ্যাথি, C3 C4 level. এটা অপারেশন কর‍তে হবে এবং না করলে উনার কোয়াড্রিপেরেসিস( চার হাত পা অবশ) হবে এবং সহজ ভাষায় এই ব্যাপারে আমাকে কিছু বুঝালেন। ও হ্যাঁ, বাবার একটা নতুন প্রবলেম হচ্ছিলো! তা হলো - উনি যখন ঘুমাতেন তখন উনার বাম পা ১/২ মিনিটের ব্যবধানে জার্ক করতো ও আস্তে আস্তে এটা চার হাত-পায়েই হতে লাগলো।আর হ্যাঁ, আমার বাবা সারভাইকেল কলার ছাড়া থাকতেই পারতেন না,এটা ছাড়া উনার ঘাড় নুয়ে যেতো।

উনার পরামর্শে গেলাম আমাদের নিউরোসার্জন শ্রদ্ধেয় ডা. হারুনুর রশিদ স্যারের কাছে। অসম্ভব ভালো মনের একজন মানুষ উনি। উনি অনেক ভালোভাবে দেখে ঢাকা নিউরোসায়েন্সে রেফার করলেন।

ঢাকা নিউরোসায়েন্স হসপিটাল।
শ্রদ্ধেয় স্যারগণ দেখে বললেন - অপারেশন করতে হবে; অনেক জটিল অপারেশন! রোগীর নেগেটিভ আউটকামও হতে পারে এবং ভর্তি হয়ে যেতে বললেন। আমার বাবা নিজে ও আমরা ভালোই ভয় পেয়ে গেলাম। আমাদের বাসার গুরুজন ও বাবার বন্ধুদের পরামর্শে বাবা সিদ্ধান্ত নিলেন ইন্ডিয়া যাবেন - এতো রিস্কি অপারেশন ছাড়া যদি ভালো হয়ে যান, এই আশায়!

সব প্রস্তুতি সম্পন্ন আর সাথে যাচ্ছি আমি।
তো যাওয়ার কিছুদিন আগে ঢাকা মেডিকেলের একজন শ্রদ্ধেয় বড় ভাই ( আমার এক সিনিয়র আপুর পরিচিত), নিউরোসার্জারিতে কোনো এক কোর্সে আছেন, উনার সাথে ফোনালাপ।

প্রসঙ্গঃ ইন্ডিয়ায় কোন ডাক্তার দেখাবো?

উনি সব শুনলেন এবং বললেন, "তুমিতো বাংলাদেশের বেস্ট ডাক্তারদের ধারেকাছেও যাওনি"।

উনি দু'জন নিউরোসার্জন এবং স্পাইন স্পেসালিস্ট ডাক্তারের নাম বললেন আর উনাদেরকে না দেখিয়ে দেশের বাইরে এক পা-ও দিতে না করলেন!

সেই দু'জন ডাক্তারের একজন হলেন ডা. ফরহাদ হোসেন চৌধুরী।

৯ নভেম্বর ২০১৯

ডা. ফরহাদ হোসেন চৌধুরী (নিউরোসার্জন এবং স্পাইন) স্যারের চেম্বার।
ইবনে সিনা,ধানমণ্ডি ৯/এ।

উনি বাবার প্রিভিয়াস ইনভেস্টিগেশনস দেখেই বললেন, অপারেশন করাতে হবে, ভর্তি হয়ে যেতে বললেন। উনি বাবাকে কাউন্সেল করার এক পর্যায়ে জানতে পারলেন, আমি মেডিকেল স্টুডেন্ট। (নোটঃ পূর্বের কিছু তিক্ত অভিজ্ঞতার জন্য আমি স্যারকে আগে থেকেই কিছু জানাইনি)।

আমি থার্ড ইয়ার মেডিকেল স্টুডেন্ট জেনেই স্যার বললেন, 'ওহ, ছোট্ট ডাক্তার, চলো তোমাকে এনাটমি পড়াই!'

C(1,2,3,4)- hemivertebrae
& no intervertebral disc.
Absence of odontoid process.
Spinal cord compressed, severe at C3,C4 level.
Scoliosis present.
Dx- Cranio vertebral junctional congenital anomaly.

স্যারের পরামর্শ: অপারেশন করাতে হবে, সবগুলো C(1-4) ভার্টিব্রা ফেলে দিতে হবে আর সেখানে রড-স্ক্রু বসাতে হবে। আর অপারেশন না করলে চার হাত-পা অবশ হয়ে যাবে। অন্যান্য কিছু জিজ্ঞাসা উনি অনেক সুন্দরভাবে আমাকে বুঝিয়ে দিলেন।

ইন্ডিয়া যাওয়া কেন্সেল করতে গিয়েও সবার পরামর্শে ১২ ডিসেম্বর'২০১৯ ইন্ডিয়ার উদ্দেশ্য রওনা দিলাম।

১৮ ডিসেম্বর।
সি এম সি, হসপিটাল, ভেলোর, ইন্ডিয়া।
নিউরোসার্জারী & স্পাইন ডিপার্টমেন্ট।

ভোর ৬ টা থেকে সিরিয়াল দিয়ে বসে আছি, দুপুর ১২ টার দিকে জুনিয়র ডা. ( রেজিস্ট্রার) দেখে বললেন, অপারেশন করতে হবে, বিকল্প কোনো উপায় নেই আর বাংলাদেশের এম আর আই অনেক ওল্ড কোয়ালিটির, তাই আবার নতুন করে কিছু ইনভেস্টিগেশন করতে দিলেন।

২৮ ডিসেম্বর
সকাল ৬ টায় সিরিয়াল!

সকাল ১১ টার দিকে জুনিয়র ডাক্তার হিস্ট্রি নিলেন আর জেনারেল এক্সামিনেশন করলেন।

দুপুর ১২.৩০ টার দিকে সিনিয়র ডাক্তার দেখে নেক এক্সরে (এক্সটেনশন) করতে দিলেন।

৩০ ডিসেম্বর
সিনিয়র ডাক্তার নাই, ইমার্জেন্সি মিটিংয়ে চলে গেছেন, রোগী দেখবেন না।

৩১ ডিসেম্বর
সিনিয়র ডাক্তার নাই। ইমার্জেন্সি মিটিং।

অনুমতি নিয়ে বললাম যে, আমি একজন মেডিকেল স্টুডেন্ট আর ডিটেইলস বলার জন্য অনুরোধ করলাম। তখন উনি আমাকে বললেন যে, "তোমার বাবার দুটো প্রবলেম! কোনটা কারেকশন কর‍তে চাও? ডিফরমিটি নাকি কম্প্রেশন?"

আমি: যদি ডিফরমিটি কারেকশন না করি, তাহলে কি প্রবলেম হবে?

জুনিয়র ডাক্তার: সেম প্রবলেম আবার হবে।

আমি: ডিফরমিটি কারেকশন করবো।

জুনিয়র ডাক্তার বললেন, আমরা কোনো ডিসিশন দিতে পারবো না। স্যার আরেকবার দেখে ফাইনাল ডিসিশন জানাবেন।

৪ জানুয়ারী
সকাল ৬ টায় সিরিয়াল!
দুপুর ১২ টার দিকে সিনিয়র ডাক্তার আমাদেরকে অপারেশনের প্রিপারেশন নিতে বললেন।

বাট জুনিয়র ডাক্তার তখন আমাকে ইন্ট্রডিউস করিয়ে দিলেন এবং বল্লেন যে, আমি ডিফরমিটি কারেকশন কর‍তে চাই।

উনি কিছুক্ষণ আমার দিকে তাকিয়ে থাকলেন আর বললেন, "ইয়ে বহুত বরা অপ্রেশন হে, আই কান্ট ডো ইট"!

তারপর উনারা আমাদের অর্থপেডিক ডিপার্টমেন্টে রেফার করে দিলেন। কিন্তু এতো কিছুর পর আমাদের আর ধৈর্য্য ছিলো না।
আমরা চলে আসলাম দেশে।

৮ জানুয়ারি ডা. ফরহাদ স্যার দেখে ১১ জানুয়ারি অপারেশনের ডেট দিলেন।
টানা আট ঘন্টার অপারেশন!!!

আমার সবচেকে বড় অর্জন - স্যার আমাকে ওটিতে থাকার অনুমতি দিয়েছিলেন।

স্যার এবং স্যারের টিম এতো ফ্রেন্ডলি যে, অপারেশনের ফাঁকে ফাঁকে আমাকে বুঝাচ্ছিলেন - উনি কি করছেন।

ইভেন, একজন স্যারতো আমায় বাবু সার্জন সম্বোধন করে বললেন, ডা. ফরহাদ স্যার বাংলাদেশের বেস্ট নিউরোসার্জন, উনার উপরে আর নাই। যদি থাকে, তাহলে ভবিষ্যত প্রজন্ম হবে।

আর ওটির পর উনি শিডিউল অনুযায়ী কেবিনে এসে দেখে যেতেন। আমি আমার বাবার যেকোনো সমস্যায় স্যারকে যখনই নক দিয়েছি, তখনই স্যারকে পেয়েছি।

ইভেন, উনি আমকে নিউরোসায়েন্সে ক্যারিয়ার করার জন্য ইন্সপিরেশনও দিয়েছেন!

আমি এবং আমার পরিবার শ্রদ্ধেয় ডা. ফরহাদ হোসেন চৌধুরী স্যারের প্রতি অনেক কৃতজ্ঞ। আসলে স্যারের প্রতি আমার এবং আমার পরিবারের অনুভূতি ভাষায় প্রকাশ করার মতো নয়।
আমার বাবা এখন সুস্থ আছেন।উনার বাম সাইডের উইক্নেস এখন আর নাই, চার লিম্বের মাসল কন্ট্রাকশন এখন করে না। ওটির তৃতীয় দিনে উনাকে রিলিজ করে দেয়া হয়েছে। উনি এখন নরমাল মুভমেন্ট করছেন।

আমার বাবার সার্বিক সুস্থতার জন্য সকলের কাছে দোয়াপ্রার্থী।

কিছু কথা বলতে চাই:

ভেলোর, চেন্নাই সি এম সি হসপিটালের ৯০% রোগীই বাংলাদেশী। কেনো তারা ইন্ডিয়ায় যায়??

তাদের উত্তর: বাংলাদেশের ডাক্তাররা কসাই! ভালো ব্যবহার করে না। (যাদের সাথে কথা বলতে পেরেছি, তাদের বক্তব্য)

আমি শুনেছিলাম, সেখানে নাকি ডাক্তাররা অনেক সময় নিয়ে রোগী দেখেন, একটা ডা. টিম থাকে একজন রোগীকে দেখার জন্য ইত্যাদি।

কিন্তু বাস্তবতা হলো, আমি যে ডাক্তারের এপয়েন্টমেন্ট নিয়েছি, তার দেখা পাওয়াই অনেক কঠিন!

খুবই অল্প সময় নিয়ে রোগী দেখে, একটা রুমে অনেক রোগী! অনেক ডাক্তার, পুরোটাই হিজিবিজি অবস্থা, কে শুনে কার কথা!

আমি এটাও দেখেছি, সেখানে বাংলার সাধারণ মানুষ যাকে ডা. বলে জানে, সে আসলে মেডিকেল এসিস্ট্যান্ট।
তবুও বাঙ্গালী বুঝবেনা।

আমি এটাও শুনেছি, সেখানে নাকি ইনভেস্টিগেশন কস্ট কম! কিন্তু আমি দেখেছি, তা বাংলাদেশের থেকে ডাবল খরচ আর কোয়ালিটির কথা না-ই বা বললাম।
তাও আবার, সব সফট কপির কস্ট এটা! ইনভেস্টিগেশনের হার্ড কপি নিতে গেলে আরও খরচ! বিপদে পড়ে তখন বাঙ্গালী সব করে, অথচ দেশের ডাক্তারদের ভিজিটটা দিতেও কৃপণতা করে।

আমি সেখানে যতবার ডা. দেখিয়েছি, ততবারই এপয়েন্টমেন্ট নিয়েছি আর এই পেপার ছাড়া আমাকে হসপিটালে ঢুকতেও দেয়নি। অথচ আমাদের এখানে একবার এপয়েন্টমেন্ট নিলে, ইনভেস্টিগেশনের রিপোর্ট দেখিয়ে ডাক্তারের প্রেসক্রিপশন নিতে পর্যন্ত আর এপয়েন্টমেন্ট নিতে হয় না।

ও হ্যাঁ, এটা প্রাইভেটের অবস্থা! জেনারেলের অবস্থা আরও করুণ!
দেশের সম্মান দিতে না জানলে যা হয়!

আমার ছোট্ট অভিজ্ঞতা : ইন্ডিয়া ভালো।
বাট আমার দেশের ডা. বেস্ট, বেস্ট, বেস্ট! বেস্ট টু দি পাওয়ার ইনফিনিটি!

একটা বিষয় এখানে লক্ষণীয় যে, তাদের অধিকাংশই সীমান্তবর্তী এলাকার আর তারা আমাদের লিজেন্ডদের সাথে দেখা করার আগেই ইন্ডিয়ামুখী হয়।
অনেকেই কোয়াকদের কাছে চিকিৎসা নিয়ে হতাশ হয়ে ইন্ডিয়া যায়।

বাস্তবতা হলো, আমি নিজে একজন মেডিকেল স্টুডেন্ট হয়েও স্যারদের বিরূপ আচরণের সম্মুখীন হয়েছি।

আমি ব্যাপারটা মেনে নিয়েছি, কারণ আমি আমাদের স্যারদের অধ্যবসায়, পরিশ্রম দেখেছি; হেলথ সিস্টেমের দুর্বলতা দেখেছি - যা নন-মেডিকেল লোকদের কেউ জানেও না।

আমি মানুষটা অনেক ছোট, কিন্তু আমি সবার কাছে একটাই অনুরোধ করতে চাই,

আসুন আমরা সবাই আমাদের দৃষ্টিভঙ্গিকে চেঞ্জ করি।
নিজকে সম্মান করি।
নিজ প্রফেশনকে সম্মান করি।
ডাক্তারদের সম্মান করি।
রোগীকে সম্মান করি।
নিজ দেশকে সম্মান করি ও ভালোবাসতে শিখি।

হাতে ৫ টা মিনিট সময় নিয়ে হাসিমুখে রোগীর সাথে একটু কথা বলি। ফলাফল পরক্ষণেই দেখতে পাবেন রোগীর কৃতজ্ঞ চোখ।

আর সাধারণদের বলতে চাই,
ডাক্তাররাও মানুষ; উনাদেরকে সুপারহিউম্যান ভাববেন না।
উনারা দেশের সম্পদ, উনাদেরকে সম্মান করতে শিখুন।

ধৈর্য্য ধরে আমার অনুভূতিগুলো পড়ার জন্য সবাইকে ধন্যবাদ।"

আপনার মতামত দিন:


ক্লিনিক-হাসপাতাল এর জনপ্রিয়