Ameen Qudir

Published:
2019-08-27 20:17:05 BdST

ডেঙ্গুরোগীর জন্য সরকারি হাসপাতালে পর্যাপ্ত সিট নেই : বেসরকারি হাসপাতালে চলছে ব্যবসা


 

 

ডা. শাহজামাল হোসেন মনসুর
__________________________

ডেঙ্গুরোগীর সরকারি হাসপাতালে পর্যাপ্ত সিট নেই : বেসরকারি হাসপাতালে চলছে অনৈতিক ব্যবসা । রোগীদের ভাষায় গলাকাটা ব্যবসা। সরকারি হাসপাতালে ফ্লোরেও এখন ডেঙ্গুরোগী। সম্পন্ন পরিবারের লোকজন ফ্লোরে থাকতে চান না। তাই সেই সুযোগে তারা ভিড় করছেন বেসকারি হাসপাতালে। কিন্তু তাদের নেই দক্ষ ডেঙ্গুরোগী সেবার ব্যবস্থা। রোগীর অবস্থা খারাপ হলেই শেষ মুহুর্তে টাকা পয়সা লুটে রোগীকে রেফার করছে ঢাকা মেডিকেল বা সরোয়ার্দীতে। তখন সেখানকার ডাক্তারদের কিছুই করার থাকে না। শুধু বদনামের ভাগীদার হচ্ছেন ডাক্তাররা।

রোগীদের বক্তব্য ও নিজস্ব পর্যবেক্ষণে দেখেছি, বেসরকারি হাসপাতালগুলো সরকারি হাসপাতালের অপর্যাপ্ত সিটের সঙ্কটের সুযোগ নিয়ে ডেঙ্গু ব্যবসা করছে। লাখ টাকার বিল করছে। তারা যে সেবা দিচ্ছে, সচেতন যে কোন শিক্ষিত পরিবার সেই সেবা বাসায় দিতে পারেন। তারা রোগীর রিপোর্টে কারচুপি করে রোগীকে ডেঙ্গু ভয় দেখাচ্ছেন বলে অনেকের অভিযোগ। তাতে রোগীর হাসপাতালে থাকা আর রিপোর্ট ও অন্য খরচ কেবলই লম্বা হচ্ছে।
আমার দেখা মতে, ঢাকা মেডিকেল , সরোয়াদী মেডিকেল ,মিটফোর্ডে যে পরিমান ডেঙ্গু রোগী যাচ্ছে, তাদের চিকিৎসা দেয়ার মত সিট নেই। ডাক্তাররা জান পরান দিয়ে সেবা দিচ্ছেন । কিন্তু রোগীদের সিট দেয়ার ক্ষমতা তাদের নেই। বেসরকারি হাসপাতাল গুলো এই সুযোগ নিচ্ছে। তারা সিট না থাকার সুযোগে রোগী ভাগাচ্ছে। উচ্চ সিট ভাড়া নিয়ে ডেঙ্গুরোগী নিচ্ছে। কিন্তু তাদের নেই কোন ডেঙ্গুরোগী ব্যবস্থাপনা।
শুধু রোগী রাখা আর ভাড়া আদায় , বিরাট বিল : এই হল এখন ডেঙ্গুব্যবসা। ডেঙ্গুরোগীদের অসহায়তার সুযোগ নিচ্ছে তারা।
যে কারণে বেসরকারি হাসপাতালে রোগী মৃত্যু বাড়ছেই। ঢাকার নামকরা পাঁচতারকা হাসপাতালে ডেঙ্গুরোগী মারা যাচ্ছে অদক্ষ ব্যবস্থাপনার কারণে। বিষয়টি গভীর ভাবে ভাবা দরকার। রোগী মারা যাচ্ছে। আর দুর্ণাম হচ্ছে ডাক্তারদের। হাসপাতাল ব্যবসায়ীরা হাতিয়ে নিচ্ছে বিশাল বিল। এধরণের বিরাট বিল নিয়ে সবাই দুষছেন ডাক্তারদের।

আপনার মতামত দিন:


ক্লিনিক-হাসপাতাল এর জনপ্রিয়