Ameen Qudir
Published:2019-07-31 22:04:02 BdST
ইবনে সিনা হাসপাতালে ডেঙ্গুর পরীক্ষা নিয়ে প্রতারণা: কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে মামলা
ডেস্ক
___________________
বাংলাদেশের একচেটিয়া ব্যবসাদার ক্লিনিক ও ডায়াগনস্টিক সেন্টারগুলোর বিরুদ্ধে একের পর এক অসদুপায়ের অভিযোগ আসছে। এসব প্রতিষ্ঠানে ডাক্তাররা সেবার মৌলিক কাজ করলেও প্রতিষ্ঠানগুলো পরিচালনা করেন অচিকিৎসক ব্যক্তিবর্গ। এদের নানা অপকর্মর দায় অনভিপ্রেতভাবে ডাক্তারদের ঘাড়ে বর্তায়। এসব প্রতিষ্ঠানে মূল প্রতারণা ও অন্যায়গুলো করেন স্বাস্থ্য সেক্টর বহির্ভূত কর্মকর্তা ও কর্মীরা।
এ দায় কেন পেশাজীবি ডাক্তাররা নেবেন, সে প্রশ্ন এখন সাধারণ চিকিৎসকদের।
এবার তেমনই অভিযোগ এলো কথিত সততার সাইনবোর্ড নিয়ে পরিচালিত সেবা প্রতিষ্ঠান ইবনে সিনার বিরুদ্ধে। তবে কাজটিতে চিকিৎসকদের দায় নেই। তাদের নজরের বাইরেই একশ্রেনীর অডাক্তার কর্মী কাজটি করেন। শেষ পর্যন্ত তা ডাক্তারদের ঘাড়ে এসে পড়ে।
একজন সুস্থ মানুষের রক্তের প্লেটিলেট লেভেল দেড় লাখ থেকে সাড়ে ৪ চার লাখ থাকে। কিন্তু ইবনে সিনার ডায়াগনস্টিক সেন্টার রক্তের প্লেটিলেট লেভেল আসে ৭ লাখ ৮৪ হাজার সিএমএম। বিষয়টি নিয়ে মিডিয়ায় তোলপাড়।
ঢাকা ট্রিবিউন জানায়,
ডেঙ্গু জ্বরের পরীক্ষা নিয়ে প্রতারণার অভিযোগে ইবনে সিনা হাসপাতালের চার কর্মকর্তার বিরুদ্ধে মামলা করেছেন এক আইনজীবী। ৩০ জুলাই ২০১৯ ঢাকা মহানগর হাকিম দিদার হোসেনের আদালতে ঢাকা বারের আইনজীবী রমজান আলী সরকার মামলাটি করেন।
আসামিরা হলেন- ইবনে সিনা হাসপাতালের চেয়ারম্যান, ইবনে সিনা গ্রুপের চেয়ারম্যান, ইবনে সিনা ডায়াগনস্টিক অ্যান্ড ইমেজিং সেন্টারের ব্যবস্থাপনা পরিচালক। বাকি তিন জনের নাম জানা যায়নি।
বাংলা ট্রিবিউনের এক প্রতিবেদনে বলা হয়, এদিন আদালত বাদীর জবানবন্দি গ্রহণ করে নথি পর্যালোচনার আদেশ পরে দেবেন বলে জানিয়েছে। বাদীপক্ষের আইনজীবী ছিলেন তানভীর আহমেদ সজীব। বাদী মামলাটি আমলে দিয়ে আসামিদের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারির আবেদন করেন।
এজাহারে বলা হয়েছে, ২৫ জুলাই বাদী জ্বর নিয়ে ইবনে সিনা হাসপাতালের ধানমন্ডি শাখায় যান। আউটডোর বিভাগের পরামর্শ অনুযায়ী তিনি এনএস-ওয়ান, এজি এবং সিবিসি পরীক্ষা করান। ২৬ জুলাই রিপোর্টে দেখেন রক্তে প্লেটিলেট লেভেল ৭ লাখ ৮৪ হাজার সিএমএম। রিপোর্ট দেখে বাদী আতঙ্কিত হয়ে পড়েন। ওই দিনই তিনি বাংলাদেশ মেডিক্যাল কলেজ অ্যান্ড হাসপাতালে একই পরীক্ষা করান। সেখানে রক্তের প্লেটিলেট লেভেল আসে ২ লাখ সিএমএম।
সেখানে উল্লেখ করা হয়, একজন সুস্থ মানুষের রক্তের প্লেটিলেট লেভেল দেড় লাখ থেকে সাড়ে ৪ চার লাখ থাকে। কিন্তু ইবনে সিনার ডায়াগনস্টিক সেন্টার রক্তের প্লেটিলেট লেভেল আসে ৭ লাখ ৮৪ হাজার সিএমএম। যা কোনো সুস্থ বা অসুস্থ মানুষের ক্ষেত্রেই হতে পারে না। দেশে ডেঙ্গু জ্বরের পরিস্থিতি নাজুক। এ সময় সাধারণ জনগণের অসুস্থতাকে পুঁজি করে অবৈধভাবে লাভবান হওয়ার জন্য বিবাদীরা প্রতারণামূলকভাবে ভুয়া রিপোর্ট দিয়ে অপরাধ করেছে।
তথ্য ও সংবাদ সূত্র সৌজন্য : ঢাকা ট্রিবিউন।
আপনার মতামত দিন: