Ameen Qudir

Published:
2019-04-23 09:30:43 BdST

উপ-সহকারী চিকিৎসা কর্মকর্তা মারুফা হত্যাকান্ডের নেপথ্যে



সংবাদদাতা , বরিশাল
______________________

ঠিক যেন সনি টিভির ক্রাইম পেট্রলের কাহিনি। বাংলাদেশের সক্রিয় পুলিশও অসামান্য দক্ষতায়
উপ-সহকারী চিকিৎসা কর্মকর্তা মারুফা হত্যাকান্ডের রহস্য উদঘাটন করল।
বরিশাল মেট্রোপলিটন এলাকার এয়ারপোর্ট থানাধীন ২নং কাশিপুর ইউনিয়নের উপ-স্বাস্থ্য কেন্দ্রের উপ-সহকারী চিকিৎসা কর্মকর্তা মারুফা হত্যার রহস্য উদঘাটন করেছে পুলিশ। একই সঙ্গে হত্যাকারীকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন থানার ওসি এম আর মুকুল।

গত ১৭ এপ্রিল হত্যাকাণ্ডের দীর্ঘ ছয় মাস পরে মারুফার ঘাতক মহসিনকে চট্টগামের পতেঙ্গা থানা এলাকা থেকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।

ওসি মুকুল জানান, পেশাদার চোরের হাতে খুন হন মারুফা। শ‌নিবার বিষয়‌টি নি‌শ্চিত ক‌রেন এই কর্মকর্তা।

তিনি জানান, গ্রেপ্তার চোরের নাম মহসিন। তার বাড়ি পিরোজপুর জেলার খানাকুনিয়ারী গ্রামে।

ওসি মুকুল ঘাতক চোর মহসিনের বর্ণনার বরাত দিয়ে জানান, মহসিন একজন পেশাদার চোর। সে ভোলায় ঘরজামাই থাকে। ২০১৮ সালের ২৯ সেপ্টেম্বর ঘাতক মহসিন ভোলা থেকে বরিশাল এসে রূপাতলীর একটি আবাসিক হোটেলে অবস্থান নেয়। চুরির উদ্দেশে ওই দিন দিনের বেলায় মারুফার বাসা ও আশপাশ ঘুরে দেখে।

ওই রাত আনুমানিক ১টার পরে পাশের নির্মাণাধীন ভবন থেকে মারুফার ফ্ল্যাটের পার্শ্ববর্তী ভবনের ছাদে শাবল নিয়ে অবস্থান নেয়। সেই ছাদ থেকে মারুফার ফ্ল্যাটের ব্যালকনিতে ওঠে। ব্যালকনির দরজা খোলা থাকায় সে ফ্ল্যাটে ঢোকে। এ সময় মারুফা ঘুমিয়েছিলেন। মারুফার বিছানার পাশে শাবল রেখে চেয়ারের ওপরে থাকা ভ্যানিটিব্যাগ নিয়ে ব্যালকনি দিয়ে পাশের ভবনের ছাদে চলে যায়। ভ্যানিটিব্যাগে ৩০-৪০ টাকা পেয়ে ক্ষুব্ধ হয়ে আবার চোর মহসিন মারুফার ঘরে ঢোকে। ঘরে স্টিলের খোলা আলমারি তল্লাশি শুরু করে।

শব্দ পেয়ে মারুফা জেগে ওঠে চোর চোর বলে চিৎকার করতে থাকলে মহসিন তার শাবল দিয়ে মারুফার মাথায় আঘাত করে। মারুফা মাটিতে লুটিয়ে পড়েন।

মারুফার গোঙানি আর রক্ত দেখে মহসিন দ্রুত ব্যালকনি দিয়ে পাশের বাসার ছাদে চলে যায়। সেখানে নির্মাণাধীন আরেকটি ভবনে ফজরের আজান পর্যন্ত অবস্থান নেয়। তারপর আজানের সময় ওই বিল্ডিং থেকে নেমে লঞ্চে করে ভোলা চলে যায়।

প্রসঙ্গত, গত বছরের ২৯ সেপ্টেম্বর রাতে খুন হন চিকিৎক মারুফা। পরিদিন সকালে পুলিশ তার রক্তাক্ত মরদেহ উদ্ধার করে।

মারুফা বরিশাল এয়ারপোর্ট থানাধীন ২নং কাশিপুর ইউনিয়নের উপ-স্বাস্থ্য কেন্দ্রে উপ-সহকারী মেডিকেল কর্মকর্তা হিসেবে কর্মরত ছিলেন। তার স্বামী জহিরুল হায়দার চৌধুরী ওরফে স্বপন প্রগতি ইনস্যুরেন্স কোম্পানিতে সহকারী ব্যবস্থাপক (উন্নয়ন) হিসেবে ঢাকা মিরপুর শাখায় চাকরি করতেন।

আপনার মতামত দিন:


ক্লিনিক-হাসপাতাল এর জনপ্রিয়