Ameen Qudir

Published:
2019-03-28 21:41:48 BdST

বাংলাদেশ থেকে বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক নেবেন ভুটান প্রধানমন্ত্রী ডা. লোটে শেরিং


 

ডেস্ক
____________________

বাংলাদেশের ময়মসিংহ মেডিকেল ও বিসিপিএস থেকে এমবিবিএস এবং উচ্চ শিক্ষা নেয়া ভুটানের প্রধানমন্ত্রী ডা. লোটে শেরিং জানিয়েছেন, ভুটানে বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকের অভাব রয়েছে। তাই বাংলাদেশ থেকে বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক নিতে আগ্রহী ভুটান। আসন্ন বাংলাদেশ সফরকে কেন্দ্র করে এ ব্যাপারে দ্বিপাক্ষিক চুক্তির ব্যাপারে ভাবছেন তিনি ।

সম্প্রতি তার নবম ‘ফ্রাইডে মিট’ অনুষ্ঠানে সাংবাদিকদের এসব কথা জানিয়েছেন। তিনি আগামী মাসেই রাষ্ট্রীয় সফরে বাংলাদেশ বলে জানা গেছে।

ডা. লোটে শেরিং বলেন, আমরা আশা করছি বাংলাদেশ স্বাস্থ্য পেশাজীবী, বিশেষ করে বিশেষজ্ঞদের দিয়ে ভুটানকে সহায়তা করবে। তাদেরও বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকের অভাব থাকলেও তাদের অনেক মধ্য-পর্যায়ের বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক রয়েছে। তাদের সহায়তা গ্রহণের জন্য আমরা বাংলাদেশের সহায়তা চাইতে আমাদের দ্বিপাক্ষিক সম্পর্কটিকে কাজে লাগাবো।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, আর্থিক অসঙ্গতির কারণে আমাদের সঙ্গে কাজ করতে তাদেরকে উৎসাহিত করতে পারি না। তাই আমরা সরকারি পর্যায়ে এটা করার পরিকল্পনা নিয়েছি। রাজনৈতিক হস্তক্ষেপের মাধ্যমে আমরা আমাদের দেশে তাদের কিছু চিকিৎসক পেশাজীবীকে পেতে চাই। এটাই আমাদের প্রধান আশা।

তিনি আরো বলেন, বাংলাদেশ সরকারের সহায়তা ছাড়া বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক পাওয়া ও তৈরী করা ভুটানের জন্য কঠিন হবে।

বাংলাদেশ সফরকালে প্রধান এজেন্ডাগুলো সম্পর্কে ড. শেরিং বলেন, বাংলাদেশই একমাত্র দেশ যার সঙ্গে ভুটানের বাণিজ্য উদ্বৃত্ত রয়েছে। বাংলাদেশের সঙ্গে আমাদের কোনো সমস্যা নেই। প্রধানমন্ত্রীর সফরকালে স্বাস্থ্যখাত ছাড়াও বাংলাদেশের সঙ্গে বাণিজ্য, কৃষি, পর্যটন ও মানবসম্পদ উন্নয়ন খাতে নতুন সহযোগিতা সৃষ্টির আশা করছে ভুটান।

বিবিআইএন (বাংলাদেশ, ভুটান মটরযান চলাচল চুক্তি) নিয়ে ভুটানের অবস্থান বিষয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন এ নিয়ে সরকার খোলামেলা আলোচনা করতে চায়। তিনি বলেন, আগের সরকার একে সমর্থন করেছে। কিন্তু বিভিন্ন দৃষ্টিকোণ থেকে বিবেচনা করে এটা বন্ধ করে দেয়া হয়েছে। প্রধামন্ত্রী বলেন, আমরা এটা বিবেচনা করছি। এটা আমাদের দেশের জন্য কল্যাণকর হলে তা নিয়ে এগিয়ে যাবো। তবে এ বিষয়ে বর্তমান সরকারের নিজস্ব অবস্থান রয়েছে।

সরকার বিবিআইএনের স্বল্প ও দীর্ঘ মেয়াদি সুবিধা ও অসুবিধাগুলো বিবেচনা করবে। দিনের শেষে গ্রস ডমিস্টিক প্রডাক্ট (জিডিপি) ও গ্রস ন্যাশনাল হেপিনেস (জিএনএইচ)-এর মধ্যে ভারসাম্য থাকতে হবে। এ নিয়ে আমরা বারবার আলোচনা করছি।

সরকার আলোচনা করার ব্যাপারে খোলামেলা হলেও প্রধানমন্ত্রী বলেন যে, এসব আলোচনা- পর্যালোচনা শেষ হওয়ার পর সরকার দেশবাসী ও আন্তর্জাতিক বন্ধু দেশগুলোকে বিবিআইএনের ব্যাপারে তার সিদ্ধান্ত অবহিত করবে।

আপনার মতামত দিন:


ক্লিনিক-হাসপাতাল এর জনপ্রিয়