Ameen Qudir

Published:
2019-03-20 07:33:28 BdST

হাসপাতালে চিকিৎসক উপস্থিতি বেড়েছে : স্বাস্থ্যমন্ত্রী



ডেস্ক
______________________

বাংলাদেশের হাসপাতালগুলোতে চিকিৎসকদের উপস্থিতি হার বেড়ে ৭০ শতাংশে দাঁড়িয়েছে। একইসঙ্গে মন্ত্রণালয় ও অধিদফতরের যৌথ মনিটরিং কঠোরভাবে অব্যাহত রেখে এই হার শতভাগে উন্নীত করা হবে বলে জানিয়েছেন স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রী জাহিদ মালেক।

তিনি বলেছেন, হাসপাতালের যন্ত্রপাতির সুষ্ঠু রক্ষণাবেক্ষণের লক্ষ্যেও মনিটরিং জোরদার করা হচ্ছে। হাসপাতালে সেবার মান বাড়ানোর জন্য সিভিল সার্জন, উপজেলা স্বাস্থ্য কর্মকর্তাসহ সব প্রতিষ্ঠান প্রধানকে আরও দায়িত্বশীলতার পরিচয় দিতে হবে। যন্ত্রপাতি রক্ষণাবেক্ষণের জন্য তাদের জবাবদিহিতা বাড়ানোরও উদ্যোগ নিয়েছে সরকার। মন্ত্রণালয় ও স্বাস্থ্য অধিদফতর থেকে নিয়মিতভাবে মাঠ পর্যায়ে পরিদর্শন অব্যাহত রেখে উপজেলা ও ইউনিয়ন পর্যায়ে সেবার মান বাড়ানোর দিকে নজর দেওয়া হচ্ছে।

১৯ মার্চ ২০১৯ সচিবালয়ে চিকিৎসা শিক্ষার আসন মূল্যায়ন, উচ্চশিক্ষার কোর্সগুলোর সমন্বয়করণ এবং প্রেষণ নীতিমালা-২০১৩ যুগোপযোগীকরণ সংক্রান্ত সভায় সভাপতিত্বকালে মন্ত্রী এ কথা বলেন।

সভায় আসন সংখ্যা মূল্যায়ন ও কোর্সগুলোর সমন্বয়করণের লক্ষ্যে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বিএসএমএমইউ) উপাচার্যকে প্রধান করে পাঁচ সদস্য বিশিষ্ট একটি কমিটি গঠন করেছেন স্বাস্থ্যমন্ত্রী। কমিটিতে বাংলাদেশ মেডিকেল অ্যাসোসিয়েশনের (বিএমএ) সভাপতি, স্বাধীনতা চিকিৎসক পরিষদ (স্বাচিপ) সভাপতি, বাংলাদেশ মেডিকেল অ্যান্ড ডেন্টাল কাউন্সিল (বিএমডিসি) সভাপতি এবং মন্ত্রণালয়ের একজন ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা সদস্য হিসেবে থাকবেন।

স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, চিকিৎসকদের যেমন উচ্চশিক্ষার অধিকার আছে, তেমনি সাধারণ মানুষেরও চিকিৎসা পাওয়ার অধিকার রয়েছে। উচ্চশিক্ষার সুযোগ দিতে গিয়ে উপজেলা পর্যায়ে চিকিৎসক সংকট হলে হাসপাতালের ভোগান্তি হবে। হাসপাতালে গিয়ে চিকিৎসক না পেলে, চিকিৎসা না হলে মানুষ তার অধিকার থেকে বঞ্চিত হবে। এই বিষয়টিও সংবেদনশীলতার সঙ্গে বিবেচনা করতে হবে। এক্ষেত্রে উচ্চশিক্ষার আসন পুনর্বিন্যাস করে প্রেষণ নীতিমালার কঠোর প্রয়োগের জন্য সংশ্লিষ্টদের নির্দেশ দেন মন্ত্রী।

সভায় অন্যান্যের মধ্যে স্বাস্থ্য প্রতিমন্ত্রী ডা. মো. মুরাদ হাসান, স্বাস্থ্য শিক্ষা ও পরিবার কল্যাণ বিভাগের সচিব জিএম সালেহ উদ্দিন, বিএসএমএমইউ’র উপাচার্য অধ্যাপক ডা. কনক কান্তি বড়ুয়া, চট্টগ্রাম মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ডা. ইসমাইল খান, সিলেট মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ডা. মোর্শেদ আহমদ চৌধুরী, বিএমডিসি সভাপতি অধ্যাপক ডা. সহিদুল্লাহ, স্বাচিপ সভাপতি অধ্যাপক ডা. ইকবাল আর্সলান, বিএমএ মহাসচিব অধ্যাপক ডা. ইহতেশামুল হক চৌধুরী উপস্থিত ছিলেন

আপনার মতামত দিন:


ক্লিনিক-হাসপাতাল এর জনপ্রিয়