Ameen Qudir

Published:
2019-02-24 00:56:41 BdST

আদানি গ্রুপের হাসপাতালে পাঁচ বছরে ১০০০ শিশুমৃত্যু


 

সংবাদ সংস্থা
_______________________

আদানি গ্রুপের হাসপাতালে গত পাঁচ বছরে ১০০০ শিশুর মৃত্যু হয়েছে। বুধবার গুজরাত বিধানসভায় এই তথ্য দিয়েছেন সে রাজ্যের উপ-মুখ্যমন্ত্রী নিতিন পটেল। প্রতি বছর গড়ে প্রায় ২০০০ শিশুর মৃত্যু নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন বিরোধীরা। হাসপাতালের পরিকাঠামো খতিয়ে দেখার দাবি উঠেছে। তবে উপ-মুখ্যমন্ত্রী তথা স্বাস্থ্যমন্ত্রী দাবি, এই বিপুল শিশুমৃত্যু স্বাভাবিক রোগভোগের কারণে। কর্তৃপক্ষের গাফিলতি বা পরিকাঠামোগত ত্রুটি নয়।

আদানি ফাউন্ডেশন পরিচালিত একটি নিওনেটাল বা শিশু হাসপাতাল রয়েছে গুজরাতের কছ জেলার ভূজে। কিন্তু সেই হাসপাতালের পরিকাঠামো নিয়ে নানাবিধ খামতির অভিযোগ রয়েছে। হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের গাফিলতিতেও অনেক শিশুর মৃত্যু হয় বলে বিভিন্ন সময় অভিযোগ সামনে চলে আসে। এ নিয়েই বুধবার বিধানসভার জিরো আওয়ারে প্রশ্ন তোলেন বিরোধী কংগ্রেস বিধায়ক সান্তকবেন আরেঠিয়া। গত পাঁচ বছরে ওই হাসপাতালে কত শিশুর মৃত্যু হয়েছে, তা জানতে চান তিনি।

তাঁর প্রশ্নের জবাব দেন গুজরাতের উপ-মুখ্যমন্ত্রী নিতিন পটেল। তিনি আবার রাজ্যের স্বাস্থ্য দফতরেরও দায়িত্বে। লিখিত বিবৃতি দিয়ে নিতিন জানান, আদানি গ্রুপের ওই হাসপাতালে গত পাঁচ বছরে ১০১৮টি শিশুর মৃত্যু হয়েছে। তার মধ্যে ২০১৪-১৫ সালে ১৮৮, ২০১৫-১৬ সালে ১৮৭, ২০১৬-১৭ সালে ২০৮, এবং ২০১৭-১৮ সালে ২৭৬ এবং ২০১৮-১৯ সালে (জানুয়ারি পর্যন্ত) মৃত্যু হয়েছে ১৫৯টি শিশুর।

নিতিন বিধানসভায় বলেন, ব্যাপক হারে শিশুমৃত্যুর কারণ খুঁজতে গত বছরের মে মাসে একটি কমিটি গঠন করা হয়। কমিটির রিপোর্টে একাধিক কারণ উল্লেখ করেছে। তার মধ্যে রয়েছে, নির্দিষ্ট সময়ের আগে শিশুর জন্ম (প্রিম্যাচিওর বার্থ), ছোঁয়াচে রোগ, জন্মের সময়ই শ্বাসকষ্টের সমস্যা এবং আশঙ্কাজনক অবস্থায় রেফার করার মতো কারণ।

যদিও বিরোধীদের অভিযোগ, মোদী ঘনিষ্ঠ হওয়ার সুবাদেই আদানি গ্রুপের এই হাসপাতালে ঠিকমতো সরকারি নজরদারি নেই। অনেক কিছু বিষয়ে ছাড় দেওয়া হয়। সেই সুযোগ নিয়ে পরিকাঠামোর উন্নতি না করেও ব্যবসা চালিয়ে যাচ্ছে আদানি গোষ্ঠী।

আপনার মতামত দিন:


ক্লিনিক-হাসপাতাল এর জনপ্রিয়