Ameen Qudir

Published:
2019-02-19 07:29:02 BdST

ঢাকার মৈত্রী হাসপাতালে মাত্র ১০ টাকায় বিশ্ব মানের চিকিৎসা: চেন্নাই ,মালয়েশিয়ার সেবা


 

 

ডা. সুজানা শরমিন
______________________

অবিশ্বাস্য হলেও সত্য, বাংলাদেশের রাজধানী ঢাকার একটি সরকারি হাসপাতালে মাত্র ১০ টাকায় বিশ্ব মানের চিকিৎসা। এখানে চেন্নাই , ব্যাঙ্গালুরু, সিঙ্গাপুর , মালয়েশিয়া মানের সুন্দর পরিবেশ। ডাক্তারদের অনন্য অনবদ্য ব্যবহার। যারা একবার চিকিৎসা নিয়েছেন , তারা নিয়ে যাচ্ছেন আত্মীয় স্বজনকেও। হাসপাতালটি উত্তরা। নাম মৈত্রী হাসপাতাল। এটি কুয়েতি অনুদানে নির্মিত বলে নাম: বাংলাদেশ কুয়েত মৈত্রী সরকারি হাসপাতাল। কিন্তু পুরোটাই এখন বাংলাদেশ সরকারের পরিচালনায় চলে। এখানে মাত্র ১০ টাকায় উন্নত বিশেষজ্ঞ চিকিৎসা দেওয়া হয় এবং ওষুধ নিয়মানুযায়ী যথাসাধ্য বিনামূল্যে দেয়া হয়।

বাংলাদেশের নিজস্ব চিকিৎসা বৈরী মিডিয়ায় এই হাসপাতালের খবর আসে না। তাই প্রচার কম। বাংলাদেশের মানুষ এই গরীবের বিশ্বমানের হাসপাতালের কথা জানেই না। দেশ বিদেশ ঘুরে আসা সুবিধাভোগীরা দাবি করেন, এখানে দশটাকায় তারা বিদেশের লাখ টাকারও বেশী খরচের সেবা পেয়ে ধন্য।
উত্তরা আজমপুর রাজউক স্কুল এন্ড কলেজের পিছনে মৈত্রী সরকারী হাসপাতাল। অত্যাধুনিক যন্ত্রপাতি সজ্জিত। অবকাঠামো অসাধারণ। অপারেশন থিয়েটার, পরীক্ষা-নিরীক্ষা বিভাগ, আইসিইউ, ওয়ার্ড, কেবিন, বহির্বিভাগ ও জরুরি বিভাগসহ অন্তত ২২টির মতো বিভাগ রয়েছে বিশাল এ হাসপাতালে। অত্যাধুনিক এই হাসপাতালটি উদ্বোধন করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।


ব্যবস্থাপনা এতটাই উন্নত , তা মুগ্ধ করে সবাইকে।
কুয়েত বাংলাদেশ মৈত্রী সরকারী হাসপাতালের সহকারী পরিচালক বলেন, প্রতিদিন বহির্বিভাগে শত রোগী চিকিৎসা নিতে আসেন। জরুরি বিভাগ ২৪ ঘণ্টা চালু করা হয়েছে। জরুরি বিভাগে ডিউটি ডাক্তারের পাশপাশি একজন করে সহযোগী বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক দায়িত্ব পালন করছেন। যাতে করে সংকটাপন্ন রোগীর বিষয়ে তাৎক্ষণিক চিকিৎসা সেবার প্রস্তুতি নিতে পারেন। তিনি বলেন,এছাড়া সকাল ৭টা থেকে দুপুর আড়াইটা পর্যন্ত বহির্বিভাগে রোগী দেখা হচ্ছে। সেখানেও সহযোগী বিশেষজ্ঞ দ্বারা চিকিৎসাপত্র দেওয়া হচ্ছে। এছাড়া ডাক্তার, নার্স দিয়ে আগত রোগীদের সুচিকিৎসায় এখানকার চিকিৎসকরা নিষ্ঠার সঙ্গে সেবা দিয়ে যাচ্ছেন।

তিনি বলেন, মৈত্রী সরকারী হাসপাতালে বড়দের পাশাপশি শিশু বিষয়ক চিকিৎসা ও অপারেশনের পূর্ণাঙ্গ ব্যবস্থা রয়েছে। জরুরি বিভাগের একজন চিকিৎসক বলেন, জরুরি বিভাগে দৈনিক এক থেকে দেড়শ রোগী আসেন। যাদের মধ্যে অধিকাংশ সংকটাপন্ন থাকেন। তিনি বলেন, এখানে বিনামূল্যে অনেক জটিল অপারেশন করে রোগীরা সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরছেন। আর ছোটখাটো অপারেশন প্রতিদিনই হচ্ছে। এছাড়া এখানে যে ধরনের অপারেশন করা হয় তা বিদেশে করতে কমপক্ষে ১০ থেকে ১৫ লাখ টাকা ব্যয় হতো। কুয়েত বাংলাদেশ মৈত্রী সরকারী হাসপাতাল হওয়ায় তা থেকে সবাই রেহাই পেয়েছেন।

আপনার মতামত দিন:


ক্লিনিক-হাসপাতাল এর জনপ্রিয়