Ameen Qudir

Published:
2016-12-14 01:44:24 BdST

আরেক বদরুল :নাম শফিকুল



ডাক্তার প্রতিদিন
_________________________

 স্ত্রী ফতেমাকে মাথায় কুপিয়ে হত্যা চেষ্টা চালানো এই সেই টাঙ্গাইলের বদরুল। নাম তার শফিকুল। ফতেমার চোখ উপড়ানোর চেষ্টা করে এই পাষন্ড।
পেশায় সে মসজিদের ঈমাম হলেও পরকীয়ায় ছিল লিপ্ত। সে কাজে স্ত্রী ফতেমা বাধা দেয়ায় বদরুলের নিষ্ঠুরভাবে কুপিয়েছে বউকে। এ নিয়ে ডাক্তার প্রতিদিনে সচিত্র রিপোর্ট হলে তা ভাইরালে পরিনত হয়। হাজার হাজার শেয়ার ছড়িয়ে পড়ে অনলাইনে।

ফতেমার ওপর অত্যাচারের বীভৎসতা দেখে শিউরে ওঠেন চিকিৎসকরাও। তারা বলছেন, এটা ছিল নির্মম হত্যাচেষ্টা। টাঙ্গাইল  হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়ক  জানান, যখন তাকে ভর্তি করা হয়েছিল তখন তার অবস্থা খুব খারাপ ছিল। এখন তার অবস্থা কিছুটা ভালো। তবে এখনোও তার শারীরিক অবস্থা দুর্বল। মাথার বিভিন্নস্থানে তাকে কোপানো হয়েছে। চোখ উপড়িয়ে ফেলার চেষ্টা হয়। তার চোখের অবস্থা অত্যন্ত খারাপ।
২০১০ সালে বিয়ে হয় ভূঞাপুর উপজেলার নিকরাইল ইউনিয়নের মাটিকাটা গ্রামের তোফাজ্জল হোসেনের মেয়ে ফতেমার।একই উপজেলার অলোয়া ইউনিয়নের চালমুলা গ্রামের আব্দুল হামিদের ছেলে শফিকুল ইসলামের সঙ্গে । বিয়ের সময় মোটা অংকের যৌতুকও দেয়া হয়। শফিকুল নিকলা রাইপাড়া জামে মসজিদের ইমাম। ভালোই কাটছিল তার সংসার জীবন। বছর ঘুরতেই ফতেমা জন্ম দেন পুত্রসন্তান।


নানা অজুহাতে মোটা অংকের টাকার যৌতুক দাবি করা হয়। কষ্টের কথা বাবাকে জানায় নির্যাতিতা । মেয়ের সুখের কথা চিন্তা করে তার বাবা আবারও টাকা দেয়। কিছুদিন গেলে সেই দাবি আরো বাড়তে থাকে। টাকা না এলেই চলে অমানবিক নির্যাতন।

মঙ্গলবার রাতে স্বামী শফিকুল ইসলাম, শ্বশুর মো. আব্দুল হামিদ ও শাশুড়ি রোকেয়া বেগম ঘরে ঢুকেই ফতেমাকে মারধর শুরু করেন। শ্বশুর-শাশুড়ি তার হাত-পা ধরে রাখে আর স্বামী শফিকুল ইসলাম এলোপাতাড়ি কোপাতে থাকে। ফাতেমার চিৎকারে তখন আশপাশের লোকজন ছুটে এসে তাকে উদ্ধার করে। পরে টাঙ্গাইল মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।

হাসপাতালের বেডে এখন যন্ত্রণায় ছটফট করছেন ফতেমা। তার মাথা ও ঘাড়ে বেশ কয়েকটি সেলাই দেয়া হয়েছে।

 

আপনার মতামত দিন:


ক্লিনিক-হাসপাতাল এর জনপ্রিয়