‘খুব অহঙ্কার! এবার আয়নায় গিয়ে দেখ’, হালিশহরে ছাত্রীর মুখে থার্মো কাটার সহপাঠীর

ডাক্তার প্রতিদিন
_______________________________

কৈশোরের বেপরোয়া বখাটেপনার পরিণাম কী হতে পারে, তা শনিবার এই এক ঘটনায় সামনে এল । এরকম ঘটনা দু বাংলাতেই ঘটছে।

প্রেমের প্রস্তাবে প্রত্যাখ্যাত হয়ে এক ছাত্রীর মুখে ছুরির কোপ বসাল তারই সহপাঠী!
সোমবার হালিশহরের সরকার বাজারের ঘটনা। গুরুতর আঘাত নিয়ে ছাত্রীটি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। তার মুখে ২৩টি সেলাই পড়েছে বলে জানা গিয়েছে। গ্রেফতার হওয়ার পর অভিযুক্ত ছাত্রটির ঠিকানা জেল হেফাজত।
রমাপ্রসাদ হাইস্কুলের দ্বাদশ শ্রেণিতে বিজ্ঞান নিয়ে একইসঙ্গে পড়ত হালিশহরের বালিভরার বাসিন্দা ওই ছাত্রীটি এবং চৌমাথার বাসিন্দা সৌম্যদীপ শীল।

স্কুলের পার্শ্বশিক্ষক চৈতী বন্দ্যোপাধ্যায়ের কোচিং সেন্টারে বছর তিনেক ধরে একসঙ্গে পড়ে দু’জনে। সোমবার ওই কোচিং সেন্টারে পড়ার মাঝেই ছাত্রীটিকে প্রেমের প্রস্তাব দিয়েছিল সৌম্যদীপ। ব্যাপারটা খেয়াল করে শিক্ষিকা সৌম্যদীপকে কিছু বলেন।

, এরপর কোচিং সেন্টারের বিরতির জন্য অন্য পড়ুয়ারা বাইরে বেরিয়ে যায়। সেই সুযোগে ছাত্রীটির উপরে ঝাঁপিয়ে পড়ে নিজের কাছে টেনে নেয় সৌম্যদীপ। পকেট থেকে থার্মোকল কাটার ছুরি বার করে ছাত্রীর গালে উপর্যুপরি আঘাত করে। বলে, ‘‘রূপের খুব অহঙ্কার! এবার আয়নায় গিয়ে মুখ দেখ। আর কেউ পছন্দ করবে না।’

শিক্ষিকা চৈতী জানান, দু’জনেই মেধাবী। কয়েকদিন ধরে সৌম্যদীপের মধ্যে অস্বাভাবিকতা লক্ষ করছিলাম।
কোচিং সেন্টারের মধ্যে নয়। পড়ার শেষে বাড়ির ফেরার জন্য বাইরে বাবার অপেক্ষায় ছিল ছাত্রীটি। তখনই তাকে আঘাত করে সৌম্যদীপ। স্থানীয় বাসিন্দারা তাকে পুলিশের হাতে তুলে দেয়। , ছাত্রীটির সঙ্গে তার প্রণয়ের সম্পর্ক ছিল বলে দাবি করেছে সৌম্যদীপ।

ঘটনা কলকাতার লাগোয়া হালিশহর।

ডাক্তার প্রতিদিন , কলকাতা ।