Ameen Qudir
Published:2018-02-17 00:58:43 BdST
মশার কামড়ে পায়ে ১৪ কেজির মাংসপিণ্ড, ৩০ বছর পরে হল মিরাক্ল অস্ত্রোপচার
ছবি সৌজন্য: দ্য হেলথ সাইট
ডেস্ক রিপোর্ট
_____________________
৪৬ বছর বয়সি সাইদালাভি। ভারতবর্ষের কেরলের ত্রিচূড় জেলার বাসিন্দা বাঁ পায়ে ১৪ কেজির মাংসপিণ্ড নিয়ে ঘুরছিলেন। প্রায় বস্তার মতো এই বিশাল মাংসপিণ্ড উরু থেকেই ঝুলছিল।
প্রায় তিন দশক ধরে লিম্ফ্যাটিক ফাইলেরিয়াসিস-এ আক্রান্ত সাইদালাভি। এর আগে অপারেশন করা হলেও, তাতে কাজ হয়নি। পায়ের ফোলা অংশ বেড়েই যায়। মশার কামড়েই এই সংক্রমণ হয়ে থাকে সাধারণত।
বাড়িতে মা ও দুই ভাইয়ের সাহায্যে অতি কষ্টে এদিক থেকে ওদিকে হাঁটাচলা করতেন বটে, কিন্তু এই মাংসপিণ্ড তাঁকে ভুগিয়েছে প্রতিদিন। বহু ডাক্তারের কাছে গেলেও, মাংসপিণ্ডের মাপ দেখে কেউ আর চিকিৎসার সাহস দেখাননি।
সাইদালাভি অবশ্য সময়ের সঙ্গে লড়াই করছিলেন। কারণ তাঁর পায়ে সংক্রমণ ছড়িয়ে পড়ছিল।
অপারেশনের পর সাইদালাভি। ছবি সৌজন্য: দ্য হেলথ সাইট
তবে এই প্রৌঢ়ের জীবন বদলে গেল কোচির একটি হাসপাতালে গিয়ে। অমৃতা ইনস্টিটিউট অফ মেডিক্যাল সায়েন্সেস-এর চিকিৎকদল পাঁচ ঘন্টার অস্ত্রোপচারের পর সাইদালাভির পা থেকে মাংসপিণ্ডটি কেটে বাদ দেন।
চিকিৎসক সুব্রহ্মনিয়া আয়ার জানান, এটি খুব জটিল অপারেশন ছিল। অনেক ঝুঁকি ছিল। প্রথম চার সপ্তাহ অ্যান্টিবায়োটিক দিয়ে রোগীর পা যাতে সংক্রমিত না হয়, তার চেষ্টা করা হয়। তার পরে অপারেশনের জন্য রোগীকে তৈরি করা হয়। দেহের তরল পদার্থ যাতে এই অংশে আর না জমে, পা যাতে আরও নরম হয়, তার জন্য বিশেষ ব্যান্ডেজ বেঁধে রাখা হয়।’’
অ্যানেথেটিস্টদের কাছেও এটি বড় একটা চ্যালেঞ্জ ছিল। অপারেশনের পর মাংসপিণ্ডটি বাদ দেওয়া গেলেও, রক্তক্ষরণ শুরু হয় পা থেকে। ভ্যাকুয়াম দিয়ে ক্ষতস্থানটির শুশ্রুষা করা হয়।
অপারেশনের পর এক মাস তাঁকে চিকিৎসকদের অধীনে থাকতে হয়। তার পরেই কারও সাহায্য ছাড়াই নিজের পায়ে হাঁটতে শুরু করেন সাইদালাভি।
তিনি চিকিৎসকদের ধন্যবাদ জানিয়েছেন। তবে আরও একটি অস্ত্রোপচার বাকি রয়েছে তাঁর। সাইদালাভির পায়ের ওজন কমানোর জন্য সেটি করতে হবে।
আপনার মতামত দিন: