Ameen Qudir

Published:
2017-03-07 22:54:00 BdST

চিকিৎসকদের ধর্মঘট : গেল গেল রব


 

ডা. হেলাল উদ্দিন আহমেদ
_______________________________


প্রথমেই একটা ডিসক্লেইমার করে নেয়া ভালো যে দাবি আদায়ের জন্য ধর্মঘট একটি কার্যকরী মাধ্যম তা জানা সত্ত্বেও আমি ব্যক্তিগতভাবে কোনো ধর্মঘটকে পছন্দ করিনা- কারণ আমি বিশ্বাস করি শক্তিশালী, দক্ষ আর বলিষ্ঠ নেতৃত্ব থাকলে দাবি আদায়ের জন্য ধর্মঘটের প্রয়োজন পড়েনা- ধর্মঘট হচ্ছে হতাশ আর দুর্বলের অস্ত্র। মনোবিজ্ঞানে যেটাকে ‘ফ্রাস্টেশন-অ্যাগ্রেশন হাইপোথিসিস’ দিয়ে ব্যাখা করা যায়।

এবার আসি বাংলাদেশের চিকিৎসকদের ধর্মঘটের বিষয়ে। একটা কথা খুব প্রচলিত “সাধারণকে জিম্মি করে’, ‘রোগীকে জিম্মি করে’। এই ক্লিশে শিরোনামকে পুজিঁ করে সংবাদ মাধ্যমে বছরের পর বছর একই সংবাদ প্রকাশ করে আসছেন- সেগুলো পড়ে সকালের চায়ের কাপে চুমুক দিতে দিতে ডাক্তারদের বাপ-বাপান্ত করতে করতে পশ্চাৎদেশ চুলকাতে চুলকাতে প্রাত:ক্রিয়া সারতে যায় মধ্যবিত্ত বাঙালি। আর “Patients suffer in 3 districts as interns strike” সংবাদটি পড়ে হাচর পাচর করে সদ্য উচ্চবিত্তের কোটায় প্রবেশ করা বাঙালি ‘ওহ শিট’ বলে ‘শিট’ ত্যাগে ধাবিত হয়-তাকে আবার সিংগাপুরের ফ্লাইট ধরতে হবে সকাল সকাল ! কিন্তু এই সংখ্যালঘূ দুই শ্রেণীর বাইরে যে বিশাল দিন আনা দিন খাওয়া সাধারণ মানুষ রয়েছে- যাদের কাস্তে-লাঙল কখনো ধর্মঘটের মুখ দেখেনি তারা কিন্তু অতশত বোঝেনা- ভ্যানে চড়িয়ে প্রসব যন্ত্রণায় কাতর স্ত্রীকে নিয়ে যখন সরকারী হাসপাতালের কাছে উপস্থিত হয় তখন দালাল চক্র তাকে হাসপাতালের কাছে ঘেসতে দেয়না-“হাসপাতাল বন্- ডাক্তাররা হরতাল ডাকছে, ‘লাইফ শেষ’ ক্লিনিকে চলেন, সস্তায় চিকিৎসা পাইবেন, বড় প্ররফেসর আছে” । যদিও হাসপাতালে জরুরী বিভাগ চালু ছিল, অধ্যাপক, সহযোগী অধ্যাপক, রেজিস্ট্রার, আইএমও , সিএ, এইচএমও, রেসিডেন্টরা ধর্মঘটের আওতার বাইরে ছিলেন তবুও ‘সেই’ দালালদের কারনে রোগী ‘লাইফ শেষে’ই গেলেন!ডাক্তারদের সম্পর্কে তার ধারণা হলো এরা অমানুষ, কসাই, ড্রাইভারদের মতই।

 

এই দুই পয়সার দালালদের মত কিছু শিক্ষিত দালাল রয়েছেন যারা প্রতিনিয়ত চেষ্টা করে যাচ্ছেন ডাক্তার-জনগণকে মুখোমুখি দাঁড় করাতে। ‘দেখো, এদেশের ডাক্তাররা অমানুষ, রক্তচোষা’ ‘ইন্ডিয়ার গরুর ডাক্তাররাও এদের চাইতে ভালো’ – এই শিক্ষিত দালালদের উদ্দেশ্য বোঝা ভার – তারা কী সত্যিই বাংলাদেশের চিকিৎসা সেবার উন্নতি চান ? নাকি কেবল ডাক্তার বিদ্বেষ ছড়ানোই তাদের লক্ষ্য ? যদি দ্বিতীয়টি হয় তবে তারা প্রত্যেকেই একএকটি পাসোর্নালিটি ডিসঅর্ডারের রোগী- চিকিৎসার প্রয়োজন আছে। আর যদি যদি সত্যিই বাংলাদেশের চিকিৎসা সেবার উন্নতি আর চিকিৎসকদের আচরণের পরিবর্তন চান তবে তারা ভুল পথে আছেন।

 

তাদের অনেকই সন্দেহ করেন-বারবার করেন, স্পষ্ট বাংলা ভাষায় লিখলেও তারা না বোঝার ভান করেন যে -আমি চিকিৎসক ধর্মঘটকে সমর্থন করি কীনা- আমি শুরুতেই বলেছি- আমি কোনো ধর্মঘটকে সমর্থন করিনা- আবারো বললাম করিনা। কিন্তু চিকিৎসক ধর্মঘট নিয়ে এই ‘গেল গেল রব’ তোলা ব্যক্তিত্বের বিকারে ভোগা মানুষগুলো যদি একটু বৈশ্বিক প্রেক্ষাপটে তাকাতেন তবে দেখতে পেতেন উন্নত রাষ্ট্রের চিকিৎসকদের ধর্মঘটকে মিডিয়া কিভাবে কাভার করে।ও আপনারা বোধ হয় জানেননা যে উন্নত রাষ্ট্রেও চিকিৎসক ধর্মঘট হয়!!

 

আমাদের নিন্দুক ট্রলকারীরা ফেসবুককে বিশ্ব ভেবে কথায় কথায় ভারত-সিঙ্গাপুর-বিলাতের ডাক্তারদের সাথে আমাদের তুলনা করে- ভারত-সিংগাপুর-আর বিলাতের প্রচার মাধ্যমগুলো দেখার সময় তাদের নেই। ২০১৬ সালে বৃটেনের জুনিয়র চিকিৎসকরা তাদের নায্য দাবি আদায়ে সর্বাত্মক ধর্মঘট করে। সেসময় দি ডেইলি টেলিগ্রাফ, বিবিসি এবং ডেইলি ইন্ডিপেন্ডেন্ট সহ পত্রিকাগুলো বস্তুনিষ্ঠ আর নিরপেক্ষ সংবাদ করে। একজন এমপি Jeremy Corbyn তার ফেসবুকের পাতায় লিখেন-“Everybody in Britain recognizes and is grateful for the hard work and long hours put in by junior doctors. Their treatment by this government has been nothing short of appalling, leading to the strike action in our NHS today.
No NHS worker takes lightly the decision to strike, but the blame must be laid at the door of this government for the way it has treated doctors and now seeks to smear them in the press. It is time for this government to apologize to junior doctors and negotiate a fair deal that gets our NHS working again”- আমাদের সুশীল আর লাইকপ্রিয় হাজার হাজার ফলোয়ারধারী নিন্দুকদের কাছে এই ধরণের দৃষ্টিভংগি আশা করি- যদি সত্যিই তারা পজিটিভ পরিবর্তন চান।

 

২৭ এপ্রিল ২০১৬ বিবিসি একটি রিপোর্ট করে যার শিরোনাম ছিল ‘Junior doctors' strike: Second all-out stoppage hits NHS’ সেখানে ধর্মঘট চলাকালীন সিনিয়র চিকিৎসকদের দায়িত্বপালন বিষয়ে বলা হয় “The increased presence of senior doctors may have actually speed up processes. For example, Milton Keynes Hospital said having more consultants in A&E enabled quicker decisions to be made about what treatments patients needed. সেখানে ধর্মঘট চলাকালে সেবাপ্রার্থী একজন রোগীর সাক্ষাৎকার ছাপা হয় “Hannah, 21, has been waiting for treatment for a brain tumour since before Christmas. She was due to be admitted on Tuesday, but that was postponed. "Understandably Hannah is devastated and very annoyed about this," her mother said. But Ms Ginsing said she still supported the junior doctors' action, adding: "I have seen how dangerous sleep disruption in doctors can be." হায় আমাদের দেশে এই সংবাদের শেষ দু’লাইন নিশ্চিত কাটা পড়তো।

 

উন্নত বিশ্বে সবচাইতে আলোচিত চিকিৎসক ধর্মঘট হয় ১৯৬২ সালে, সাসকাচোয়ান, কানাডায়। স্বাস্থ্য বীমা বিষযক একটি বিলকে কেন্দ্র করে টানা ২৩ দিন চিকিৎসক ধর্মঘট চলে। সরকার এই ধর্মঘটের ফলে চিকিৎসকদের দাবিগুলো মেনে নেয়। “As a result of the agreement, amendments to the Act were introduced allowing doctors to opt out of Medicare and raising fee payments to doctors under the plan and to increase the number of physicians sitting on the Medical Care Insurance Commission” । উন্নত বিশ্বে ওরা আর্থিক সুবিধার জন্য ধর্মঘট করে আর আমাদের দেশে জীবনের নিরাপত্তা আর সামাজিক অধিকারের জন্য ধর্মঘট হয়।

 

চিকিৎসক নিন্দুকেরা আবার ভুল বুঝতে পারেন যে আমি ইনিয়ে বিনিয়ে ডাক্তার ধর্মঘটের সাফাই গাইছি কিনা- না আবার তাদের আশ্বস্ত করি আমি –কোনো ধর্মঘটই পছন্দ করিনা। তবে আপনারা যেসব উন্নত রাষ্ট্রের উদাহারণ দেন- সাদা চামড়াকে সভ্যতার সূচক হিসেবে মনে করেন, তাদের জন্য এই উন্নত রাষ্ট্রের উদাহারণটুকু দিলাম। গেল বছর বৃটেনের কেবল জুনিয়র ডাক্তারদের ধর্মঘটের কারণে দেশটির বিভিন্ন হাসপাতালের বহির্বিভাগের ১ হাজার ৪২৫ ও অভ্যন্তরীণ বিভাগের ২ হাজার ৫৩৫টি অপারেশন স্থগিত করা হয়েছে বলে জানায় দেশটির জাতীয় স্বাস্থ্যসেবা সংস্থা (এনএইচএস)। ২০১২ সালের জুন মাসে দেশব্যাপী আরেকটি বড় মাপের ধর্মঘট করে বৃটেনের ডাক্তাররা- সেময় প্রায় ৮ লক্ষ মানুষের হাসপাতালে ভর্তি আর ৫৬ লক্ষ বহির্বিভাগের এপয়েন্টমেন্ট বাতিল হয়ে যায়- দেশ জুড়ে ব্যাপক প্রভাব পড়ে! এ নিয়ে রয়্যাল সোসাইটি অব মেডিসিন এর বৈজ্ঞানিক জার্নালে নিবন্ধ ছাপা হয় A retrospective study of the impact of the doctors’ strike in England on 21 June 2012 শিরোনামে- কিন্তু কোথাও ডাক্তারদের প্রতি অবমাননাকর সংবাদ বা ফেসবুকিয় কমেন্ট প্রচারিত হয়নি।

 

আমাদের দেশে ’৯০ এর স্বৈরাচার বিরোধী আন্দোলনে চিকিৎসকদের ধর্মঘট, তৎকালীন বিএমএর সাহসী ভূমিকা আর ডা. মিলনের আত্মত্যাগ কেবল চিকিৎসক সমাজ নয় সকলকেই অনুপ্রাণিত করে।
স্বাস্থ্য ব্যবস্থা উন্নয়নের সূচক যদি হয় মাতৃ মৃত্যুহার রোধ, শিশু মৃত্যু হার হ্রাস, সার্বজনীন টিকা দানের সফলতা, গড় আয়ু বৃদ্ধি, অসংক্রামক রোগ নিয়ন্ত্রণ আর সংক্রামক রোগ থেকে মুক্তি, সারা বিশ্বের জন্য মডেল কমুনিটি ক্লিনিকের সেবা তবে বাংলাদেশ অবশ্যই স্বাস্থ্যখাতে উন্নয়ন করেছে-এটি আমাদের দেশের টকশোজীবি, একপেশে সংবাদ ছাপিয়ে আর ফেসবুক কেন্দ্রিক নিন্দুকেরা না বুঝলেও ল্যানসেট, জাতিসংঘ, বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা ঠিকই বুঝেছেন- তাই বিশ্ব র‌্যাংকিং এ বাংলাদেশের অবস্থান ৮৮ তম আর যেই ভারতপ্রেমে আমার নিন্দুক বন্ধুরা সরব সেই ভারত এর অবস্থান ১১২ !

যাক কথা হচ্ছিল চিকিৎসক ধর্মঘট নিয়ে- বগুড়া মেডিকেলের একটি অনভিপ্রেত ঘটনাকে কেন্দ্র করে সারাদেশে ধর্মঘট হয়েছে-অনভিপ্রেত ঘটনাটির নানাপেশে ব্যাখা আছে। কেউ কেউ চোখ কপালে তুলে বলেছেন মৃত্যুপথযাত্রীর সন্তান কী করে ‘ইভ টিজিং করে’ ? তাদের জন্য বলবো আপনারা মানব মনের ১ শতাংশই জানেননা! আর যারা বলছেন যে কোনো ইভ টিজিং হয়নি, ঘটনার ৪ দিন পর ‘মাল’ শব্দটি বানানো হয়েছে তাদের জন্য প্রশ্ন তাহরে এই অনভিপ্রেত ঘটনা কেন ঘটলো ? না হয় ‘মাল’ বলেনি তবে চিকিৎসকরা কি হঠাৎ করেই মারামারিতে জড়িয়ে পড়লেন ? প্রকৃত তথ্যটি প্রকাশ করতে বাধা কোথায়? মোট কথা সেখানে মারামারি হবার মত একটি পরিস্থিতি কেন সৃষ্ট হলো ? যা হোক এরপর একটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হলো যার রিপোর্ট আগে থেকে তৈরি করে কমিটি তদন্তে গেলেন! হাসপাতালের মাননীয় পরিচালক মহোদয় একটি অফিসিয়াল চিঠি দিয়েছেন যা সংবাদ মাধ্যম এড়িয়ে গেছে আর তদন্ত কমিটি গ্রাহ্য করেনি। এ কেবল বাংলাদেশেই সম্ভব।

 

চিকিৎসকদের একমাত্র আশ্রয়স্থল বিএমএ এ বিষয়ে অদ্যবধি কোনো অফিশিয়াল ঘোষনা দেয়নি- নবীন চিকিৎসকরা স্বতস্ফূর্তভাবে ধর্মঘট ডেকেছিল। এই ধর্মঘট নিয়ে মূল মিডিয়া আর লাইকপ্রিয় সোশ্যাল মিডিয়ায় সেই এক ক্লিশে কথা, কিন্তু উত্তরণের উপায় নিয়ে কেউ বলছেনা- কেউ বলছেনা যে চিকিৎসা পেশার মূল কারিকুলাম পরিবর্তন করতে হবে, সেখানে মানবিক বিষয়গুলোর চর্চা বাড়াতে হবে যাতে তাদের আচরণ আর ভাষা (মৌখিক/অমৌখিক)পরিশীলিত হয়, যে চাপের মধ্যে একজন মেডিকেল ছাত্র থাকে সে চাপ তাকে কমাতে হবে- কারণ অত্যধিক চাপ তার আচরণকে অসহনশীল করে তোলে, কেউ বলছেনা বছরের পর বছর একজন মেডিকেল ছাত্র কেন পোস্ট গ্র্যাজুয়েশনে ফেল করে যাচ্ছে তা নির্নয় করে সমাধানের ব্যবস্থা করতে হবে, নিন্দুকেরা কেউ বলছেনা একজন চিকিৎসকের কর্মস্থলে নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে হবে, কেউ বলছেনা হাসপাতালের অবকাঠামো ভালো করতে হবে, অচিকিৎসকদের প্রেসক্রিপশন লেখা বন্ধ করতে হব ।

 

উন্নত দেশে স্বাস্থ্য সেবাদানের সাথে সংশ্লিষ্ট ব্যক্তির উপর হামলার শাস্তি কত ভয়াবহ তা আমাদের অনুসন্ধিৎসু পেশাজীবিরা খুজেঁ বের করছেনা, তারা একবারও বলছেনা আমাদের পাশের দেশ স্বাস্থ্যসেবায় যার র‌্যাংকিং আমাদের ২৪ ধাপ নিচে তাদের দেশের চিকিৎসকের ওয়ারেন্ট অব প্রিসিডেন্স আর বেতন ভাতা আমাদের দেশের তুলনায় কত উপরে, তারা কেউ প্রতিবাদী হয়ে বলছেনা আমাদের চিকিৎসকদের ষড়যন্ত্র করে ৩য় গ্রেডে নামিয়ে দেয়া হলো কেন এ নিয়ে ।

শেষবারের মত আমার নিন্দুক বন্ধুদের জন্য বলছি ‘আমি ধর্মঘট সমর্থন করিনা’। আমাদের অগ্রজ নেতৃবৃন্দ যদি প্রম্পট হতেন, বলিষ্ঠ হতেন তবে ধর্মঘটে যাওয়া লাগত না- তারা কি বুঝতে পারেননি যে ইন্টার্নরা ধর্মঘটে যাচ্ছে- আগেই কেন সমাধানের পথ খুঁজলেননা। নাকি ‘দেখিনা কি হয়’ ‘দেখিনা কি হয়’ ‘দেখিনা কি হয়’ করেই বেলা বয়ে দিলেন। তাদের দুর্বলতা আর বিভক্তি এবং প্রচারমাধ্যমের একপেশে উস্কানির কারণেই ধর্মঘট। আপাত: ধর্মঘটের একটা সমাধান হয়েছে- যা নিয়ে কিছু বিতর্কও চলছে। কিন্তু এঘটনাই কিন্তু শেষ নয়- সমস্ত বিষয়টিকে ‘হলিস্টিক’ এপ্রোচে না দেখলে কেবল সমালোচনা আর তৃপ্তির ঢেকুর তুলতে তুলতে ফেসবুকে লাইকের সংখ্যা গুনলে পরিবর্তন হবেনা। ডাক্তার ধর্মঘটের পর আর পুরোনো শিরোনাম দেখতে চাইনা- গেল গেল রব-বাদ দিয়ে আর যাতে ধর্মঘট না হয় সেজন্য গঠনমূলক আর পজিটিভ মন্তব্য করুক। সকলের শুভবুদ্ধির উদয় হোক, সকলকে দেশের মানুষকে ভালোবাসতে শিখুক, দেশের পুলিশকে, দেশের ডাক্তারকে, দেশের সাংবাদিককে ভালোবাসতে শিখুক। বিভক্তি আর দুর্বলতাকে ঝেড়ে ফেলে আমাদের নেতারা হয়ে উঠুক চিকিৎসকদের ‘রোল মডেল’।

_______________________________

ডা. হেলাল উদ্দিন আহমেদ । দেশের জনপ্রিয় কলামিস্ট। কথাসাহিত্যিক ।
সহকারী অধ্যাপক, চাইল্ড এডলোসেন্ট এন্ড ফ্যামিলি সাইকিয়াট্রি
জাতীয় মানসিক স্বাস্থ্য ইনস্টিটিউট, ঢাকা ।

আপনার মতামত দিন:


ক্যাম্পাস এর জনপ্রিয়