Dr. Aminul Islam
Published:2021-07-10 15:52:58 BdST
সবাইকে কাঁদিয়ে অকালে চলে গেলেন মেধাবী মেডিকেল শিক্ষার্থী মিথুন
ডেস্ক
_______________
হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে না ফেরার দেশে পাড়ি জমালেন রাজধানীর উত্তরা আধুনিক মেডিকেল কলেজের ১৩তম ব্যাচের মেধাবী শিক্ষার্থী মৃত্যুঞ্জয় দাস মিথুন। সবার প্রিয় ছিলেন মিথুন। সকলের নয়ন মনি। অনেক গুণ ছিল বলে সকলের ভালবাসা পেতেন। ভালবাসা দিতেনও অকাতরে।
শুক্রবার (৯ জুলাই) সকাল ১১ টার দিকে ঢাকার একটি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মৃত্যুবরণ করেন তিনি। মৃত্যুকালে তাঁর বয়স হয়েছিল ২১ বছর।
ডাক্তার প্রতিদিন সম্পাদক ও বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের মনোরোগ বিভাগের প্রফেসর ডা সুলতানা আলগিন এক শোকবার্তায় প্রয়াত মিথুন দাসের শোকসন্তপ্ত পরিবারের প্রতি গভীর সহমর্মিতা জানান।
মৌলভীবাজার জেলা ন্যাশনাল চিলড্রেনস টাস্ক ফোর্স কমিটির সদস্য ছিলেন মিথুন দাস। ২০১৫ সালে তবলায় জাতীয় পুরস্কার পেয়েছিলেন তিনি।
মৃত্যুকালে তিনি মা-বাবা, ভাই-বোন, বন্ধু-বান্ধবসহ অসংখ্য গুণগ্রাহী রেখে গেছেন। মেধাবী এ শিক্ষার্থীর মৃত্যুতে গভীর দুঃখ ও শোক জানিয়েছে উত্তরা আধুনিক মেডিকেল কলেজ পরিবার।
শাহ নুর চৌধুরী মৌলভীবাজার থেকে জানান,
মৃত্যুঞ্জয় দাস মিথুন, আমাদেরই গর্বিত এক শিক্ষার্থী ছিল।
তার বাবা এডভোকেট কৃপা সিন্ধু দাস।
মা মাধবী দাশ
মৃত্যুঞ্জয়, দি ফ্লাওয়ার্স কে. জি এন্ড হাই স্কুলের,কে.জি ওয়ান হতে অষ্টম শ্রেণি পর্যন্ত অধ্যয়ন করেছিল।
মিথুন ভালো আঁকতো, অসাধারণ তবলা বাজাতো।
২০১৫ সালে তবলায় জাতীয় পুরস্কার পেয়েছিল।
""আমার মিথুন! আমার মিথুন মেডিকেলে পড়ে। তাকে ঘড়ি কিনে দিছি, শার্ট কিনে দিছি...।" মা এমনই বুকফাটা বিলাপ করতে করতে লুটিয়ে পড়ছেন মাটিতে।
বাবা শুধু বলছেন, "আমার সবকিছু শেষ হয়ে গেলো!"
সকালে বন্ধুদের সাথে ক্রিকেট খেলতে মাঠে গিয়েছিলেন মিথুন। হঠাৎ বুকে ব্যথা অনুভূত হলে খেলার মাঠ থেকে (মৌলভীবাজার সরকারি উচ্চ বিদ্যালয় এর মাঠ) বন্ধুরা নিয়ে যান মৌলভীবাজার সদর হাসপাতালে। ওখানেই মারা যান মেডিকেল পড়ুয়া টগবগে তরুণ মিথুন।
এমন আকস্মিক মৃত্যুর খবর ছড়িয়ে পড়লে শোকের ছায়া নেমে আসে শহরের গির্জাপাড়াসহ পুরো মৌলভীবাজারে। মা মাধবী দাশ হেলথ এসিস্ট্যান্ট ও বাবা কৃপাসিন্ধু একজন আইনজীবী। কিভাবে তারা সন্তানের এমন অকাল মৃত্যুর শোক সইবেন!
সমবেদনা জানানোর কোনো ভাষা নেই।
মহান সৃষ্টিকর্তা মিথুনের মা- বাবাকে যেন এই শোক সইবার ক্ষমতা দেন।
আপনার মতামত দিন: