Ameen Qudir
Published:2019-06-23 22:35:52 BdST
বরগুনায় গুন্ডারাজের হামলায় তরুন ডাক্তাররা জীবনের ভয়ে হাসপাতাল ছেড়ে চলে যাচ্ছেন
ডেস্ক
___________________________
বরগুনা সদর হাসপাতালে কি ঘটেছিল। কেন এক তরুণ লোকসেবী চিকিৎসক নির্মম মার খেলেন গুন্ডারাজের হাতে।
বিবেক তুমি কার?
শিরোনামে এক লেখায় স্থানীয় একটি গেস্ট হাউসের মালিক আরিফ খান জানিয়েছেন ঘটনার নিরপেক্ষ বিবরণ । তিনি লিখেছেন,
এই তো সেদিনের কথা...আমরা বরগুনা সদর হাসপাতালের সামনে মানব বন্ধন করেছিলাম,পর্যাপ্ত ডাক্তার ও অনান্য চিকিৎসা উপকরনের দাবীতে!!সম্ভবত সেই আন্দোলনের কিছুদিন পরে ই,প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের নির্দেশে বেশ কয়েকজন বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক এসেছিলেন। সেটাও এখন অতীত এবং বহু পুরানো সংবাদ।
____________________________________
তথ্য ও ভিডিও লিঙ্ক
https://www.facebook.com/watch/?v=2314823888766067
______________________________
বর্তমানে হাসপাতালের নতুন বিশাল ভবনের নির্মান প্রায় শেষ হলেও,ডাক্তার কিংবা চিকিৎসা সেবার খুব উন্নতি যে হয়েছে তা কিন্তু বলতে পারছি না!!কারন #বিয়াল্লিশ জন চিকিৎসকের স্থানে,বর্তমানে আমাদের রয়েছে মাত্র #বারো জন চিকিৎসক। যার মধ্যে সদ্য এফ সি পি এস (গাইনী) সম্পন্ন করা ডাঃমশিউর রহমান রয়েছেন।
কর্মস্থলে যোগদানের মাত্র দিন সাতেকের মধ্যে, দরিদ্র রোগীদের যিনি তিনটি সিজার সম্পন্ন করেছিলেন!তিনিই লাঞ্চিত হলেন অন্যায়ভাবে।
তবে যে যাই বলুন না কেন!নোংরা মানষিকতার অতিউৎসাহী এই জঘন্য কর্মকান্ডে.....অজস্র প্রশ্ন কিন্তু থেকেই যায়!!!!
√ বাচ্চাটি যে মূমুর্ষ অবস্থায় হাসপাতালে আনা হয়েছিল,সেই অবস্থায় চিকিৎসা করার মত আদৌ কোন সরঞ্জাম আমাদের হাসপাতালে রয়েছে কি??
√চিকিৎসক কিন্তু রোগীর গুরুতর অবস্থা দেখেই,নিজেদের অপ্রতুলতার কথা জানিয়ে বরিশাল রেফার করেছিলেন। তার পরেও কেন অন্যায়ভাবে বহিরাগত মস্তান জড়ো করে হামলা করা হলো?
√রোগী সুস্থ কিংবা মারা যাওয়া দুটি বিষয়ই একটি হাসপাতালের স্বাভাবিক চিত্র। রোগীকে মৃত ঘোষনা এবং অনান্য আনুসংগিক কাজ শেষ করে,ডাক্তার সাহেব আবার ইমার্জেন্সিতে এসে বসেছিলেন।তিনি রোগীকে ফেলে!কিংবা অবহেলা করে! মাস্তি করতে ছিলেন না। তাহলে কি অপরাধে সদ্য যোগদান করা একজন চিকিৎসকের উপরে হামলা????
সকলের প্রতি বিশেষ অনুরোধ, কিছু না জেনে,না বুঝে!ঢালাওভাবে মন্তব্য করা থেকে বিরত থাকুন।প্রিয় জনকে হারানোর আবেগে,অন্যায় ভাবে একজন চিকিৎসকের উপর হামলা করা কখনোই সভ্য মানুষের কাজ নয়। আপনি কিংবা আমি! মানে আমরা সবাই দিন শেষে, এই চিকিৎসদের চিকিৎসায় রোগ মুক্ত হই।এই ন্যাক্কারজনক হামলার প্রেক্ষিতে একপ্রকার জীবনের ভয়ে,তরুন ডাক্তার তার নিজ বাড়িতে চলে গেছেন। যতদুর জানি তিনি আর আসতে চাচ্ছেন না। আবার তিনি যদি ফিরেও আসেন !!এই অন্যায় নোংরা হামলা কি কখনো ভুলতে পারবেন?
চিকিৎসা সেবার অপ্রতূলতায় মানব বন্ধন কিন্তু আমরাই করেছিলাম,এই গুন্ডা মার্কা মানুষগুলিকে তখন কোথাও দেখিনি।মাত্র ১৪ বছরের একটি বাচ্চা ছেলে কোন এক্সিডেন্ট ছাড়া,ফুড পয়জনিং এ স্ট্রোক করে প্রায় মৃত অবস্থায় হাসপাতালে আনাটা অবশ্যই সঠিক। কিন্তু এনার্জি ড্রিংক, কাঠাল ইত্যাদি একসাথে খেয়ে (অনুমান করা হয়েছে)বিষক্রিয়ায়, একটি বাচ্চায় স্ট্রোক করে মারা যাওয়ায় দায়ভার, আর কারোর কি নেই?
#উল্লেখ্যঃ এই হাসপাতালে চিকিৎসক এবং চিকিৎসা সরঞ্জামের অপ্রতুলতার কারনে.....আমি হারিয়ে ছিলাম আমার সবচেয়ে বড় সম্পদ আমার মা কে। তাই এই হাসপাতাল জনিত ক্ষত!!আমার কারো চেয়ে কোন অংশে কম নেই। তআমি এই শহরের একজন নাগরিক হিসাবে এই ঘটনায়....লজ্জিত,ব্যাথিত এবং মর্মাহত।
শহরের বুদ্ধিজীবী তথা বিভিন্ন নাগরিক আন্দোলনের সাথে যারা জড়িত,তাদের প্রতি বিশেষঅনুরোধ....দয়া করে এই সংকটকালীন সময় নিরীহ চিকিৎসকের পাশে থাকুন।সদ্য যোগদান করা তরুন চিকিৎসক, এতে কিছুটা হলেও হয়ত স্বান্তনা পাবেন।আর ঘুমিয়ে না থেকে,আল্লার ওয়াস্তে একটু জাগুন।
সবাইকে ধন্যবাদ।
আপনার মতামত দিন: