Ameen Qudir
Published:2019-02-19 23:12:04 BdST
৩৩ স্পেসিমেন ভ্রূণ নিয়ে মিডিয়ার গুজব অপপ্রচারের বলি হচ্ছেন গাইনি বিভাগের প্রধান!
বরিশাল থেকে সংবাদদাতা
________________________
বরিশালের শের-ই-বাংলা মেডিকেল কলেজে ২৫ বছর ধরে মেডিকেল শিক্ষায় ব্যবহৃত ও পরে পরিত্যাক্ত ৩৩টি স্পেসিমেন ভ্রূণ নিয়ে সৃষ্ট গুজব তোলপাড়ের বলি হতে চলেছেন হাসপাতালটির গাইনি বিভাগের প্রধান। তাকে সাময়িক বরখাস্তে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ে আবেদন করা হবে বলে জানিয়েছেন হাসপাতাল পরিচালক। সেই সাথে একই বিভাগের ওয়ার্ড ইনচার্জ নার্স জোসনা বেগমও সাময়িক বরখাস্ত হতে পারে বলে জানান তিনি।
ওয়াকিবহাল চিকিৎসকরা বলছেন, যেখানে মেডিকেল শিক্ষায় মানবতার সেবায় স্পেসিমেন ভ্রূণের অনিবার্য প্রয়োজনীয়তা নিয়ে জনসচেতনতা তৈরী দরকার ছিল, সেখানে একজন শীর্ষ চিকিৎসা ব্যাক্তিত্বকে শাস্তি দেয়ার উদ্যোগ নিয়ে মুর্খ জনগনের গুজবপ্রিয়তা ও মিডিয়ার অপরিনাম দর্শী মিথ্যাচার ও অপপ্রচারকে আরও জোরদার করা হয়েছে। এটা ঠিক একটা ব্যবস্থাপনার ত্রুটি ঘটেছে। সে নিয়ে সাবধান হওয়াও দরকার। কেননা, জনগন মুর্খ প্রচারণায় উত্তেজিত হয়। মিডিয়াও অজ্ঞতা ও ভাইরাল প্রচারের লোভে গুজব প্রচার করে। সেজন্য সচেতনতা ও প্রতিবাদ দরকার ছিল বেশী। সেটা না করে ডাক্তারদের বলির পাঠা বানানো হচ্ছে আত্মঘাতের সামিল। এর ফলে অপপ্রচার আরও বাড়বে। ডাক্তাররা আরও কটুক্তি ও জন হিংসার বলি হবে।
এ বিষয়ে বরিশাল শেরে বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের পরিচালক বলেন, হাসপাতালে অনেক নারীর অপরিণত বাচ্চা জন্মায়। বিভিন্ন সময় তাদের স্বজনেরা তা ফেলে রেখে চলে যায়। এসব অপরিণত শিশুর মরদেহ সংরক্ষণ করা হয়েছে। মরদেহগুলো ডাস্টবিনে না ফেলে মাটিচাপা দেয়ার কথা ছিল। ভুলক্রমে এসব মরদেহ ডাস্টবিনে ফেলে দেওয়া হয়েছে। মরদেহগুলো মাটি চাপা দেয়া হবে বলেও জানান তিনি।
পরিচালক বলেন, যেগুলো ব্যবহার অনুপযোগী হয়ে পড়ে সেগুলো নিয়মানুযায়ী মাটিতে পুঁতে ফেলতে হয়। কিন্ত গাইনি বিভাগের প্রধান ডা. খুরশিদ জাহানের নির্দেশে ওই বিভাগের চতুর্থ শ্রেণির নারী কর্মচারীরা শিশু ও মানবদেহের অঙ্গগুলো মাটিতে না পুঁতে ড্রেন ও ডাস্টবিনে ফেলেছে। যা মোটেই ঠিক হয়নি। কেন এমনটা ঘটল তা খতিয়ে দেখতে তদন্ত কমিটি গঠন করা হবে।
সচেতন চিকিৎসকরা বলেন,
পরিচালকের বক্তব্য অনুযায়ী দেখা যায়, একাজে গাইনি বিভাগের প্রধান কোন দায়িত্বহীনতা নেই। তাকে বলির পাঠা করা কেন! তা কি গুজব মিডিয়াকে আরও উস্কে দেয়ার জন্য। এভাবে মুর্খ জনগনকে যত উত্তেজনার রসদ দেযা হবে, ততই ডাক্তারদের ওপর নিগ্রহ অত্যাচার নেমে আসবে।
আপনার মতামত দিন: