Ameen Qudir

Published:
2019-02-17 01:14:20 BdST

পাবনা মানসিক হাসপাতাল নিয়ে নজিরবিহীন মিথ্যাচার মিডিয়ার:দাঁত ভাঙা জবাব পরিচালকের


 


ডেস্ক, ঢাকা
_______________________

পাবনা মানসিক হাসপাতাল নিয়ে নজিরবিহীন মিথ্যাচার করে চলেছে বাংলাদেশের এক শ্রেণীর হলুদ মিডিয়া ও দুর্বৃত্ত সাংবাদিক। গজবী গুজব সংবাদ ও ভিডিও রটিয়ে বাংলাদেশের স্বাস্থ্য ব্যবস্থাকে ধ্বংস করাই এই অসৎ সাংবাদিকতার অংশ।
সম্প্রতি পাবনা মানসিক হাসপাতালের রোগীদের বক্তব্য নিয়ে ইউটিউবে ভাইরাল করা হয়েছে একটি মিথ্যা প্রিপ্লানড ভিডিও । এক শ্রেণীর ভুঁই ফোড় মিডিয়া ও অনলাইন পোর্টালে হাসপাতালের চিকিৎসা সেবা নিয়ে বিভ্রান্তিকর সংবাদও ছড়িয়ে দেয়া হয়েছে। পাবনা মানসিক হাসপাতালের পরিচালক অধ্যাপক ডা. তন্ময় প্রকাশ বিশ্বাস পরিস্কার বলেছেন, এসবই এই ঐতিহ্যবাহী হাসপাতালের বিরুদ্ধে পরিকল্পিত ষড়যন্ত্রের অংশ । ।

ডা. তন্ময় প্রকাশ বিশ্বাস বলেন, একজন মানসিক রোগী নিজেকে কখনও মানসিক রোগী হিসেবে স্বীকার করে না। তার কথার ভেতর কিছু অসংলগ্নতা থাকে, যেটা প্রচারিত ভিডিওতে কথা বলা রোগীদের মাঝেও ছিল। এবং ভিডিওতে দেখা গেছে সেই নারী নিজেই বলছেন যে তিনি এর আগেও দু’বার ভর্তি ছিলেন। কোন মানুষ যদি খেয়াল করে ভিডিওটি দেখেন তাহলে নি:সন্দেহে এসব রোগীদের অসুস্থতার লক্ষণ সাধারন চোখেই দেখতে পাবেন। সেখানে সাংবাদিকতার মত পেশায় জড়িত থাকা ব্যক্তিরা কিভাবে সেটি বুঝলেন না! তা নিয়েও প্রশ্ন তোলেন তিনি। একজন সত্যিকারের সৎ সাংবাদিক কখনও এমন স্পর্শকাতর বিষয়ে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের সাথে আলাপ না করে এমন সংবাদ প্রকাশ করতে পারেন না বলেও মন্তব্য করেন তিনি।

একজন মানসিক রোগ বিশেষজ্ঞের মতামত না নিয়ে এরকম সংবাদ প্রকাশ করা ঘোরতর অন্যায় ও মানবাধিকার ও অনলাইন সংবিধির লঙ্ঘন। অধ্যাপক ডা. তন্ময় বলেন, পাবনা মানসিক হাসপাতাল দেশের ঐতিহ্যবাহী একটি প্রতিষ্ঠান। এর সুনাম নষ্ট করার জন্য পরিকল্পিত ভাবেই এই ভিডিওটি ছড়ানো হয়েছে।

ওয়াকিবহাল মহল বলছেন, জড়িতদের পরিকল্পনা ছিল, সংবাদটি প্রচার করে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের কাছ থেকে অর্থ হাতিয়ে নেওয়া । ডা. তন্ময় প্রকাশ বিশ্বা পরিস্কারভাবে বলেন, এখানে আমাদেরকে বিব্রত করার চেয়ে ওইসব রোগী এবং তাদের পরিবারকে বেশি বিব্রতকর পরিস্থিতিতে ফেলা হয়েছে ।
ভিডিওটি কিভাবে ধারণ করা হল সে বিষয়ে জানতে চাইলে ডা. তন্ময় প্রকাশ বিশ্বাস জানান, বেশ কয়েকমাস যাবত হাসপাতালটিতে ভবন নির্মান ও সংস্কার জনিত কাজ চলছে। যার ফলে নির্ধারিত গেটের বাইরেও ঠিকাদারদের মালামাল আনা নেওয়ার জন্য আরো কয়েকটি গেট করা হয়েছে। সেখান থেকে অফিস সময়ের পর প্রবেশ করে আমাদের ব্লাকমেইল করার জন্য ভিডিও ধারণ করা হয়ছে ।

আপনার মতামত দিন:


ক্যাম্পাস এর জনপ্রিয়