Ameen Qudir
Published:2018-09-10 16:41:42 BdST
বাংলাদেশের প্রথমবাংলাদেশের প্রথম এবং বিশ্বের মাইল ফলক বোনস লাইব্রেরী চট্টগ্রাম মেডিকেলে
ছবি চমেক প্রাক্তন বিশিষ্ট চিকিৎসক ডা.আনোয়ার সাইদের সৌজন্যে পাওয়া।
ডা. স্বাধীন সাহা
__________________________
ইতিহাসের মহানায়ক মাস্টারদা সূর্যসেন ও বীরবিপ্লবী প্রীতিলতার চট্টগ্রামআবারও এক ইতিহাসসৃষ্টিকারী ঘটনা ঘটিয়েছে। বীর অনুপ্রেরণায় এবার এই মহানগরীর চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ বাংলাদেশের প্রথম এবং উপমহাদেশের তথা বিশ্বের মাইল ফলক বোনস লাইব্রেরী বা এনাটমি শিক্ষাগার কাম প্রদর্শ ঘরের প্রতিষ্ঠা করেছে।
এর নাম রাখা হয়েছে উপমহাদেশের প্রখ্যাত মেডিকেল শিক্ষাবিদ প্রফেসর ডা. মনসুর খলিলের নামে। প্রফেসর ডা. মনসুর খলিল বোনস লাইব্রেরী।
এ এক বিশাল অর্জন। এই মেডিকেল কলেজের শিক্ষার্থী হিসেবে অামি গৌরব বোধ করছি।
আজ অামরা এক নতুন ইতিহাসের অংশ হলাম । বাংলাদেশ তো বটেই, এমনকি বিশ্বের অন্য কোথাও 'বোনস লাইব্রেরী' আছে কিনা আমার জানা নাই। গুগলে সার্চ দিয়েছি ;যথেষ্ট তথ্য পাই নি। তাই সকলের প্রতিসম্মান রেখেই মাইল ফলক বলেছি।
চমেকসু এবং বাংলাদেশ ছাত্রলীগ, চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ এই ঐতিহাসিক ঘটনার কৃতিত্ব পাবে । আগে চমেকে সাহিত্য লাইব্রেরী গড়ে তুলছিলো তারা। তাদের জন্য হ্যাটস অফ।
১৫ সেট বোনস এবং এনাটমির প্রায় ১৩০ টি বই নিয়ে যাত্রা শুরু বোনস লাইব্রেরীর। এ সংখ্যা আরও বাড়বে।
অনেকেই দাবি করছেন, বিশ্বে প্রথম বোনস লাইব্রেরী স্থাপন সিএমসিই করেছে।
কেন এই লাইব্রেরী; কাদের জন্য এটা করা। এ ব্যাপারে চমেক ছাত্রলীগের নেতারা বলেন,যে কোন সরকারী মেডিকেল কলেজের বেশির ভাগ শিক্ষার্থী আসে মধ্যবিত্ত এবং গরীব পরিবার থেকে। তাদের জন্য এই মহান কাজ। ১ম বর্ষে মেডিকেলের এতো এতো দামী বই খাতা কেনার পরে প্রায় ৫০হাজার টাকা দিয়ে এক সেট বোনস কিনে পড়া দু:সাধ্য। সেই কল্যাণ চিন্তা বাস্তবায়নেই বোনস লাইব্রেরী ।
একাজে কলেজের শিক্ষার্থী প্রিয় শিক্ষক অধ্যক্ষ অধ্যাপক ডা. সেলিম মো জাহাঙ্গীর; অর্থোপেডিক্স বিভাগীয় প্রধান অধ্যাপক ডা. ইকবাল হোসেন , অধ্যাপক ডা. চিরঞ্জীব বড়ুয়া , ডা. সায়েদা রুমানা সিদ্দিকী , চমেকসুর সাবেক নেতা অাত্মাশীস রায় ,ধ্রুব রায় সহ ছাত্রলীগ কর্মীরা সহযোগিতা ও সবাই কাধে কাধ মিলিয়ে কাজ করেছেন।
চট্টগ্রামের মেয়র আজম নাসির উদ্দিনও একাজে সহায়তা করেছেন।
____________________________
ডা. স্বাধীন সাহা । চট্টগ্রাম।
আপনার মতামত দিন: