Ameen Qudir

Published:
2016-12-08 01:57:20 BdST

শেবাচিমে যন্ত্রপাতি নেই : যত দোষ ডাক্তারের


ডাক্তার প্রতিদিন
_____________________

স্বামী গলা চেপে ধরেছিলো, ২৮ বছর বয়সী মহিলা অজ্ঞান অবস্থায় ভর্তি হলো, encephalopathy ডেভলপ করেছে। convulsion হচ্ছে সাথে breathlessness।

আর একজন ১৬ বছরের এক মেয়ে আসলো, গলায় ফাঁসি দিয়ে মরতে চেয়েছিলো তার অমতে বাবা-মা বিয়ে দিতে যাচ্ছিলো বলে।
নাক-মুখ দিয়ে huge froth আর blood আসছে, সাথে convulsion আর severe breathlessness।

প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়েই রোগীর লোকজনকে DMCH যেতে বলা হলো কারণ SBMCH এ কোন প্রয়োজনীয় আকারের ICU নেই । এখন ৬ বেডের ICU আছে ।

আমরা খুব ভালোমতোই জানি,

বরিশাল বিভাগের সবচেয়ে বড় হাসপাতাল এবং একটা টারশিয়ারি সেন্টার SBMCH। কিন্তু এখানে নূন্যতম বিশ্বাসযোগ্য কোন pathology investigation হয় না। নাই কোন autoanalyzer ,নাই প্রয়োজনীয় লোকবল। টেস্টটিউবে রক্তের colour দেখেই উনারা Hb%, CBC, creatinin,glucose level বলে দেন। টেকনিশিয়ানদের দক্ষতা এই লেভেলের।

তাই নিতান্ত গরীব রোগীকেও তাই আমরা বাধ্য করতাম বাইরে থেকে investigation করাতে, এমনকি কোন ছাত্র বা ডাক্তার কেউ হাসপাতাল থেকে investigation করেনা। শুধুমাত্র imaging test গুলো করানো হতো। এতো নড়বড়ে অবস্থায়ও সব টেস্ট ৪ টায় বন্ধ,, তাহলে তারপর??
ডাক্তার যদি ২৪ ঘন্টা ডিউটি করতে পারে তাহলে Pathology কেনো ৪ টায় বন্ধ হবে??

ঘরে ঘরে কমিউনিটি ক্লিনিক না খুলে প্রত্যেক বিভাগীয় মেডিকেল কলেজ কি স্বয়ংসম্পূর্ণ করা যায় না? একটু Complications হলেই কেন সবাইকে ঢাকা আসতে হবে?

মাননীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রী ঘরে ঘরে মেডিকেল কলেজ বানিয়ে দেশের স্বাস্থ্যসেবা সিঙ্গাপুর লেভেলে নিয়ে গেছেন অথচ খোদ DMC তেই ৪ মাস ধরে CT, MRI বন্ধ।

জনগণ কিচ্ছু বোঝে না, টেরও পায় না। খালি টের পায় যখন চুলকানি ওঠে আর বোঝে সব শালা ঐ ডাক্তারের দোষ।

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একজন চিকিৎসকের লেখা।

আপনার মতামত দিন:


ক্যাম্পাস এর জনপ্রিয়