Ameen Qudir
Published:2017-03-07 23:53:33 BdST
আজ লিখছি সত্যটা জানানোর জন্য
অধ্যাপক এম ইকবাল আর্সলান
___________________________
বেশ কিছু দিন আগে আমি কোন একটি বিষয় নিয়ে স্টাটাস দেবার পর কিছু সহকর্মী চিকিৎসক সেটা নিয়ে দু'শিবিরে বিভক্ত হয়ে স্টাটাস যুদ্ধ শুরু করায় ফেসবুকে লেখা থেকে বিরত ছিলাম ।
আমি আজ লিখছি নিজেকে দায় মুক্ত করার জন্য নয়, সত্যটা জানানোর জন্য ।
আমি ফেসবুকে সচারচর যাই না সে জন্য এবং শুক্রবার ব্যাক্তিগত কারনে ফোন বন্ধ রাখায় বগুড়া'র বিষয়ের গভীরতা জানতে পারিনি, আমার সমালোচকরা বলতেই পারেন এটা আমার ব্যর্থতা ।
একটি গোষ্ঠী যারা এসব কোমলমতি শিক্ষানবিস চিকিৎসকদের ব্যবহার করে ফায়দা লোটার, নেতৃত্ব প্রতিষ্ঠার বা স্বাচিপ, বিএমএ এর ভাব মুর্তি ক্ষুণ্ণ করার প্রচেষ্টায় লিপ্ত ছিলেন পরিস্থিতি শান্ত করার পরিবর্তে উস্কে দেয়ায় ব্যস্ত ছিলেন তাঁরা এবং তাঁদের অনুসঙ্গীরা যে সমস্ত অরুচিকর, অসত্য, বিভ্রান্তি মুলক, অশ্রাব্য পোস্ট প্রদান করছেন তাতে না লিখে আর পারলাম না ।
শুক্রবার রাতে বগুড়া মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল এর ঘটনার বিস্তারিত জানার চেষ্টা করেছি এবং জানার পর এ বিষয়টা সমাধানের ও মাননীয় মন্ত্রী মহোদয়কে শিক্ষানবিস চিকিৎসকদের উপর আরোপিত শাস্তি মুলক সিদ্ধান্ত বাতিল করাতে চেষ্টা করেছি মাত্র। এখানে বলে রাখি, অতীতে যেখানেই কোন ঘটনা ঘটুক না কেন কারো ডাকের অপেক্ষায় বসে থাকিনি, নিজে থেকেই এগিয়ে গেছি সমাধানের জন্য ।
সিদ্ধান্ত নেই চট্টগ্রামে এ বিষয়ে মাননীয় মন্ত্রী মহোদয় এর সঙ্গে কথা বলবো । চট্টগ্রামের মাননীয় মেয়র সহ আমরা সবাই বিষয়টা পুনঃবিবেচনার অনুরোধ জানাই । ঢাকlতে ফিরে আসার পর সে রাতেই টেলিফোনে আবlরো মাননীয় মন্ত্রী মহোদয়ের সঙ্গে এ বিষয়ে কথা হয় ।
পরদিন রবিবার বিকালে বগুড়া মেডিকেল কলেজের প্রথম থেকে শেষ ব্যাচ এর সকল সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক বৃন্দ আমার সঙ্গে দীর্ঘ আলোচনা করেন এবং আমার হস্তক্ষেপ কামনা করেন, আমি তাঁদের কথা দেই সেই রাত্রের মধ্যেই আমার পক্ষে যা কিছু করা সম্ভব আমি করবো । আমি রাতেই মাননীয় মন্ত্রী মহোদয়ের বাসায় যাই, দীর্ঘ আলোচনার পর তিনি শাস্তি প্রত্যাহার করতে রাজি হন এবং নিজেই ব্যবস্থা গ্রহণ করবেন বলে আমাকে জানান । তার পরের টুকু আপনারা সবাই জানেন ।
চট্টগ্রাম বিএমএ এর অনুষ্ঠানে কেন্দ্রীয় বিএমএ নেতৃ বৃন্দ মন্ত্রীকে বর্জন করেছেন না অন্য কোন কারনে যান নাই সেটা আর কেউ না জানুক চট্টগ্রামের নেতৃবৃন্দ জানেন ।
আর বিরাজিত সমস্যা সমাধানে কারো কারো উস্মার কারন আপনাদের মত মেধাবীরা সহজেই অনুমান করতে পারেন ।
আপনারা আনেকেই আমার যা খুশি তাই সমালোচনা করতেই পারেন তা আপনাদের গণতান্ত্রিক অধিকার । আমি আমার বিবেচনায় আমার নৈতিকতায় আমার বিশ্বাসে কাজ করি, যা আমি সব সময়ে করেছি, আপনারা ১/১১ এর আগে-পরেও দেখেছেন। আমি জননেত্রী শেখ হাসিনার কাছে দায়বদ্ধ, আমার সংগঠনের কাছে দায়বদ্ধ, সমগ্র চিকিৎসক সমাজের কাছে দায়বদ্ধ, অন্য কারো কাছে নয় ।
জয় বাংলা, জয় বঙ্গবন্ধু ।
_________________________________
অধ্যাপক এম ইকবাল আর্সলান :স্বাধীনতা চিকিৎসক পরিষদের (স্বাচিপ) সভাপতি ।
আপনার মতামত দিন: