Dr.Liakat Ali

Published:
2024-03-09 16:06:12 BdST

মানবসেবী বিশেষজ্ঞ হবার জন্য  শপথ নিলেন ১৪২৩ জন্য চিকিৎসক


 

ডেস্ক
_________

বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয়ে মার্চ ২০২৪ সেশনে এমডি/ এমএস প্রোগ্রাম ফেইজ-এ ভর্তিকৃত রেসিডেন্টদের ইনডাকশন প্রোগ্রাম অনুষ্ঠিত হয়েছে। শনিবার  সকাল ৮ টায় (৯ মার্চ ২০২৪ খ্রি.) বিশ্ববিদ্যালয়ের এ-ব্লক অডিটোরিয়ামে এর আয়োজন করে বিশ্ববিদ্যালয় কৃর্তৃপক্ষ। অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ও ইনডাকশন বক্তা হিসেবে উপস্থিত ছিলেন স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয়ের  মন্ত্রী ডা. সামন্ত লাল সেন। বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয়ের প্রতিমন্ত্রী ডা. রোকেয়া সুলতানা,এমপি। সভাপতিত্ব করেন বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয়ের   উপাচার্য অধ্যাপক ডা. মোঃ শারফুদ্দিন আহমেদ।  এবার ইনডাকশন প্রোগ্রামে ১ হাজার ৪শ ২৩ জন চিকিৎসক অংশ নিয়ে বিশেষজ্ঞ  চিকিৎসক হবার জন্য শপথ গ্রহণ করেন। অনুষ্ঠানে রেসিডেন্টদের শপথ বাক্য পাঠ করান বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয়ের   উপাচার্য অধ্যাপক ডা. মোঃ শারফুদ্দিন আহমেদ।

প্রধান অতিথির বক্তব্যে স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয়ের  মন্ত্রী ডা. সামন্ত লাল সেন বলেন, আজকে যারা ইনডাকশনে রেসিডেন্ট হিসেবে বসে আছেন, তারা আগামীর দিনে চিকিৎসক হিসেবে কান্ডারী। ডাক্তার ও রোগীদের ভালো সম্পর্ক অনেক কিছুর উপর নির্ভর করছে। শুধু ডাক্তাদের উপর নির্ভর করে না। একটি হাসপাতালে ভাল কাজ একজন পরিচালক থেকে শুরু করে একজন অধ্যাপক, নার্স, ওয়ার্ডবয়, পরিচ্ছন্ন কর্মীর উপর নির্ভর করে। এদের সবার উপর একটি হাসপাতালের সুনাম বৃদ্ধি নির্ভর করে।

তিনি আরো বলেন, বাংলাদেশের চিকিৎসকদের মান পৃথিবীর কোন দেশের চিকিৎসকদের তুলনায় কম নয়। বাংলাদেশের চিকিৎসকদের যে মেধা আছে, তার অনেক প্রমাণ আছে। আমরা ভুটান থেকে রোগী নিয়ে এসে  চিকিৎসা দিচ্ছি। রোগী যে বাইরে যাচ্ছে এমন নয়। ভারত থেকেও রোগী আসছে। হাঙ্গেরী থেকে যে চিকিৎসক দল জোড়া মাথা আলাদা করেছিল, সেই অপারেশন রোগীদের এ্যানেস্থসিয়া হাঙ্গেরী  চিকিৎসকরা দিতে পারেননি। তাদের এ্যানেসথেসিয়া দিয়েছিল বাংলাদেশের চিকিৎসকরা।

মন্ত্রী ডা. সামন্ত লাল সেন নবীন চিকিৎসকদের প্রতি আহ্বান জানিয়ে বলেন, আমি বিশ্বাস করি, আমরা চিকিৎসকদের মান সম্মান এমন এক জায়গায় নিয়ে যেতে পারব কোন একদিন এই দেশের মানুষ চিকিৎসকদের দেখলে শ্রদ্ধায় মাথা নিচু করতে হয়। এটি করতে হলে আমাদের একটু ধৈর্য ধরে রোগীদের কথা শুনা, ধৈর্য নিয়ে রোগীদের সেবা দেয়া। এজন্য সময় মতো হাসপাতালে যাবো, আসবো। এদেশের সাধারণ মানুষ বেশী কিছু চায় না। তাদের গায়ে হাত বুলিয়ে কথা বলা, সেবা দেয়া। কেমন আছেন এটুকু বলা।

তিনি আরও বলেন, বঙ্গবন্ধু  যে স্বপ্ন দেখেছিলেন, সাধারণ মানুষের চিকিৎসা সেবা উন্নতি করা সেটি সম্ভব আমাদের দ্বারা। আমাদের মনে রাখতে হবে ঢাকায় সব কিছু না। আমরা চিকিৎসকদের ইনটেনসিভ দেব।  আমাদের প্রতিমন্ত্রীকে নিয়ে এ সপ্তাহে মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে দেখা করব। আমি বিশ্বাস করি যদি তাকে সঠিক তথ্য দিয়ে বুঝাতে পারি তবে তিনি চিকিৎসকদের সব কিছু করবেন। স্বাস্থ্যখাতের উন্নয়নের জন্য  প্রধানমন্ত্রী এই প্রথম জন চিকিৎসককে দায়িত্ব দিয়েছেন। রমজান মাসে স্বাস্থ্য সুরক্ষা আইন নিয়ে মিটিং করব। এটি যাতে সংসদে পাস হয় সেজন্য আমি চেষ্টা করব।

সভাপতির বক্তব্যে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয়ের  উপাচার্য অধ্যাপক ডা. মোঃ শারফুদ্দিন আহমেদ বলেন, বঙ্গবন্ধু কন্যা মাননীয় প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনা ১৯৯৮ সালের ৩০ এপ্রিল বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠার পর ১২ হাজার  চিকিৎসক বিশেষজ্ঞ হিসেবে পাস করে বেড়িয়ে গেছেন। তারা জাতিকে সেবা দিচ্ছেন। এ বিশ্ববিদ্যালয়ে যারা ভর্তি হয় তাদের মেধার যথাযথ মূল্যায়ন করা হয়। এজন্য নিজেদেরকে শাণিত করতে নিয়মিত ক্লাস পরীক্ষা ও ওয়ার্ডে কাজ করতে হয়। এখানে ক্লাস পরীক্ষা যথাযথ নিয়ম অনুসরণ করে করা হয়।

তিনি বলেন, বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকের সংখ্যা আরও দরকার। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার মতে প্রতি এক লাখে একজন বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক থাকা উচিত। এখনো আমরা বেসিক সাবজেক্টকে চিকিৎসকদের আকৃষ্ট করতে পারছি না। বেসিক সাবজেক্ট বায়োকেমিস্ট্রি, ফার্মাকোলোজি, ফরেনসিক মেডিসিন ও অ্যানেসথেসিয়ার মত বিষয়ে ইনটেনসিভ দিতে হবে। তাদের বয়স বৃদ্ধি করতে হবে। অন্যথায় আমরা অভিজ্ঞ কাউকে পাবো না। আমরা গত তিন বছরে বেসিক সাবজেক্টে অনেক আসন বাড়িয়েছি। জাতির জনকের সুযোগ্য কন্যা  শেখ হাসিনার নির্দেশে যেসব বিশেষজ্ঞ তৈরি করা হয়েছে, তাদের সুযোগ্য নেতৃত্বে দেশের স্বাস্থ্যখাত অনেক দূর এগিয়ে গেছে। যা ছিল জাতির জনকের স্বপ্ন।

বক্তব্য রাখছেন স্বাস্থ্য প্রতিমন্ত্রী ডা রোকেয়া সুলতানা 

অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য রাখেন বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয়ের উপ-উপাচার্য (একাডেমিক) অধ্যাপক ডা. একেএম মোশাররফ হোসেন। অনুষ্ঠানটি সঞ্চালনা করেন বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার অধ্যাপক ডা. মোহাম্মদ হাফিজুর রহমান।

অনুষ্ঠানে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয়ের উপ-উপাচার্য (প্রশাসন) অধ্যাপক ডা. ছয়েফ উদ্দিন আহমদ, সার্জারি অনুষদের ডিন অধ্যাপক ডা. মোহাম্মদ হোসেন, মেডিসিন অনুষদের ডিন অধ্যাপক ডা. আবু নাসার রিজভী, ডেন্টাল অনুষদের ডিন অধ্যাপক ডা. মোহাম্মদ আলী আসগর মোড়ল, শিশু অনুষদের ডিন অধ্যাপক ডা. মানিক কুমার তালুকদার, বেসিক সাইন্স ও প্যারা ক্লিনিক অনুষদের ডিন অধ্যাপক ডা. আহমেদ আবু সালেহসহ বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয় অধিভুক্ত ইন্সিটিটিউটের প্রধানরা দিক নির্দেশনা মূলক বক্তব্য রাখেন।
#বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয়

প্রেস রিলিজ

আপনার মতামত দিন:


বিএসএমএমইউ এর জনপ্রিয়