Dr. Aminul Islam

Published:
2023-06-14 02:07:36 BdST

রেসিডেন্ট, নন রেসিডেন্টরা আমার সন্তান তুল্য, ভাতা সমস্যার সমাধানে জোর চেষ্টা চলছে: উপাচার্য


 


বিএসএমএমইউ সংবাদ
_________________

রেসিডেন্ট ও নন রেসিডেন্ট চিকিৎসকদের উদ্দেশ্যে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বিএসএমএমইউ) উপাচার্য অধ্যাপক ডা. মো. শারফুদ্দিন আহমেদ বলেছেন, রেসিডেন্টরা আমার সন্তান তুল্য। তাঁদের ভাতার বিষয়ে যে সমস্যার সৃষ্টি হয়েছে তা সমাধানের জোর চেষ্টা চলছে। ইতোমধ্যে স্বাস্থ্যমন্ত্রী ও সচিবের সঙ্গে কথা বলেছি। সেখানেও সমাধান না হলে প্রধানমন্ত্রীর কাছে যাব। এরআগেও বকেয়া ভাতা পরিশোধ ও ভাতা বৃদ্ধির বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ ইতোমধ্যে সরকারের সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়ে বিভিন্ন সময়ে জোর তৎপরতা চালিয়ে আসছে। যেখানে রেসিডেন্ট ও নন রেসিডেন্ট শিক্ষার্থীরাও ছিলো। এখানো এই কার্যক্রম চলমান রয়েছে। তারপরও আজকে যেভাবে তারা এসেছে সেটা একেবারেই কাম্য নয়। সকল কিছুর একটা প্রক্রিয়া আছে। তাদের দাবির বিষয়ে একটা লিখিত আবেদন করতে পারতো এবং একটা সময় দিয়ে তারা চলে যেতো পারতো। কিন্তু তা না করে, চিকিৎসাসেবা ফেলে, শিক্ষা কার্যক্রম ব্যাহত করে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি করা বাঞ্ছনীয় হতে পারে না। তারা একজন চিকিৎসককে ঢিল ছুঁড়ে আহত করেছে, একজন ওয়ার্ড বয়কে মারধর করেছে, উপাচার্যের কার্যালয়ের গেটে তালা দিতে চায়, প্রধানমন্ত্রীর ছবিতে হাত দেয় এটা কেমন আচরণ? তাদের এই আচরণ কাম্য নয়। আমি তো বলেছি, রেসিডেন্টদের ভাতার সমস্যা সমাধানে আমি এবং রেসিডেন্টদের প্রতিনিধি নিয়ে আবারো স্বাস্থ্যমন্ত্রীর কাছে যাব যাতে করে এই সমস্যার সমাধান করা যায়।

আজ মঙ্গলবার ১৩ জুন ২০২৩ইং তারিখে বিভিন্ন সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে উপাচার্য অধ্যাপক ডা. মো. শারফুদ্দিন আহমেদ বলেন, মানবিক কারণে গত ঈদুল উল ফিতরে তাদের ভাতার ব্যবস্থা করেছি। আসন্ন ঈদুল আযহাতে তাদের বিষয়টি দেখবো। এছাড়া তারা যাতে আগামী জুলাই মাস থেকে বকেয়া ভাতা পায় সেটা নিশ্চিত করতে প্রচেষ্টা অব্যাহত রেখেছি। আগামী বাজেটে ভাতার বরাদ্দ প্রাপ্তি সাপেক্ষে এটা বাস্তবায়ন করা হবে। ভাতা বৃদ্ধির বিষয়ে জোর চেষ্টা চলছে। তাদের দাবি যাতে পূরণ হয় সে জন্য প্রতিষ্ঠানের প্রধান, ছাত্রছাত্রীদের অভিভাবক এবং মিডলম্যান হিসেবে আমার আন্তরিকতা ও চেষ্টার কোনো ঘাটতি নাই। সেটা তাঁদেরকে বুঝতে হবে। আবার এটা মনে রাখতে হবে, তাঁদের জীবনে এই সময়ে লেখাপড়া অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ, সেটা ব্যাহত হলে তাঁদেরই তো ক্ষতি। আবার এই বিশ্ববিদ্যালয়ের হাসপাতালে বহির্বিভাগে প্রতিদিন হাজার হাজার রোগী চিকিৎসাসেবা নেয় এবং ইনডোরে ২ হাজার রোগী সেবা নেয় সেটা যাতে ব্যাহত না হয় সেটা অবশ্যই গুরুত্বের সাথে বিবেচনায় নিতে হবে। গবেষণার বিষয়টিও গুরুত্বপূর্ণ। তাই আন্দোলনের নামে, দাবি আদায়ের নামে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি করা যাবে না।

এসময় বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিক্যাল বিশ্ববিদালয়ের উপ-উপাচার্য (গবেষণা ও উন্নয়ন) অধ্যাপক ডা. মো মনিরুজ্জামান খান, উপ-উপাচার্য (প্রশাসন) অধ্যাপক ডা. ছয়েফ উদ্দিন আহমদ, কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক ডা. মোহাম্মদ আতিকুর রহমান, সার্জারি অনুষদের ডিন অধ্যাপক ডা. মোহাম্মদ হোসেন, ডেন্টাল অনুষদের ডিন অধ্যাপক ডা. মোহাম্মদ আলী আসগড় মোড়ল, রেজিস্ট্রার অধ্যাপক ডা. মোঃ হাফিজুর রহমান, প্রক্টর অধ্যাপক ডা. হাবিবুর রহমান দুলাল, পরিচালক (হাসপাতাল) ব্রিগেডিয়ার জেনারেল ডা. মোঃ রেজাউর রহমান, অনকোলজি বিভাগের চেয়ারম্যান অধ্যাপক ডা. নাজির উদ্দিন মোল্লাহ, হেমাটোলজি বিভাগের চেয়ারম্যান অধ্যাপক ডা. সালাহউদ্দিন শাহ, নিউরোলজি বিভাগের অধ্যাপক ডা. শহীদুল্লাহ সবুজ, মিডিয়া সেলের প্রধান সম্বয়ক সহযোগী অধ্যাপক ডা. এসএম ইয়ার ই মাহাবুব, সহযোগী অধ্যাপক ও সহকারী প্রক্টর অধ্যাপক ডা. ইন্দ্রজিৎ কুমার কুন্ডু, অতিরিক্ত পরিচালক হাসপাতাল ডা. পবিত্র কুমার দেবনাথ, উপাচার্য মহোদয়ের একান্ত সচিব সহযোগী অধ্যাপক ডা. মোঃ রাসেল, সহকারী প্রক্টর সহকারী অধ্যাপক ডা. ফাতিমা জোহরা, উপ রেজিস্ট্রার সহকারী অধ্যাপক ডা. মোঃ হেলাল উদ্দিন, উপ রেজিস্ট্রার ডা. মুহাম্মদ কামাল হোসেন, উপাচার্য মহোদয়ের একান্ত সচিব উপ পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক দেবাশীষ প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
#

আপনার মতামত দিন:


বিএসএমএমইউ এর জনপ্রিয়