Dr. Aminul Islam

Published:
2022-09-15 05:13:16 BdST

বিএসএমএমইউ’র শিক্ষক চিকিৎসকদের প্রশংসা করলেন প্রধানমন্ত্রী:জানালেন কৃতজ্ঞতা


 

বিএসএমএমইউ সংবাদ সংস্থা
_____________________

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয় (বিএসএমএমইউ) সুপার স্পেশালাইজড হাসপাতালের শুভ উদ্বোধন করেছেন। বুধবার সকাল ১০ টায় (১৪ সেপ্টেম্বর ২০২২ খ্রিষ্টাব্দ) গণভবন থেকে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয় সুপার স্পেশালাইজড হাসপাতাল ভবনে আয়োজিত মূল অনুষ্ঠানে ভার্চুয়ালি প্রধান অতিথি হিসেবে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা যুক্ত হন। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আবারো স্বাস্থ্য খাতে গবেষণা বাড়ানোর ওপর গুরুত্বারোপ করেছেন। তিনি বলেছেন গবেষণা ছাড়া আসলে উৎকর্ষ সাধন সম্ভব নয়।
অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রী বলেন, জাতির পিতার নামে প্রতিষ্ঠিত এই বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষা, চিকিৎসাসেবা ও গবেষণা কার্যক্রমের গুণগত মান উন্নয়নের জন্য আপনারা ( বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক চিকিৎসকরা) যে নিরলস প্রচেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন, সেজন্য আমি আপনাদের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করছি। স্বাস্থ্য শিক্ষা ও গবেষণার মান উন্নয়ন করার জন্য বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয় নিজস্ব উদ্দোগে প্রফেসর ইমেরিটাস নিয়োগ দিয়েছে। বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষা কার্যক্রম আরো বেগবান করার জন্য ইউজিসি প্রফেসর নিয়োগ প্রদান করা হয়েছে।
তিনি বলেন, আমাদের যারা বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক রয়েছেন তাদের শুধুমাত্র চিকিৎসা দিলেই চলবে না। সাথে সাথে তাদের কিন্তু গবেষণা করাও জরুরী। কাজেই এই বিষয়ে আমি আপনাদের অনুরোধ করবো যাতে আপনারা বিষয়টির প্রতি বিশেষভাবে নজর দেন। স্বাস্থ্য ক্ষেত্রের গবেষণা এখনো আমাদের অপ্রতুল। গবেষণা ছাড়া কখনো উৎকর্ষতা সাধন করা যায় না।
প্রতিষ্ঠার ২৩ বছর পর বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয়ে জরুরি বিভাগ চালু করায় বিএসএমএমইউর বর্তমান প্রশাসনের প্রশংসা করে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, এ বিশ্ববিদ্যালয়ে অনেক দিন ধরে ইমার্জেন্সি সার্ভিস ছিল না। তবে বর্তমানে তা চালু করায় আমি বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনকে ধন্যবাদ জানাচ্ছি।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয়ের চিকিৎসকরা যেন গবেষণায় মনোনিবেশ করে এবং গবেষণায় আরো বেশি ভূমিকা রাখতে পারে সে জন্য বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যের মাধ্যমে রিসার্চ গ্র্যান্ট দেওয়ার ব্যবস্থা করা হয়েছে জেনে খুশি হয়েছি।
১৯৭২ সালের ৮ অক্টোবর তৎকালীন পিজি হাসপাতালের রক্ত সংরক্ষণাগার এবং নতুন মহিলা ওয়ার্ডের উদ্বোধনকালে জাতির পিতার বক্তব্যেও একটি অংশের উদ্ধৃতি তুলে ধরে প্রধানমন্ত্রী ধর্ম-বর্ণ ও দলমত নির্বিশেষে সকল রোগীর প্রতি সমান দরদে চিকিৎসায় এগিয়ে আসার জন্য চিকিৎসক সমাজের প্রতি আহ্বান জানান। জাতির পিতা বলেছিলেন, ‘আপনারা ডাক্তার আপনাদের মন হতে হবে অনেক উদার, আপনাদের মন হতে হবে সেবার। আপনাদের কাছে কোন বড় ছোট থাকবে না, আপনাদের কাছে থাকবে রোগ, কারো রোগ বেশী কারো কম। তাহলেই সমাজ ব্যবস্থার পরিবর্তন হবে। আপনারা মানুষের সহযোগিতা পাবেন।’
প্রধানমন্ত্রী এ সময় ডাক্তারদের শহরকেন্দ্রিক না থেকে উপজেলা পর্যায়ে ছড়িয়ে পড়ে স্বাস্থ্য সেবাকে তৃণমূল মানুষের দোরগোড়ায় নিয়ে যাওযারও আহ্বান জানান। পাশাপাশি অনলাইনে চিকিৎসা সেবাও জোরদার করার পরামর্শ দেন। তিনি বেসরকারি মেডিক্যাল কলেজ এবং সরকারি হাসপাতালগুলোতে রোগীদের সুযোগ সুবিধা বৃদ্ধির প্রতি দৃষ্টি দেওয়ার প্রয়োজনীয়তার কথা উল্লেখ করে বলেন, সেবার মান যাতে বাড়ে সে জন্যও ব্যবস্থা নিতে হবে।
সরকার প্রধান শেখ হাসিনা বলেন, মাঠ পর্যায়ে এখনো চিকিৎসক-নার্সের অভাব দেখা যায়। অনেকেই মাঠ পর্যায়ে যেতে চান না। সবাইকে রাজধানীতেই থাকবে হবে এমন নয়। মানবিক দৃষ্টিকোণ থেকে বিষয়টি চিকিৎসকদের দেখার অনুরোধ করছি। যেন উপজেলা পর্যন্ত মানুষ চিকিৎসা সেবা পায়। চিকিৎসকদের উদ্দেশ করে শেখ হাসিনা বলেন, মানুষের সেবা করুন, মানুষের পাশে দাঁড়ান। কারণ, আমার তো মনে হয় ওষুধের থেকেও একজন ডাক্তারের মুখের কথায় আশ্বস্ত হলে তার অর্ধেক রোগ ভালো হয়ে যায়। কাজেই এই আশ্বস্ত যেন রোগীরা পায় সেই ব্যাপারে প্রত্যেক ডাক্তারকে আন্তরিকতার সাথে রোগীদেরকে দেখাতে হবে। মনে রাখতে হবে, সাধারণ মানুষ সরকারি হাসপাতালে খুব অল্প খরচে চিকিৎসা নিতে আসেন। তারা যেন উন্নত চিকিৎসা পায়, সেদিকে দৃষ্টি দিতে হবে। স্বাস্থ্য সেবা নিশ্চিতে সরকারের নেওয়া উদ্যোগের সুফল পাচ্ছে দেশের মানুষ। বেসরকারি খাতে হাসপাতাল ও মেডিক্যাল কলেজের অনুমোদন দিয়েছে সরকার। বেসরকারি খাতেও স্বাস্থ্যসেবার মান বাড়ানোর ব্যবস্থা নিতে হবে।
বিশ্বের অনেক প্রতিষ্ঠিত অভিজ্ঞ চিকিৎসকদের বাংলাদেশে আসার সুযোগ করে দিতে হবে বলে উল্লেখ করে সরকার প্রধান বলেন, এ বিষয়ে আমাদের ডাক্তারদের উদার হতে হবে। দরজা বন্ধ করে রাখলে আলো-বাতাস বাসায় ঢোকে না। এ বিষয়ে বিশেষভাবে ভাববেন।
শেখ হাসিনা বলেন, দেশে অনেক প্রতিষ্ঠিত শিক্ষক রয়েছেন। তাদেরও সামনে আসার সুযোগ করে দেওয়া উচিৎ। তারা যেন তাদের অভিজ্ঞতা কাজে লাগাতে পারেন। তাদের সঙ্গে কাজ করলে অভিজ্ঞতা বাড়ার সুযোগ হবে। এ বিষয়ে আরও বেশি উদার হতে হবে।
সুপার স্পেসালাইজড হাসপাতাল দেশের চিকিৎসাসেবায় নব দিগন্ত উন্মোচিত করবে বলে আশাবাদ ব্যক্ত করে তিনি বলেন, এ হাসপাতাল চালু হলে বাংলাদেশের বার্ষিক আনুমানিক ৩৫০ কোটি টাকা সাশ্রয় হবে। বাংলাদেশে অনেক বাধা বিপত্তি উপেক্ষা করে প্রথম মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয়, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠার কথাও অনুষ্ঠানে স্মরণ করেন এবং প্রত্যেক বিভাগীয় শহরে একটি করে মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠাতেও তাঁর সরকারের পদক্ষেপ গ্রহণের উল্লেখ করেন প্রধানমন্ত্রী।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, বিএনপি-জামায়াত সবসময় এটার বিরোধিতা করেছে, জানি না কি কারণে? এখান থেকে জাতির পিতার নাম মুছে ফেলা, তাঁর ম্যুরাল ভেঙ্গে ফেলা এমনকি ভিত্তিপ্রস্তর যে স্থাপন করেছিলাম সেখানে কালিমা লেপন থেকে অনেক কাজই তারা করে গিয়েছিল। এমনকি চিকিৎসাসেবা নিশ্চিত না করে বিএসএমএমইউ’তে রোগি যত না ছিল তার চেয়ে তিন গুণ চিকিৎসকও নিয়োগ দিয়েছিল। এমনও অনেক চিকিৎসক তারা নিয়োগ দিয়েছিল তারা প্রাকটিসও করতো না, ব্যবসা-বাণিজ্যে লিপ্ত ছিল। তাদেরকেও এখানে চাকরি দিয়ে একটি অরাজকতার সৃষ্টি করেছিল।
প্রধানমন্ত্রী আরও বলেন, তাদের আসলে দেশের প্রতি ও জাতির প্রতি দায়িত্ব বোধ কখনই ছিলনা। অনিয়ম, দুর্নীতি এবং স্বজনপ্রীতির আখড়া হিসেবে এটাকে গড়ে তুলেছিল। এমনকি এই বিশ্ববিদ্যালয়ের কার্যক্রম পর্যন্ত তারা বন্ধ করে দিতে চেয়েছিল। তবে, সে সময়কার অনেক কর্তব্যরত চিকিৎসক, নার্স এবং কর্মচারিরা সে সময় বিএনপি-জামায়াত সরকারের এসব কর্মকাণ্ডে বাধা দেওয়ায় তিনি তাদের ধন্যবাদ জানান।
তিনি বলেন, সারা বিশ্বব্যাপী অর্থনৈতিক মন্দা চলছে। দুই বছরের করোনার পর এখন রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের ফলে স্যাংশন পাল্টা স্যাংশন। বাংলাদেশকে কঠিন পরিস্থিতি অতিক্রম করতে হচ্ছে। যেখানে উন্নত দেশ নিজেদের নিয়ে হিমশিম খাচ্ছে। সেখানে আমাদের মতো দেশের সার্বিক সেবা দেওয়া কত কঠিন দায়িত্ব, আমরা বুঝতে পারছি।
তিনি আরো বলেন, আমাদের আরও মিতব্যয়ী হতে হবে। উৎপাদন বাড়াতে হবে। সামনে আরও কঠিন সময় আসবে। আপনারা দ্বিতীয় বিশ্বের পরবর্তী পরিবেশের কথা একটু চিন্তা করেন। সে সময় কিন্তু একটা দুর্ভিক্ষ হয়েছিল বিশ্বব্যাপী। এখনো সেরকম একটা সম্ভাবনা রয়েছে। এজন্য আমি সবাইকে বলি, যে যা পারেন উৎপাদন করেন। নিজেরা কিছু করে নিজের চাহিদাপূরণে উদ্যোগী হোন। জ্বালানি, বিদ্যুৎ ও পানি ব্যবহারে সাশ্রয়ী-মিতব্যয়ী হতে হবে।
অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্যে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ডা. মোঃ শারফুদ্দিন আহমেদ বলেন, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয়ে গবেষণাকে বেগবান করার জন্য এই প্রথম একসঙ্গে ২৪ চিকিৎসক গবেষককে পিএইচডি কোর্সে ইনরোলমেন্ট করেছি। গবেষণার মানকে আর্ন্তজাতিক মানে উন্নীয়ত করার জন্য এআইএমএস, ব্রাউন ও সিকাগো এবং অক্সফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের সাথে সমঝতা চুক্তি স্বাক্ষর করেছি। যাতে প্রতিষ্ঠানের শিক্ষা গবেষণার জ্ঞান বিনিময় করা যায়। পাশাপাশি করোনাভাইরাস প্রতিরোধে সামনে থেকে নেতৃত্ব দিয়ে জেনোম সিকোয়েন্সিং রিসার্চের ফলাফল প্রকাশ করেছি। ৫ হাজার থেকে ২০ হাজার লিটার ধারণ ক্ষমতাসম্পন্ন অক্সিজেন প্ল্যান্ট চালু করেছি। ১৫ দিনে বঙ্গমাতা শেখ ফজিল্লাতুন্নেছা মুজিব ফিল্ড হাসপাতাল চালু করেছি।
তিনি বলেন, বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠার ২৩ বছর পর প্রথমবারের মতো কর্মকর্তা কর্মচারীদের জন্য হেলথ কার্ড চালু করেছি। মাননীয় প্রধানমন্ত্রী আপনার আর্থিক সহায়তায় হজকিন লিম্ফোমা রোগে আক্রান্ত শ্রাবণ স্ন্যাল ও কণ্ঠশিল্পী আকবর আলীসহ অনেক রোগীকে সুস্থ করে বাড়ি ফিরাতে সক্ষম হয়েছি।
অনুষ্ঠানে সভাপতির বক্তব্যে স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণমন্ত্রী জাহিদ মালেক বলেন, দেশের ওষুধের চাহিদা শতভাগ দেশেই উৎপাদন হচ্ছে। বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয় সুপার স্পেশালাইজড হাসপাতালটি মানুষে উচ্চতর চিকিৎসা প্রদানের জন্য নির্মিত হয়েছে। এর মাধ্যমে দেশের মুদ্রার সাশ্রয় হবে। করোনাভাইরাস রোধে সরকারের সফলতা তুলে ধরে তিনি বলেন, এ পর্যন্ত বাংলাদেশের ৩০ কোটি ভ্যাকসিন পেয়েছে। অর্থাৎ ৯০ শতাংশ মানুষ ভ্যাকসিনের আওতায় এসেছে।
অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তৃতা করেন স্বাস্থ্য শিক্ষা ও পরিবার কল্যাণ বিভাগের সচিব সাইফুল হাসান বাদল এবং বাংলাদেশে দক্ষিণ কোরিয়ার রাষ্ট্রদূত লি জেং কিউন।
অনুষ্ঠানে সুপার স্পেশালাইজড হাসপাতাল এবং বিএসএমএমইউ’র সার্বিক কর্মকাণ্ড বিষয়ে একটি থিম সং ও একটি প্রমাণ্যচিত্র প্রদর্শন করা হয়। উদ্বোধনী অনুষ্ঠানটি বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয়ের শহীদ ডা. মিলন হল এ ব্লক মিলনায়তনে বসে স্ক্রীনের সাহায্যে বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন পর্যায়ের শিক্ষক চিকিৎসক, কর্মকর্তা, নার্স, কর্মচারীরা উপভোগ করেন।
নব নির্মিত ৭৫০ শয্যা বিশিষ্ঠ প্রায় ৪ একর জমির ওপর মোট ১ হাজার ৫৬১ কোটি টাকা ব্যয়ে নির্মিত হয়েছে সুপার স্পেশালাইজড হাসপাতাল। এর মধ্যে দক্ষিণ কোরিয়া সরকারের অর্থনৈতিক উন্নয়ন সহযোগিতা তহবিল এক হাজার কোটি কোটি টাকা প্রদান করেছে। সরকার বরাদ্দ করেছে ৩৩০ কোটি টাকা এবং বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয় ১৭০ কোটি টাকা দিয়েছে। অত্যাধুনিক যন্ত্রপাতি এবং আধুনিক অপারেশন থিয়েটারসহ, হাসপাতালটি যে কোন সরকারি বা বেসরকারি হাসপাতাল বা চিকিৎসক দ্বারা রেফার করা সমস্ত গুরুতর রোগীদের চিকিৎসা প্রদান করবে। প্রায় ৫ থেকে ৮ হাজার রোগী হাসপাতালের আউটডোর পরিষেবা পাবেন। এছাড়াও ১৪টি অত্যাধুনিক অপারেশন থিয়েটার, একটি ১শ’ শয্যার ইনটেনসিভ কেয়ার ইউনিট, একটি ১শ’ শয্যার জরুরি ইউনিট, ছয়টি ভিভিআইপি এবং ২২টি ভিআইপি কেবিন এবং ২৫টি ডিলাক্স কেবিন থাকবে। বিশেষায়িত পরিষেবাগুলোর মধ্যে রয়েছে অস্থি মজ্জা প্রতিস্থাপন, জিন থেরাপি এবং রোবোটিক সার্জারি ।

#

আপনার মতামত দিন:


বিএসএমএমইউ এর জনপ্রিয়