ডা শাহাদাত হোসেন

Published:
2022-05-30 21:08:21 BdST

খুব শীঘ্রই বিএসএমএমইউতে লিভার প্রতিস্থাপন শুরু হবে


বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বিএসএমএমইউ) উপাচার্যের সাথে ভারতের চার সদস্যের লিভার প্রতিস্থাপন বিশেষজ্ঞ প্রতিনিধি দলের সৌজন্য সাক্ষাৎকার অনুষ্ঠিত হয়েছে।

 


ডেস্ক/ বিএসএমএমইউ মিডিয়া সেল
__________________________

বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বিএসএমএমইউ) উপাচার্যের সাথে ভারতের চার সদস্যের লিভার প্রতিস্থাপন বিশেষজ্ঞ প্রতিনিধি দলের সৌজন্য সাক্ষাৎকার অনুষ্ঠিত হয়েছে।
রোববার সকাল সাড়ে ৮ টায় বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যের কার্যালয়ে এ সৌজন্য সাক্ষাৎ অনুষ্ঠিত হয়।
সৌজন্য সাক্ষাৎকালে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ডা. মোঃ শারফুদ্দিন আহমেদ বাংলাদেশ ও ভারতের সুদীর্ঘকালের সম্প্রীতি তুলে ধরেন। লিভার প্রতিস্থাপন বিষয়ে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ডা. মোঃ শারফুদ্দিন আহমেদ বলেন, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয়ে লিভার প্রতিস্থাপনের সকল ব্যবস্থাই আছে। করোনার পরবর্তী সময়ে আমাদের এখানে যতদ্রুত সম্ভব লিভার প্রতিস্থাপন কাজ শুরু করা হবে। এজন্য সব কারিগরি বিষয়গুলো প্রস্তুত রাখা হয়েছে।
এসময় বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয়ের ডিন (নার্সিং অনুষদ) অধ্যাপক ডা. দেবব্রত বনিক, প্রক্টর অধ্যাপক ডা. হাবিবুর রহমান দুলাল, হেপাটোবিলিয়ারি পেনক্রিয়েটিক ও লিভার প্রতিস্থাপন সার্জারি বিভাগের চেয়ারম্যান ডা. মোহাম্মদ মোহছেন চৌধুরী, অধ্যাপক ডা. বিধান চন্দ্র দাস, সহযোগী অধ্যাপক ডা. মোঃ নূর-ই- এলাহী, সহযোগী অধ্যাপক ডা. সাইফ উদ্দিন, ভারতের পক্ষে হায়দ্রবাদ এইজি হাসপাতালের পরিচালক এ্যান্ড এইচওডি (লিভার প্রতিস্থাপন) ডা. পি বালাচন্দ্র, পরিচালক (লিভার এনেস্থিয়া) ডা. জিভি প্রেম কুমার, এইআইজি হাসপাতালের ভিপি সান্তোষ কুমার সাহো, এআইজি হাসাপাতালের জেনারেল ম্যানেজার নিলাদ্রী বি শ্যামল উপস্থিত ছিলেন।
প্রসঙ্গত, ভারতের এ চিকিৎসক প্রতিনিধি দল বাংলাদেশে দুদিন অবস্থান করে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয়ের হেপাটোবিলিয়ারি বিভাগের শিক্ষক, শিক্ষার্থীদের সাথে নিজেদের লিভার প্রতিস্থাপনের বিষয়ে অভিজ্ঞতা বিনিময় করবেন। তারা ভর্তিকৃত রোগীদের চিকিৎসার বিষয়ে মতামত দেবেন।

 

 


২.

শিশু নিউরোলজি বিভাগের উদ্যোগে গুরুত্বপূর্ণ সেমিনার অনুষ্ঠিত-------
কিটোজেনিক ডায়েট মৃগীরোগের চিকিৎসায় আশার আলো দেখাচ্ছে: বিএসএমএমইউ উপাচার্য


বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিক্যাল শেখ মুজিব মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ডা. মোঃ শারফুদ্দিন আহমেদ বলেছেন, কিটোজেনিক ডায়েট মৃগীরোগের চিকিৎসায় নুতন আশার আলো দেখাচ্ছে। তবে এই বিষয়ে আরো গবেষণার প্রয়োজন রয়েছে। কিটোজেনিক ডায়েট হলো কার্বোহাইড্রেট জাতীয় খাবারের পরিবর্তে প্রোটিন ও ফ্যাট জাতীয় খাবারে গুরুত্ব দেওয়া। তিনি আরো বলেন, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয়ের সার্বিক উন্নয়নে প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনা সব ধরণের সহায়তা দিয়ে যাচ্ছেন। অত্র বিশ্ববিদ্যালয়ের বর্তমান প্রশাসন চিকিৎসা বিজ্ঞানের নতুন নতুন ইউনিট, ডিভিশন চালু করেছে এবং এই ধারা অব্যাহত রয়েছে। গবেষণা কার্যক্রম পূর্বের তুলনায় বৃদ্ধি করা হয়েছে। বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিক্যাল শেখ মুজিব মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয়ে বিশ্বমানের চিকিৎসাসেবা দিতে যন্ত্রপাতিসহ যা যা প্রয়োজন হবে তার সবই নিশ্চিত করা হবে। আজ রবিবার ২৯ মে ২০২২ইং তারিখ, দুপুরে হোটেল ইন্টারকন্টিনেন্টালের ক্রিস্টাল বলরুমে শিশু নিউরোলজি বিভাগে উদ্যোগে ‘কিটোজেনিক ডায়েট ইন পেডিয়াট্রিক এপিলেপসি: কারেন্ট এন্ড ফিউচার পারসপেক্টিভ ইন বিএসএমএমইউ” শীর্ষক সেমিনারে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। অনুষ্ঠানে শিশু নিউরোলজি বিভাগ থেকে সদ্য পাসকৃত রেসিডেন্টগণকে সংবর্ধনা দেওয়া হয়।
শিশু নিউরোলজি বিভাগের চেয়ারম্যান অধ্যাপক ডা. গোপেন কুমার কুন্ডু এর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সেমিনারে বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন সম্মানিত উপ-উপাচার্য (গবেষণা ও উন্নয়ন) অধ্যাপক ডা. মোঃ জাহিদ হোসেন, উপ-উপাচার্য (একাডেমি) অধ্যাপক ডা. একেএম মোশাররফ হোসেন, উপ-উপাচার্য (প্রশাসন) অধ্যাপক ডা. ছয়েফ উদ্দিন আহমদ, শিশু অনুষদের ডিন ও ইপনার ডাইরেক্টর অধ্যাপক ডা. শাহীন আকতার, নিউরোলজি বিভাগের চেয়ারম্যান অধ্যাপক ডা. আবু নাসার রিজভী। গুরুত্বপূর্ণ প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন সহযোগী অধ্যাপক ডা. কানিজ ফাতেমা, কনসালটেন্ট ডা. সানজিদা আহমেদ।
অনুষ্ঠানে নবজাতক বিভাগের চেয়ারম্যান ডা. সঞ্জয় কুমার দে, শিশু কিডনী বিভাগের অধ্যাপক ডা. রণজিত রঞ্জন রায়, শিশু হেমাটোলজি বিভাগের অধ্যাপক ডা. চৌধুরী ইয়াকুব জামাল, সহযোগী অধ্যাপক ডা. সৈয়দা তাবসসুম আলম, সহযোগী অধ্যাপক ডা. সুভাষ কান্তি দে, সহযোগী অধ্যাপক ডা. আহসান হাবীব হেলাল, সহযোগী অধ্যাপক ডা. শহীদুল্লাহ সবুজ, সহযোগী অধ্যাপক ডা. মানিক কুমার তালুকদার প্রমুখসহ শিশু অনুষদভুক্ত বিভিন্ন বিভাগের শিক্ষক এবং নিউরোলজি, শিশু নিউরোলজি বিভাগের শিক্ষক, শিক্ষার্থীবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।
সভাপতির বক্তব্যে শিশু নিউরোলজি বিভাগের চেয়ারম্যান অধ্যাপক ডা. গোপেন কুমার কুন্ডু বলেন, সারা বিশ্বে প্রায় পাঁচ কোটি লোক মৃৃগী রোগে আক্রান্ত। বাংলাদেশ এই সংখ্যা প্রায় ২০ লক্ষ। বিশ্বের উন্নয়নশীল ও অনুন্নত দেশে মৃগীরোগের আধিক্য রয়েছে। শিশুদের মধ্যে মৃগী রোগীর হার বড়দের তুলনায় বেশি পরিলক্ষিত হয়। ৭০ থেকে ৮০ শতাংশ মৃগীরোগ বিভিন্ন ওষুধের মাধ্যমে সহজে নিরাময়যোগ্য বা নিয়ন্ত্রণযোগ্য। কিন্তু ২০ থেকে ৩০ শতাংশ মৃগী রোগ আছে যা শুধুমাত্র ওষুধের মাধ্যমে নিয়ন্ত্রণ যোগ্য নয়। যাকে অনিয়ন্ত্রিত মৃগীরোগ বা রিফ্রাক্টরি এপিলেপসি বা ড্রাগ রেজিস্ট্যান্স এপিলেপসি বলা হয়। একজন শিশু নিউরোলজিস্ট জন্য এই ধরনের মৃগীরোগ নিয়ন্ত্রণ করা একটি বড় চ্যালেঞ্জও। কিটোজেনিক ডায়েট এই ধরণের অনিয়ন্ত্রিত মৃগীরোগের ক্ষেত্রে একটি বিকল্প চিকিৎসা পদ্ধতি। এটি কম শর্করা এবং উচ্চমাত্রার চর্বির সমন্বযয়ে একটি খাবার পদ্ধতি। এই খাবার পদ্ধতি মৃগীরোগের চিকিৎসার ক্ষেত্রে নতুন দিগন্ত উন্মোচন করেছে। সম্প্রতি বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের শিশু নিউরোলজি বিভাগ এবং ইপনাতে অনিয়ন্ত্রিত মৃগীরোগে আক্রান্ত রোগীদের ক্ষেত্রে কিটোজেনিক ডায়েট চিকিৎসা পদ্ধতি শুরু করেছে। যদিও এখনও এই বিষয় নিয়ে অনেক গবেষণা করার সুযোগ রয়েছে। ইতিমধ্যে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয়ের সিনিয়র রেসিডেন্টরা এই বিষয়ে গবেষণা শুরু করেছেন। এই কিটোজেনিক ডায়েট চিকিৎসা পদ্ধতি শুরু হলে, খিঁচুনি বা মৃগী রোগের রোগের চিকিৎসার জন্য বিদেশ যাওয়ার প্রবণতা অনেকাংশেই কমে যাবে।
সৌজন্য সহকারী অধ্যাপক ডা এসএম ইয়ার -ই-মাহবুব ও সু্ব্রত বিশ্বাস। ছবিঃ সোহেল গাজী ও আরিফ খান । নিউজ: প্রশান্ত মজুমদার ও সুব্রত মন্ডল।

আপনার মতামত দিন:


বিএসএমএমইউ এর জনপ্রিয়