SAHA ANTAR

Published:
2022-03-29 20:54:38 BdST

সম্পাদকীয়উপাচার্য অধ্যাপক ডা. মো. শারফুদ্দিন আহমেদের ১ বছর : বৈপ্লবিক কিছু পদক্ষেপ :প্রাপ্তি ও প্রত্যাশা


বিএসএমএমইউ উপাচার্য অধ্যাপক ডা মো শারফুদ্দিন আহমেদ এবং লেখক অধ্যাপক ডা সুলতানা আলগিন। ফাইল ছবি

 


অধ্যাপক ডা. সুলতানা আলগিন
সম্পাদক, ডাক্তার প্রতিদিন
এবং অধ্যাপক, মনোরোগ বিদ্যা বিভাগ , বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয় , ঢাকা
_________________________

অধ্যাপক ডা. মো. শারফুদ্দিন আহমেদকে অভিনন্দন, শ্রদ্ধা ও সম্মান।
বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যলয়: বিএসএমএমইউ-র উপাচার্য হিসেবে দায়িত্ব নেয়ার ১ বছর পূর্তি হলো।
এই ১বছর তিনি ছিলেন ক্লান্তিহীন কাজে ও পথ চলায়।

তিনি দৃষ্টান্তযোগ্য কর্মকান্ড ও সাফল্যের পথরেখার তিনি নিজেই পরিকল্পনা করেছেন, নিজেই অগ্র কদমে বাস্তবায়ন করেছেন। তা অব্যাহত থাকলে বিএসএমএমইউ অচিরেই উপমহাদেশের এক অনন্য রোগী সেবালয়ের মর্যাদা পাবে।

এই এক বছরে তিনি বৈপ্লবিক কিছু পদক্ষেপ নিয়েছেন। এক বছরে এতটা পরিবর্তন, অতীতে তা কল্পনা করা যায় নি।

বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের শৃঙ্খলা সুনিশ্চিত করেছেন।

দ্রুততম সময়ে ইনস্টিটিউশনাল প্রাকটিস, বিশ্বমানের বিএসএমএমইউ স্পেশালাইজড হাসপাতাল চালুর উদ্যোগ নিয়েছেন। গবেষণা কাজে বিএসএমএমইউ কে অগ্রগণ্য প্রতিষ্ঠান হিসেবে প্রতিষ্ঠায় উল্লেখযোগ্য পদক্ষেপ নিয়েছেন।
বিএসএমএমইউতে এখন প্রতি সপ্তাহে একাধিক বৈজ্ঞানিক সেমিনার, সিম্পোজিয়াম অনুষ্ঠিত হচ্ছে। তাতে উপস্থাপন করা হচ্ছে অনন্য সব গবেষণার ফল। যা দেশের চিকিৎসা শাস্ত্রের অগ্রগতিতে ঐতিহাসিক ভূমিকা রাখবে।
বিএসএমএমইউ র রোগী সেবা কার্যক্রম বেড়েছে। বাংলাদেশের এই শীর্ষ মেডিকেল শিক্ষাপীঠে শিক্ষা ও গবেষণা শুধু নয়, উপাচার্য অধ্যাপক ডা. মো. শারফুদ্দিন আহমেদ রোগী সেবা প্রতিষ্ঠান হিসেবে বিএসএমএমইউকে সবচেয়ে বিশ্বস্ত, শ্রেষ্ঠ সেবালয় হিসেবে প্রতিষ্ঠা করেছেন।
চলতি বছরের প্রথম দিন
বিএসএমএমইউতে ননপ্রাকটিসিং / ইনস্টিটিউশনাল প্রাকটিস প্রথা চালুর বৈপ্লবিক ঘোষণা দিয়েছেন। অচিরেই এটা পূর্ণ ভাবে চালু হবে। তাতে রোগী সেবায় বিএসএমএমইউ নয়াদিল্লির অল ইন্ডিয়া ইনস্টিটিউট অব মেডিকেল সাইন্সেস এর পর বিশ্বের দ্বিতীয় বৃহত্তম রোগী সেবালয়ে পরিনত হবে।

ব্রেন ডেড মানুষ অঙ্গ দানে জীবন বাঁচানো সম্ভব অন্তত ৪/৬ জন মানুষের। এক্ষেত্রে বিএসএমএমইউ উপাচার্য সাহসী ও বৈপ্লবিক পদক্ষেপ নিতে পিছ পা হন নি । মরণশীল মানুষ মরণোত্তর দেহ দান করে বাঁচিয়ে যেতে পারেন একাধিক মানুষের জীবন।
এই মহত্তম দান কর্ম চালু করা হচ্ছে বাংলাদেশের মত কুসংস্কারে আচ্ছন্ন দেশেও। তিনি অনন্য সাহস দেখিয়েছেন। ব্রেন ডেথ ও আগ্রহী মানুষের মরণোত্তর দেহ দানকে স্বাস্থ্যসেবার মহত্তম কাজ হিসেবে আইনি সংসদীয় স্বীকৃতির জন্য অক্লান্ত চেষ্টা চলছে। আশা করা যায়, অচিরেই বিএসএমএমইউ এক্ষেত্রে পথিকৃৎ হবে। উপাচার্য অধ্যাপক ডা. মো. শারফুদ্দিন আহমেদের অনুপ্রেরণায় ডাক্তার প্রতিদিন নিয়মিত এ বিষয়ে জনসচেতনতা মূলক প্রতিবেদন প্রকাশ করে মানুষের কুসংস্কার দূর করতে বিরামহীন লড়াইয়ের মাধ্যমে তৎপরতা চালিয়ে যাচ্ছে। জয় মানবতার হবেই।


উপাচার্য অধ্যাপক ডা. মো. শারফুদ্দিন আহমেদ চিকিৎসা গবেষণায় বিএসএমএমইউর সকলকে প্রণোদনা দিয়েছেন ; তাগিদ ও শক্তি দিয়েছেন। নতুন বিভাগ, ডিভিশন খোলা সহ কৃতিত্বের স্বাক্ষর রেখেছেন। যা আমাদেরকে আরও বিশাল স্বপ্ন দেখাচ্ছে।
অধ্যাপক ডা. শারফুদ্দিন আহমেদ স্যারের উপাচার্য হিসেবে ১০০ দিন উপলক্ষে লেখায় গত বছর পূর্বাচল উপশহরে বিএসএমএমইউ ইউনিটের দাবি জানিয়েছিলাম। বলেছিলাম,


"স্বপ্ন দেখি, অধ্যাপক ডা. শারফুদ্দিন আহমেদ স্যারের সুদক্ষ কর্ম তৎপরতায় নতুন শহর পূর্বাচলে বিএসএমএমইউর নতুন নতুন ইনস্টিটিউট-র জন্য বিশাল পরিসরে জায়গা নেওয়া সম্ভব হবে। যা এই বিশ্ববিদ্যালয়কে আরও বিশাল মহীরুহ প্রতিষ্ঠানে পরিনত করবে; একাজ একমাত্র অধ্যাপক ডা. শারফুদ্দিন আহমেদ স্যার-এর পক্ষেই বাস্তবায়ন সম্ভব । যদি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় পূর্বাচলে নতুন বর্ধিত ক্যাম্পাসের জন্য হাজারো একর জমি পায়; তাহলে বাংলাদেশের শীর্ষতম রোগী সেবালয় বিএসএমএমইউও বঙ্গবন্ধু ও জনগনমনজয়কারী নেত্রী শেখ হাসিনার স্বপ্ন বাস্তবায়নে পূর্বাচলে বিএসএরমএমইউর সেবা ছড়িয়ে দিতে বরাদ্দ নিশ্চয়ই পাবে।"

মাত্র ১ বছরের মধ্যেই অধ্যাপক ডা. শারফুদ্দিন আহমেদ স্যার পূর্বাচলে বিএসএমএমইউর জন্য জমি বরাদ্দ নিয়ে রোগী সেবাকে প্রসারিত ও সর্বব্যাপী করার উদ্যোগ নিয়েছেন। অভিনন্দন জানাই তাঁকে। আশা করা যায়, মানসিক স্বাস্থ্য সেবা, চক্ষু চিকিৎসা, মেডিসিন সেবা এবং এ জাতীয় ইনস্টিটিউটকে পূর্বাচল ক্যাম্পাসে চালুর চিন্তা করা যেতে পারে। যা সমৃদ্ধ করবে বিএসএমএমইউকে। কম খরচ ও বাজেটেও তা সম্ভব হবে।

বিএসএমএমইউ প্রশাসনের শৃঙ্খলা সুনিশ্চিত করতে তিনি শিক্ষকদের বিরুদ্ধে দায়ের একটি সমালোচিত মামলার সুষ্ঠু নিরপেক্ষ প্রতিবিধান করেছেন। যা শিক্ষক পরিবার সমূহকে কৃতজ্ঞতাভাজন করেছে তাঁর কাছে।

তাঁর কর্ম তৎপরতায় , চিন্তায়, কাজে , পরিকল্পনায় বিএসএমএমইউ উপমহাদেশের তথা বিশ্ব পরিসরে বাংলাদেশের সম্মান বাড়াবে, এই স্বপ্ন এখন আমরা দেখতেই পারি। সেই আত্মশক্তি , সাহস, প্রত্যয়, বিশ্বাস তিনি বিশ্ববিদ্যালয় পরিবারের সকলের মনে জাগাতে পেরেছেন বলে দৃঢ়ভাবে বলতে পারি।

এটা ঠিক, সামনে চলার অনেক পথ আছে বাকি। কিন্তু উপাচার্য স্যারের সফল ১ বছরের কর্ম ও তৎপরতা আমাদের শুভ্র সুন্দর তারুণ্যের মত সেই আলোকিত সাফল্যের আগামী দিনের দেখা পাওয়ার নিশ্চয়তা দিচ্ছে।

অধ্যাপক ডা. শারফুদ্দিন আহমেদ স্যারের নেতৃত্বে বিএসএমএমইউ হয়ে উঠবে রোগীদের পরম ভরসার স্থল। এখানে রোগী দীর্ঘনি:শ্বাস নয়, বরং তারা পাবে জীবন ফিরে পাওয়ার আনন্দ।


বিএসএমএমইউর মাননীয় উপাচার্য অধ্যাপক ডা. মো. শারফুদ্দিন আহমেদ স্যারের দায়িত্ব গ্রহণের এক বছরে গৃহীত উদ্ভাবনী কার্যক্রম উপলক্ষ্যে মনোরোগ বিভাগের পক্ষে ফুলের শুভেচ্ছা।
ছবি সংগৃহীত__________

 

অধ্যাপক ডা. শারফুদ্দিন আহমেদ স্যারের নেতৃত্বে বিএসএমএমইউ হয়ে উঠবে চিকিৎসা গবেষণার অনন্য কেন্দ্র। পবিত্র পীঠস্থান। শ্রেষ্ঠ চিকিৎসক যেমন তৈরী হবে, তেমনি বিএসএমএমইউর চিকিৎসা-গবেষকরা তাঁর অনুপ্রেরণায় হয়ে উঠবেন দক্ষ ও সেরা।

অধ্যাপক ডা. শারফুদ্দিন আহমেদ স্যারের নেতৃত্বে বিএসএমএমইউ-র চিকিৎসা-শিক্ষার্থীরা হয়ে উঠবেন উচ্চতর শিক্ষায় বিশ্বমানের আলোকিত।


মানসিক রোগ ইনস্টিটিউটসহ বিভিন্ন রোগীসেবার নতুন উপ-প্রতিষ্ঠান ও বিভাগ চালুর নানা প্রস্তাব রয়েছে। আশা করি , তা অচিরেই বাস্তবায়ন হবে।

 

গভীর প্রত্যয়ে বিশ্বাস করি , অধ্যাপক ডা. শারফুদ্দিন আহমেদ স্যার অবশ্যই তাঁর দক্ষ ও মজবুত নেতৃত্বে আমাদের স্বপ্নগুলোকে বাস্তবায়ন করবেন।#

আপনার মতামত দিন:


বিএসএমএমইউ এর জনপ্রিয়