Dr.Liakat Ali

Published:
2022-02-04 03:54:42 BdST

মর্গ থেকে মর্মান্তিক'মেডিকেল ভীতি'তে ঢাকায় মেডিকেল কলেজ ছাত্রের আত্মহত্যা


 

সংবাদ দাতা
_________________

বাংলাদেশের রাজধানী ঢাকার শমরিতা মেডিকেল কলেজের নবম ব্যাচের শিক্ষার্থী মো. সাইফুল ইসলাম সাইফুল্লাহ আত্মহত্যা করেছেন। মঙ্গলবার ১ ফেব্রুয়ারি২০২২ দিবাগত রাতে আত্মহত্যা করেন তিনি।
প্রয়াত সাইফুল্লাহর ঘনিষ্ঠ পরিচিত একজন চিকিৎসক জানান, সে মেডিকেল ভীতিতে ভুগছিল।
তার বাড়ি নারায়ণগঞ্জের সিদ্ধিরগঞ্জ উপজেলার আদর্শবাদ গ্রামে।

সাইফুল্লাহর মামা আব্দুল্লাহ আল নোমানের বন্ধু ইব্রাহিম মেডিক্যাল কলেজের ২০০৯-১০ সেশনের শিক্ষার্থী ডা. মো. জিল্লুর রহমান সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুক পোস্টে বলেন, ‘শমরিতার ১৮-১৯ সেশনের ছাত্র মো. সাইফুল্লাহ গতকাল রাত্রে সুইসাইড করেছে। সে গত দেড় বছর যাবত বিভিন্ন মানসিক সমস্যায় ভুগছিল। তার মধ্যে প্রধান ছিল মেডিকেল ভীতি। তার ব্যাচের কোনো ছাত্র-ছাত্রী পোস্টটি দেখে থাকলে একটু আলোচনার অনুরোধ রইলো আসলে কি সমস্যা ছিল তার। সে কিছু ফোবিয়াতে ভুগছিল লাইক মেডিকেলের সবাই তার ক্ষতি করতে চায়। তার পেছনে নাকি স্পাই লাগানো ছিল৷ কে নাকি সব সময় তাকে ফলো করতো। ক্লাসমেটরা যেহেতু তার সাথে ক্লাস করেছে, তাই বেশি জানবে, এজন্য জানতে চাওয়া। তার চিকিৎসা চলছিল। কিন্তু এর মধ্যেই এ অঘটন। আল্লাহ তাকে মাফ করে দিন।
‘মেডিকেলে ভর্তির ইচ্ছা ছেলেটিরই বেশি ছিল। আমি তাকে নেগেটিভ কাউন্সেলিংও করেছিলাম, তবুও সে ভর্তি হয়। ডিপ্রেশনের পরেও তাকে কাউন্সেলিং করেছিলাম। তাকে বলাও হয়েছিল মেডিকেলে যাওয়া লাগবে না আর। ইভেন পড়াশোনা না করলেও সমস্যা নেই, এমনটাই আশ্বস্ত করা হয়েছিল তাকে।’

 

মনোরোগ বিশেষজ্ঞ অধ্যাপক ডা সুলতানা আলগিন এর বক্তব্য 

________

এই মর্মান্তিক মৃত্যু প্রসঙ্গে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের মনোরোগ বিভাগের প্রফেসর ডা সুলতানা আলগিন বলেন, এ এক মর্মস্পর্শী শোকাবহ ঘটনা।

মেডিকেল ভীতি নয়, সে ধারণা করা যায় মানসিক রোগএ ভুগছিল।  অতিভীতি একধরণের ফোবিয়া। 

এ ধরনের অনাকাঙ্ক্ষিত মৃত্যু প্রতিরোধে মেডিকেলসহ উচ্চশিক্ষার্থীদের ব্যাপক সচেতনতা দরকার। এ ধরনের রোগীর মনোরোগ চিকিৎসা ও নিয়মিত কাউন্সেলিং নেওয়ার দরকার হয় । রোগীর নিয়মিত চিকিৎসা নিতে সকলের সহযোগিতা দরকার হয়।
মানসিক বিপর্যয়ের শিকার হয়ে এই ভুক্তভোগীরা এই অনাকাঙ্খিত ভুলের দিকে অনেকে ধাবিত হন। এধরণের মানসিক বিপর্যয়ের মুখোমুখি হলে তাঁরা মনোরোগ চিকিৎসকদের শরণাপন্ন হতে পারেন। মনো সেবা নিলে অনাকাঙ্খিত ভুল পথে ধাবিত হতেন না। জীবনের পথে থাকতেন। জীবন বড় মূল্য বান ও আনন্দময়।
বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের মনোরোগ বিভাগে এদের সেবা দেওয়ার জন্য উপাচার্য মহোদয়ের নির্দেশনা মোতাবেক নানা সেবা রয়েছে।
মনোরোগ বিভাগের নানা ক্লিনিক ও বিএসএমএমইউ র বৈকালি বিশেষ চেম্বারে গিয়ে সেবা নিয়ে রোগী নিজেকে জীবনের পথে সচল রাখতে পারেন।

বিজ্ঞাপন 

আপনার মতামত দিন:


বিএসএমএমইউ এর জনপ্রিয়