ডেস্ক
Published:2021-10-28 05:39:02 BdST
বিএসএমএমউতে অধ্যাপক ডা ঝুনু শামসুন নাহারের আনুষ্ঠানিক কর্মকাল পূর্তিতে মনোজ্ঞ আয়োজন
ডেস্ক
______________________
বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের মনোরোগ বিভাগের প্রাক্তন চেয়ারপারসন ও বাংলা দেশের শীর্ষ মনোরোগ চিকিৎসক অধ্যাপক ডা ঝুনু শামসুন নাহার তাঁর বিএসএমএমইউ র আনুষ্ঠানিক কর্মকাল পূর্ণ করলেন।
এ উপলক্ষে বুধবার ২৭ অক্টোবর ২১ বিএসএমএমইউর মনোরোগ বিভাগে এক মনোজ্ঞ অনুষ্ঠান হলো।
পরের দিন তাঁর জন্মদিন ছিল। কেক কেটে সে দিনটির শুভেচ্ছা উদযাপন হয়।
অনুষ্ঠানে ছিলেন, মনোরোগ বিভাগের চেয়ারপারসন অধ্যাপক ডা নাহিদ মাহ জাবিন মোর্শেদ, ডাক্তার প্রতিদিন সম্পাদক অধ্যাপক ডা সুলতানা আলগিন, অধ্যাপক ডা মো. মোহসীন অালী শাহ, সহযোগী অধ্যাপক ডা হাফিজুর রহমান চৌধুরী,সহকারী অধ্যাপক সরদার আতিক
সহ মনোরোগ বিভাগের শিক্ষক শিক্ষার্থী কর্মীবৃন্দ।
এ ই বিষয়ে অধ্যাপক ডা ঝুনু শামসুন নাহার প্রতিক্রিয়ায় বলেন,
আমি আপ্লুত!
আনুষ্ঠানিক কর্মদিবসের শেষ আজ।
আমার সহকর্মী, ছাত্র ও শুভানুধ্যায়ীদের কাছ থেকে শ্রদ্ধা, সন্মান ও ভালোবাসায় সিক্ত।
আমি বিএসএমএমইউ পরিবারের একজন হিসেবে গর্বিত……
আমি সাইকিয়াট্রি পরিবারের একজন হিসেবে গর্বিত……..
সবসময় আপনাদের পাশেই থাকতে চাই।
ডাক্তার প্রতিদিন সম্পাদক অধ্যাপক ডা সুলতানা আলগিন বলেন,অধ্যাপক ডা ঝুনু শামসুন নাহার
আমার শিক্ষক।
তিনি আমাদের ভালবাসা ও শ্রদ্ধার জন। বর্ণাঢ্য তাঁর ক্যারিয়ার। দীর্ঘ চলার পথে তিনি একের পর এক সাফল্যে নিজেকে জোরকদম অগ্রগামী হিসেবে প্রতিষ্ঠা করেছেন।
তিনি প্রাজ্ঞ, বিজ্ঞ ; একই সঙ্গে তরুণদের চেয়েও তরুণ চিরকাল। বাংলাদেশের এক শ্রেষ্ঠ সন্তান এই অদম্য অগ্রজের জন্য শ্রদ্ধা, সম্মান, ভালোবাসা।
সহকারী অধ্যাপক ডা. সরদার আতিক বলেন,
সাইকিয়াট্রিতে যাকে দশ ভূজা দূর্গার মত মনে হত তিনি হলেন অধ্যাপক ডা.ঝুনু শামসুন নাহার । তিনি এমন একজন মানুষ যার কাছে যে কোন কোয়ালিটি নিয়েই যাওয়া যায় । নিয়মিত ছাত্র-অনিয়মিত ছাত্র ,ভাল ছাত্র-খারাপ ছাত্র , সবার জন্য তার দরজা উন্মুক্ত । সাহায্যের হাত অবারিত । শুধু ছাত্র ছাত্রী নয় বিশ্ববিদ্যালয়ের অনেকের কাছে তিনি জন প্রিয় ব্যক্তিত্ব ,কাছের মানুষ । আজ ছিলো তার শেষ কর্মদিবস । তিনি সুস্থ সবল ভাবে বিশ্বদ্যিালয়ের শেষ দিনটি পর্যন্ত কাজ করতে পারলেন । আগামী দিন গুলো সুস্থ থাকুন কর্মক্ষম থাকুন সেই প্রার্থনা করি ।
অনেক কিছু শিখেছি ম্যাডামের কাছ থেকে । অনেক প্রেরণা পেয়েছি । মাথার উপরে থেকে কাজের যে পরিবেশ তিনি দিয়েছিলেন আমার বেড়ে উঠাতে সাহায্য করেছে । থিসিসের সময় আমার গাইড ছিলেন ম্যাডাম । হাতে ধরে পার করে দিয়েছিলেন পরীক্ষা পর্ব । রাত বারোটা একটা পর্যন্ত ফোন করে সাহায্য নিয়েছি । ম্যাডামে
প্রতি রইলো অশেষ কৃতজ্ঞতা এবং ভালবাসা।
আপনার মতামত দিন: